ঘর পেয়ে খুশি দক্ষিণাঞ্চলের ১৩২১৫  ভূমি ও গৃহহীন পরিবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ঘর পেয়ে খুশি দক্ষিণাঞ্চলের ১৩২১৫  ভূমি ও গৃহহীন পরিবার

ঘর পেয়ে খুশি দক্ষিণাঞ্চলের ১৩২১৫  ভূমি ও গৃহহীন পরিবার

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলায় দুই ধাপে ১৩ হাজার ২১৫ টি ঘর ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন সরকার।

আশ্রায়ণের অধিকার- শেখ হাসিনার উপহার” হিসেবে আশ্রায়ণ প্রকল্প-১ ও ২ এর আওতায় এ ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়।

ঘর পেয়ে খুশি এসব ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। তাঁরা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।

এসব গৃহনির্মাণ কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদলসহ জেলা প্রশাসকগণ। করেছেন মিষ্টি বিতরণ।

বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,  মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সে ধারাবাহিকতায় সরকারি অর্থায়নে ১ম পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুর্নবাসনের নিমিত্ত বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় মোট ৬০৮৮টি ঘর বরাদ্দ প্রদান করা হয়। 

এর মধ্যে বরিশাল জেলায় ১৫৫৬টি, পটুয়াখালীতে ২১৩১টি, ভোলায় ৫২০টি, পিরোজপুরে ১১৭৫টি, বরগুনায় ২৩২টি, ঝালকাঠিতে ৪৭৪টি ঘর। 

আরো জানা গেছে, সরকারি অর্থায়নে ২য় পর্যায়ে বরিশাল বিভাগে ৬ টি জেলায় মোট ৭১২৭ টি ঘর বরাদ্দ প্রদান করা হয়৷

এরমধ্যে বরিশাল জেলায় ৪৯৯টি, পটুয়াখালীতে ২৭৮১টি, ভোলায় ৩৭১টি, পিরোজপুরে ২০০৪টি, বরগুনায় ১০০০টি, ঝালকাঠি-৪৭২টি ঘর ।

চলতি মাসের আগামী ২০ জুন ২য় পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য বরিশাল বিভাগে নির্মিত ৪৬৮৭টি ঘর শুভ উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

এর মধ্যে বরিশালে ২৩০টি, পটুয়াখালীতে ১৯৫৮টি, ভোলায় ২৫৮টি, পিরোজপুরে ১৫১০টি, বরগুনায় ৪২৯টি, ঝালকাঠিতে ৩০২ টি ঘর রয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বরিশাল জেলায় প্রথম দফায় ১৫৫৬ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঘর বিতরণ করা হয়। এবার দ্বিতীয় দফায় বরিশাল জেলায় ৫৪৯ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের জন্য ঘরে নির্মাণ করা হচ্ছে।

এর মধ্যে বরিশাল সদরে ১০০টি, বাকেরগঞ্জে ৫০টি , বাবুগঞ্জে ১০টি উজিরপুরে ২৫ টি মুলাদীতে ৫০টি , মেহেন্দিগঞ্জে ৬৫টি, হিজলায় ৫৯টি গৌরনদীতে ২০টি , আগৈলঝাড়ায় ১৫টি বানারীপাড়ায় ১৫৫টি ঘর রয়েছে।

বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের মুজিব বর্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের একাধিক গৃহগৃহীতরা জানান, যে জমিজমা ছিলো তাও নদীতে ভেঙে গেছে৷ কোন রকমের সন্তান নিয়ে মানুষের করুনা নিয়ে বসবাস করছিলাম। কিন্ত এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া সরকারি ঘর  পেয়ে মহাখুশি। প্রধানমন্ত্রী মোগো ঘর দিয়ে যে মাথা গোঁজা ঠাই দিয়েছে তাকে জানি আল্লাহ সুখে রাখে৷

বাকেরগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, ১ম ও ২য় পর্যায়ে প্রত্যেক গৃহ গৃহীতাদের দুই শতাংশ  জমির ওপর দুই রুম,বাথরুম করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আবাসন এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন ও বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়া হচ্ছে।

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল বার্তা২৪.কমকে জানান, মুজিববর্ষের অঙ্গিকার অনুযায়ী  “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বরিশাল বিভাগে প্রথম ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আবাসন এলাকায় ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন দ্বিতীয় ধাপের তৈরি করা ঘর আগামী ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে হস্তান্তর করবেন বলেও জানান তিনি।

   

ঈদের পর সবজির দাম না বাড়লেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের লম্বা ছুটিতে বেশ কয়েক দিন ফাঁকা ছিল ঢাকা শহর। মানুষের উপস্থিতি না থাকা এক প্রকার থমকে ছিল শহরের বাজার ব্যবস্থা। ঈদের ছুটি কাটিয়ে রাজধানী ফিরতে শুরু করছে ঢাকার অস্থায়ী বাসিন্দারা। এতে বাজারে ফিরছে ব্যস্ততা। 

তবে এখনো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে মানুষের তেমন আনাগোনা শুরু হয়নি। ফলে রমজানের দামই স্থির আছে কাঁচা বাজারে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগের দামই আছে শাক সবজিতে। কিছু কিছু পণ্যের দাম কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। তবে ছুটি শেষে বাজারে মানুষের আনাগোনা বাড়লে দাম বাড়তে পারে ।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর সব থেকে বড় কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে ফাঁকা দোকান পাটে ক্রেতার অপেক্ষা করছেন ব্যবসায়ীরা। পূর্বের দামের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে দিয়েও মিলছে না ক্রেতা। ফলে পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়াসহ নানা জটিলতায় পড়ছেন তারা।

ব্যবসায়ীদের থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজানে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে। যা এখন প্রতি কেজি মিলছে ৪০-৫০ টাকায়। করলা ও শিমের দামে আসেনি কোন পরিবর্তন। ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে মিলছে করলা। গত কয়েকদিনে বেগুনের দামে কিছুটা ধস নেমেছে।

এদিকে আলু, ঢেরশ, পেঁপে, সজনে, কুমড়া ও বরবটির প্রতি কেজিতে ৫-১০ টাকা কমেছে। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। 

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পর প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকায় মিললেও তা এখন ৬০ টাকার নিচে মিলছে না। ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানের পেঁয়াজ পূর্বের দামে মিললেও ব্যবসায়ীরা বলছেন পচন ও সাপ্লাই সমস্যায় আবারও বাড়তে পারে পেঁয়াজের দাম।

কারওয়ান বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা খুরশিদ আলম বলেন, বাজারে কেনা বেচা নাই। সবজি পচে যাচ্ছে। ছুটি শেষ আজ কেনা বেচার কথা ভেবে মালামাল কিনলাম আজও মানুষ নেই বাজারে।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, পেঁয়াজের দাম একটু বেড়েছে। পাইকারিতে ২-৩ টাকা বাড়লেও খুচরা বিক্রিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। দুই এক দিনের ভিতর আরও বাড়তে পারে।

ব্যবসায়ী সাত্তার বলেন, মানুষ বাজারে আসলে এক ধাপে কয়েক টাকা করে দাম বাড়বে প্রতি কেজি সবজিতে। মানুষ নাই বাজারে তাই কম দামে বিক্রি করছে সবাই। আলুর কেজি ৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে এই দাম কাল পরশু থাকবে না।

এদিকে বাজারে কেনা বেচা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন আড়ৎদার ও বেপারিরা। গ্রাম থেকে পণ্য আনলেও বিক্রি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে বেশির ভাগ সবজি। বিশেষ করে বেগুন বেপারিদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। বেগুনের চাহিদা না থাকায় কম মূল্যে দিয়েও কিনছেন না খুচরা ব্যবসায়ীরা।

ফাহমিদ নামের এক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, বাজারে চাহিদা না থাকায় নড় বিপদে পড়তে হয়েছে আমাদের। সবজি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এনে বিক্রি না থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন কয়েক লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। 

আহাদ আলী নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আগামী কাল থেকে বাজারে মানুষের আনাগোনা বাড়বে। এক ধাপে ৫-১০ টাকা প্রতি সবজিতে দাম বাড়ার আশঙ্কা আছে।

অন্যদিকে বাজারের স্থিতিশীলতায় খুশি ক্রেতারা। বাজারে বাড়তি ভিড় না থাকায় স্বাচ্ছন্দ্য মত কেনাকাটা সারতে পারছেন সকলে। 

ক্রেতা মোনারুল বলেন, বাজারে দাম নিয়ে অভিযোগ নেই। কম দামেই আজ মিলেছে সব। তবে পেঁয়াজের দাম বেশি। এভাবে চললে তো ভালোই।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ১৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: ডিএমপি

ছবি: ডিএমপি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৯৭ পিস ইয়াবা, ৬০০ গ্রাম গাঁজা ও ৫৩ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১০ টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।



;

সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে তার দপ্তর কক্ষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে নির্দেশনা জারি করেছিল সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করা ছিল হঠকারী ও দুঃখজনক। তাদের এই আচরণে সরকার খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে এবং যশোরের উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছে। হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া ময়দান ও সিলেটে ঈদের জামাতের জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং জনগণের জীবন বাঁচিয়েছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সবসময় সতর্ক থাকায় অতীতে মতো বাংলাদেশে কোন জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারেনি। এই বিষয়ে সরকার সকলের সহযোগিতা কামনা করে।

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৩ সালে ১৪০০ বঙ্গাব্দে, বাংলা শতবর্ষ বরণ করার সময় বেগম খালেদা জিয়া সরকার বাধা দিয়েছিল। তাদের বাধা দেয়ার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তাজনিত নয় বরং বাঙালির সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক এই উৎসবকে নিরুৎসাহিত করা। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল সংগঠনসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা আমরা সকলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছিলাম।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। আশা করব এক্ষেত্রে সবাই সবসময় সহযোগিতা করবেন যাতে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে অনুষ্ঠান উদীচী করেছে সেখানে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটতো তার দায়-দায়িত্ব কে নিতো এ প্রশ্ন রেখে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি নিয়ম বা নির্দেশ না মেনে অনুষ্ঠান যারা করবেন তাদেরকেই সেই দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয় উল্লেখ করে এ সময় মোহাম্মাদ আলী আরাফাত আরও যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতা ব্যবস্থা করেছে। তার সরকারের সময়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’-কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

;

২ ঘণ্টা পর মহাখালী-এয়ারপোর্ট সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের হাতে বাস চালককে মারধরের প্রতিবাদে মহাখালী-এয়ারপোর্ট সড়ক অবরোধের প্রায় ২ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ২৫ মিনিটে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে রাত ৯ টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হাউজ বিল্ডিং এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রূটে চলাচলকারী আলম এশিয়া বাসের চালককে সিগনাল দেয় ট্রাফিক সার্জেন্ট। কাগজপত্র ও যাত্রী হয়রানির অভিযোগ এনে বাসের চালককে নামিয়ে পরে মারধর করেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় গাড়ি ভাঙচুর হয় বলেও জানান পরিবহন শ্রমিকরা।

পরে ৯ টার দিকে মহাখালি বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। পুলিশ ও শ্রমিক নেতাদের ঘণ্টা ব্যাপী মিটিং শেষে ১১ টার দিকে অবরোধ তুলে নিলেও কয়েক মিনিট পর দুই দফা দাবি নিয়ে আবারও সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা।

বাস চালককে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।

এ বিষয়ে বাস মিনিবাস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ নবী বলেন, শ্রমিককে মারধরের ঘটনা বার বার ঘটে কিন্তু আমরা কোন বিচার পাই না। পুলিশের এমন আচরণে আমরা শঙ্কিত। আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে বদলির করতে হবে।

;