‘যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে তুরস্কের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর হবে’
তুরস্কের সাথে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন। সৌজন্য সাক্ষাৎ এর পূর্বে প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের সাথে স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন ব্ল্যাডম্যানের আয়োজনে তরুণদের অংশগ্রহণে ১০,০০০ বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি ‘গ্রিনজেন মুভমেন্ট’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত আমাদের সাথে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব দিয়েছেন। অচিরেই এ বিষয়ে উভয় দেশের পক্ষ হতে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ সমঝোতা স্মারকের মধ্যে দিয়ে উভয় দেশের মধ্যে দিয়ে যুব বিনিময় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে এবং উভয় দেশের অভিজ্ঞ কোচের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। যা বন্ধু প্রতীম দু রাষ্ট্রের মধ্যে এক নব দিগন্তের সূচনা করবে।
তিনি আরও বলেন, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে তুরস্ক সরকার বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করবে।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত নির্যাতিত অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সরকার সারা বিশ্বে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আশা করি, রোহিঙ্গা ইস্যুতে পূর্বের ন্যায় ভবিষ্যতেও তুরস্ক বাংলাদেশের পাশেই থাকবে।
এ সময়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল তুরস্ক সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তুরস্ক আমাদের ভালো বন্ধু। আমি আশা করি, তুরস্ক সরকার বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি দক্ষ জনশক্তি তুরস্কের শ্রমবাজারে বিনিয়োগ করবে। প্রতিমন্ত্রী এ সময়ে বাংলাদেশকে ২০২০ সালের জন্য যুব রাজধানী নির্বাচনে তুরস্কের অকুন্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য তুরস্ক সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
বৈঠকে যুব ও ক্রীড়ার সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।