মদ্যপ অবস্থায় তদন্ত কেন্দ্রে বেসামাল চেয়ারম্যান, পুলিশের জিডি
কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এক ইউপি চেয়ারম্যান মদ্যপ অবস্থায় বেসামাল হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বেসামাল হয়ে পুলিশের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন তিনি। পুলিশ ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন মোল্লা উপজেলার জিংলাতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন। তবে শনিবার (১৯ জুন) রাতে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যায় দাউদকান্দি মডেল থানার গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলার বারপাড়া গ্রামের এক কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার পর তার মা থানায় একটি জিডি করেন। এ জিডির সূত্র ধরে পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় কিশোরীকে উদ্ধার করে গৌরীপুর তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। রাতেই কিশোরীকে আমরা তার মায়ের কাছে দিতে চাই। কিন্তু জিংলাতলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ওই কিশোরীকে নিজের আত্মীয় পরিচয়ে নিতে ফাঁড়িতে আসেন। আমরা চেয়ারম্যানের কাছে কিশোরীকে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সে আমাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। পরে আমরা তার বিরুদ্ধে জিডি করেছি।
গৌরীপুর তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের একটি সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মোল্লা মদ্যপ অবস্থায় তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের কক্ষে গিয়েও বেসামাল আচরণ করেন। তিনি ইনচার্জের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা কাটাকাটি এবং টেবিল চাপড়িয়ে অশালীন আচরণ করেন।
তবে শনিবার রাতে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মোল্লা বলেন, মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক, সে আমার শ্যালকের স্ত্রী। লিগ্যাল অভিভাবক হিসেবে আমি মেয়েটিকে আনতে গিয়েছিলাম। আর মদ্যপ অবস্থায় বেসামাল আচরণ করলে পুলিশ আমাকে আটক করেনি কেন? আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
চেয়ারম্যানের দাবি, সর্বশেষ মেয়েটিকে আমাদের কাছেই দিয়েছে পুলিশ। কারণ মেয়েটি বলেছে- তাকে স্বামীর কাছে যেতে না দিলে সে আত্মহত্যা করবে। আমি পুলিশের সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলেছি- মেয়েটাকে কেন তার স্বামীর কাছে দেওয়া হবে না। এর বেশি কোন ঘটনা সেখানে ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।