‘সমাজের নিম্নস্তরে পড়ে থাকা মানুষকে টেনে তোলাই আ.লীগের লক্ষ্য’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজের একেবারে নিম্নস্তরে পরে থাকা মানুষগুলো তাদেরকে টেনে তোলা তাদের জীবন-মান উন্নত করা, মূল জনগণের সাথে সম্পৃক্ত করা, সেটাই আমরা করে যাচ্ছি। এটাই আমাদের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন একেবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত বা তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। অর্থ  উপার্জন করা জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করা, তাদের বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা করা এই নীতিমালাটিই হচ্ছে আমাদের আওয়ামী লীগের নীতি। এটাই আমাদের জাতির পিতা শিক্ষা দিয়েছেন এবং সেই নীতিমালা নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সুফলটা পাচ্ছে এদেশের মানুষ। সমাজে একেবারে হতদরিদ্র মানুষ তারা কিন্তু আস্তে আস্তে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখছে। উঠে আসছে এবং সেটিই আমাদের লক্ষ্য।

রোববার (২০ জুন) সকালে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের ( ২য় পর্যায়) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও ৪৫৯টি উপজেলা প্রান্তে সংযুক্ত ছিল। এছাড়া কয়েকটি উপজেলা প্রান্তে যুক্ত হয়ে উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। একটা ঘর যখন মানুষ পায় তখন মানুষের ভেতরে যে আনন্দ, তার মুখে যে হাসি, এর থেকে বড় পাওয়া তো আর কিছু না। আমি মনে করে করি এর থেকে বড় পাওয়া আর কিছু না।

আজ মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর প্রদান কার‌্যক্রমের উদ্বোধন করেন। গত জানুয়ারিতে প্রথম পর্যায়ে ৭০ হাজার পরিবারকে ঘর প্রদানের পর রোববার (২০ জুন) দ্বিতীয় পর‌্যায়ে এক সঙ্গে আরও প্রায় ৫৩ হাজার ৩৪০ টি অসহায় পরিবারকে ঘর দিচ্ছে সরকার। এছাড়া আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আরও ১ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে।

গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।

পাশাপাশি মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষের ঘরবাড়ি ঘোষণা দেয়ার পর সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের এগিয়ে আসার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই যে তাদের ভিতরে একটা যে চেতনা জেগেছে, গৃহহারা মানুষকে একটা ঘর দেয়া; কারণ যার ঘর নাই বাড়ি নাই তাকে ফুটপাতে পড়তে হয়, রাস্তার পাশে, রেললাইনের পাশে বা বিভিন্ন জায়গায় ঝড় বৃষ্টি বাদলা সবকিছু মাথায় নিয়ে থাকে জীবনযাপন করতে হয়। সে যখন একটা ঘর পায়, তার জীবনটাই বদলে যায়।

প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচির সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মানুষের জন্য মানুষ। মানুষের জন্য মানুষের কল্যাণে কাজ, এটিই তো সবথেকে বড় কথা।

তিনি আরও বলেন, আমরা লক্ষ্য স্থির করেছি যে বাংলাদেশকে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত করবো। দারিদ্র্যমুক্ত করতে হলে আমি মনে করি সবচেয়ে বড় দরকার শিক্ষা। আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ককে অনুসরণ করেই শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছি।

তার পাশাপাশি গৃহহীন-ভুমিহীন মানুষকে ঘরবাড়ি করে দেয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আজকে আশ্রয়ণের মাধ্যমে এবং অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমে গৃহহীন মানুষকে ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি। যাতে মানুষ ঘর পাবে সেই সাথে তাদেরকে কিছু ট্রেনিং দেয়া হয়, ঋণ দেয়া হয় এবং নগদ টাকা দেয়া হয়, তাকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়। যাতে করে সে ভালভাবে বাঁচতে পারে, কিছু করে খেতে পারে। পরমুখাপেক্ষী না হতে হয়। সে যেন নিজের জীবনটাকে নিজেই গড়ে তুলতে পারে। বস্তিবাসিরাও তার নিজ গ্রামে ফিরে গেলে সেখানেও একটা ফান্ড এবং প্রকল্প আমরা নিয়েছিলাম, ঘরে ফেরা কর্মসূচি। নিজের গ্রামে গেলে সেখানে ঘরবাড়ি, ছয় মাসের জন্য ভিজিএফের মাধ্যমে বিনা পয়সায় খাদ্যের ব্যবস্থা করা, তার ঋণের ব্যবস্থা করা অর্থ্যাৎ পুর্নবাসনের ব্যবস্থা আমরা করে দেবো।

সরকার প্রধান বলেন, ঢাকা শহরে আামদের যে বস্তিবাসী আছে। তারা বস্তিতে যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকে এবং যে ভাড়া দিয়েই যখন থাকবে তখন ভালভাবে থাকুক। আমরা তাই বস্তিবাসির জন্য ভাড়ায় থাকায় জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দিচ্ছি। তাদের ভাড়া দিয়েই থাকতে হবে। যে টাকাটা তারা ভাড়া দেয় একটা বস্তির ঘরের জন্য ঠিক সেই টাকাটাই তারা ভাড়া দেবে কিন্তু তারা থাকবে একটু ভাল পরিবেশে। সে প্রকল্পটাও আমরা নিয়েছি, খুব শিগগরই পুর্নবাসন শুরু করে দেব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতির মূল কথা হচ্ছে একবারে তৃণমূল মানুষের জীবন-জীবিকা ব্যবস্থা করে দিয়ে তাদের জীবন উন্নত করে দেওয়া। ক্ষমতায় থাকলে শুধু নিজেই খাব, ভালো থাকব সেটাতো না;  ক্ষমতায় থাকা মানে মানুষের সেবা করা সুযোগ, আমরা মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।

   

উপজেলা নির্বাচন

প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি না চাওয়ার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের কাছে মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি না চাওয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি সকল রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন। আইন প্রণয়ন করে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান আনলেও মাঠ কর্মকর্তারা তা না মানায় এমন নির্দেশনা দিল সংস্থাটি।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান করা হয়েছে। অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের পর কোনো কোনো জেলা/উপজেলা হতে মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি প্রার্থীর নিকট হতে চাওয়া হচ্ছে, যা বিধি বহির্ভূত। উক্তরূপ বিধি বহির্ভূত প্রিন্ট কপি প্রদানে বাধ্য না করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

তবে বিধি অনুযায়ী বাছাইয়ের সময় হলফনামার মূল কপি অথবা কোনো তথ্য বা কাগজপত্র অপূর্ণ থাকলে তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে অবহিত করা যেতে পারে।

বিধি ১৭ অনুযায়ী বাছাইয়ের সময় প্রার্থী বা প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারী অথবা প্রার্থী কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপস্থিতির সুযোগ থাকলেও বাধ্যতামূলক নয়।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারি রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

নওগাঁয় কমেছে সবজির সরবরাহ, আলুর দামে আগুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় গত কয়েক দিনে বেড়েছে সব ধরণের সবজির দাম। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ ও বৈশাখের আনন্দ কৃষকের ঘরে এখনো বিরাজমান থাকায় বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে। এ কারণে দাম কিছুটা ঊর্ধ্বগতি। তবে কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে আলুর দাম।

মঙ্গলবার ( ১৬ এপ্রিল) নওগাঁ পৌর বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে বরবটি ৮০-৯০ টাকা কেজি। নতুন এ সবজি বাজারে একেবারেই কম হওয়ায় দাম সবচেয়ে বেশি।

পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। তবে কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়ে করলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। বেগুন ১৫-১৬ টাকা বেড়ে ২০-২৫ টাকা। মিষ্টি কুমড়া ৫-৬ টাকা বেড়ে ২০ টাকা কেজি। নতুন লাল মুলা ২০ টাকা কেজি। ঢেড়স ২০-২৫ টাকা, শসা ১২-১৫ টাকা ও টমেটো ১০-১২ টাকা কেজি। তবে ২৫-৩০ টাকা কমে সজিনা ৩৫-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, ঝিঙ্গা ৩০ টাকা ও মরিচ ২৫-৩০ টাকা কেজি। খুরা (ডাটা) প্রতি পিস ১-২ টাকা ও লাউ ১২-১৫ টাকা পিস।

অপরদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে আলু প্রকারভেদে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে ৪৮-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পিয়াজ কেজিতে ৫-৭ টাকা বেড়ে ৪৫-৫২ টাকা কেজি এবং রসুন ১২০-১৩০ টাকা কেজি।

চাষীরা বলছেন, কৃষকের ঘরে ঈদের আমেজ এখনও রয়েছে। এছাড়া বাড়তি যোগ হয়েছে বৈশাখ মাস। জমি থেকে অল্প পরিমাণ সবজি তুলে বাজারে নেয়া হচ্ছে। এতে বাজারে সবজির সরবরাহ কমায় বেড়েছে দাম।

সবজি কিনতে আসা আশফাক বলেন, কয়েকদিন আগেও সবজির দাম কিছুটা কম ছিল। তবে এখন দাম বাড়ায় কিছুটা অস্বস্থিতে পড়তে হয়েছে। আবার কিছু সবজির দাম কমও আছে। খুচরা বাজারে আলু ৬৫-৭০ টাকা কেজি। আগামীতে আরো দাম বাড়তে পারে। এতে করে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য সমস্যা।

নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি গ্রামের কৃষক কালাম হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগেও করলা ছিল ১৫-২০ টাকা কেজি। এখন ক্ষেতে করলা কম হওয়ায় উৎপাদনের পরিমাণও কমেছে। এ একারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। করলা উৎপাদনের খরচ বেশি দাম বেশি না হলে কৃষকদের লোকসান গুণতে হয়।

;

কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে শিল্পমন্ত্রীর আহ্বান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার ২০২৪ এর আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও কর্মপন্থা নির্ধারণে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়কে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও গতিশীল মন্ত্রণালয় হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সার্বিক বিবেচনায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের পারফরম্যান্স খুব ভালো। এটিকে আরও এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখে দ্বিতীয় বারের মতো এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনাসমূহ ও চলমান প্রকল্পসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। মন্ত্রী এ সময় সততা, দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ ও টিমওয়ার্কের সঙ্গে কাজ করার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও আওতাধীন দফতর-সংস্থার প্রধানগণ মন্ত্রীর সঙ্গে তাদের ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় ও উদযাপনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, এবারের ঈদযাত্রা বেশ নির্বিঘ্ন ছিল। সাধারণ জনগণকে কোন ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার ২০২৪ এর আলোকে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রণীত ‘কর্মপরিকল্পনা ২০২৪-২০২৮’ শীর্ষক পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।

;

গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদে লাখো পুণ্যার্থীর স্নান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রহ্মার সন্তুষ্টি লাভ ও ভক্তদের পাপমোচনে অষ্টমী স্নানে লাখো পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদে। হিন্দু ধর্মীয় মতে, চৈত্রের এই অষ্টমীতে জগতের সব পবিত্র স্থানের পুণ্য এসে ব্রহ্মপুত্রে মিলিত হয়। এদিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পবিত্র মন্ত্রপাঠ শেষে স্নানে ফুল, ধান, দূর্বা, বেলপাতা ও হরিতকি উদ্দেশ্য পূরণে নদের জলে অর্পণ করেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ভোর ৪টা থেকে স্নানের লগ্ন শুরু হয়। আর পূণ্য এই স্নানের লগ্ন শেষ হয়েছে বিকেল ৪টা বেজে ৫৬ মিনিটে।

আয়োজকরা জানান, লগ্ন শুরুর পর থেকেই গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদের সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কামারজানি বন্দরে এবং ফুলছড়ির উপজেলার অতিপরিচিত বালাসীঘাট ও তিস্তামুখঘাটে আসতে থাকে সনাতন হিন্দুধর্মাবলম্বী ভক্তরা। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই সব স্থান পুণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। তবে ভিন্ন মাত্রা যোগ হয় লোকজ মেলার আয়োজনে। দিনব্যাপী জেলার সদর উপজেলার কামারজানি বন্দর এবং ফুলছড়ির উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের বালাসীঘাট ও তিস্তামুখঘাটের ব্রহ্মপুত্রের বালুচরে ঐতিহ্যবাহী অষ্টমী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও সব ধর্মের বিভিন্ন বয়সের বিনোদন প্রেমী হাজারো মানুষ অংশ নেয়।

এসময় ব্রহ্মপুত্র নদের বালাসীঘাটে পরিবারসহ ঘুরতে আসা বেসরকারি কোম্পানি চাকরীজীবী শামীম হায়দার বলেন, আমার মেয়ে রিয়া মনি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। স্ত্রী-আর একমাত্র কন্যাকে নিয়ে মেলায় আসছি। পূজা অর্চনা দেখলাম, মেলা ঘুরলাম ভাল লাগলো।

নদে স্নান করতে আসা সবিতা রানী বলেন, আজকের এই দিনে ব্রহ্মপুত্রে স্নান করলে ভগবান সব পাপমোচন করে দেন। আমি প্রতি বছরই এই দিনে এখানে স্নানে আসি।


এসময় জানতে চাইলে সবিতা বলেন, দেশের এবং দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকে ভগবানের কাছে সেই প্রার্থনা করেছি। এছাড়া সবার ওপরে আমরা মানুষ। ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে যেন একে অপরের আত্মীয় হিসেবে বসবাস করতে পারি সেটিও কামনা করেছি।

স্নান উৎসব কমিটির সহ-সভাপতি তপন কুমার জানান, আজ সকাল থেকেই মহা অষ্টমী স্নানে অংশ নিতে ব্রহ্মপুত্র নদে লাখেরও বেশি পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছে। সড়ক পথ ও নৌপথে নারী-পুরুষ পুণ্যার্থীরা স্নানে অংশ নিতে আসেন। স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে এ বছর ব্রহ্মপুত্র নদের বালুর ওপর লোকজ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলায় বাহারী পণ্য, শিশুদের খেলাধুলার হরেক রকম জিনিসপত্রসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীও পাওয়া যাচ্ছে।

গাইবান্ধা শনি মন্দিরের পুরোহিত সুমন চক্রবর্তী বলেন, আমাদের পঞ্জিকা মতে চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে সনাতন ধর্মের নারী-পুরুষেরা পাপমোচনের আশায় পবিত্র অষ্টমী স্নানে অংশ নেন। ভোর থেকেই বিপুল সংখ্যক হিন্দু পুণ্যার্থী ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান সেরে দেবীর পূজা অর্চনা করে। এদিন পাপমোচনের প্রার্থনার পাশাপাশি সবাই আমরা দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনাও করে থাকি। আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টা থেকে স্নানের লগ্ন শুরু হয়। আর পূণ্য এই স্নানের লগ্ন শেষ হবে বিকেল ৪টা বেজে ৫৬ মিনিটে।

;