বাড়ছে আক্রান্ত-মৃত্যু, ব্যক্তি সচেতনতার অভাবেই বিপর্যয়ের শঙ্কা!



মানসুরা চামেলী, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পরছে না মাস্ক, মানছে না স্বাস্থ্যবিধি

পরছে না মাস্ক, মানছে না স্বাস্থ্যবিধি

  • Font increase
  • Font Decrease

মৌচাক মার্কেট, বেশ ভিড়! সামাজিক দূরত্বের ধারের কাছেও নেই কেউ-ই। কারো মুখে মাস্ক, কারো থুতুনিতে, কেউ মাস্ক পরার ঝামেলায় জড়াননি। করোনার ঊর্ধ্বগামী সংক্রমণে ভিড় ঠেলে বাচ্চার জন্য কাপড় কিনছেন রাহাত। কাপড়ের স্তুপ থেকে ভালোটা বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। ক্রেতা রাহাতের মুখেও মাস্ক নেই, বিক্রেতারও একই অবস্থা। দুইজনের দূরত্ব এক হাতও না!

মাস্ক পরেননি কেন জানতে চাইলেই, উত্তরে অস্বস্তি বোধ করছিলেন রাহাত। তবে প্রশ্ন কেড়ে নিয়ে উত্তরটা অনেকটা খেঁকিয়ে উঠার মতো করে দিলেন বিক্রেতা। ‘আরে আপা ধুরহ, ঝামেলা বাড়ায়েন না। গরমে বাঁচি না আর মাস্ক; আল্লায় দেখবে!

এবার কথা হলো এক রিকশাওয়ালার সঙ্গে। রিকশায় উঠে হ্যান্ডলে রাখা মাস্ক দেখিয়ে বললাম 'মামা, মাস্কটা পরেন'- প্রত্যুত্তরে রিকশাচালক জানালেন ‘পরি তো, গরমে খুলে রাখছিলাম’।

রিকশাওয়ালা-যাত্রী কারও মুখে নেই মাস্ক

গুলশান থেকে রামপুরা গন্তব্য। এখানেও যথারীতি সিএনজি অটোরিকশা চালকের মুখে মাস্ক নেই। চালককে মাস্ক পরতে বলতেই ‘তড়িঘড়ি করে একটা মাস্ক পরে নিলেন। যেটা ময়লায় কালো হয়ে আছে’।

গুলিস্তানে দুই যুবক রিকশায় উঠলেন, রিকশাচালকও মাস্ক ছাড়া। দুই যুবকেরও মাস্ক নেই। মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে বলেন উঠেন, ‘করোনা আর কই, হলে হইবে- মাস্ক পরে থাকা যায় নাকি!’

দেশে আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই রোগী, শনাক্তের হার ও মৃত্যুতে আগের দিনের রেকর্ড ভাঙছে। এরপরও স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক পরা নিয়ে ব্যক্তি সচেতনতার এই বেহাল দশা দেশে।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬.৩৮ শতাংশে পৌঁছে গেছে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে এরইমধ্যে সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলার অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। জেলায় জেলায় চলছে লকডাউন, বিধিনিষেধ। রাজধানী ঢাকার দিকে ধেয়ে আসছে সংক্রমণের নতুন ঢেউ। জনবহুল এই নগরীতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাজারে সামাজিক দূরত্ব মানার কোন বালাই নেই

করোনার এমন ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণেও মাস্ক ব্যবহারে মানুষের মধ্যে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানা তো ছেড়েই দিয়েছেন। সরকারের দফায় দফায় জারি করা নির্দেশনার তোয়াক্কা করছেন না তারা। বর্তমানে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী হার ইঙ্গিত দিচ্ছে, সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার। তাই মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ঢিলেঢালা ভাব করোনা সংক্রমণকে আরও তীব্র করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মত দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী সামনের দিনগুলোতে দেশে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়তে থাকবে। বিধি নিষেধ থাকলেও তা মানা বা মানানোর কোন প্রবণতা দেখছি না। তাছাড়া মানুষ মাস্কও পরছেন না। আবার ঈদ আসছে সেটাও সংক্রমণ ছড়ানোর বড় কারণ হতে পারে। সব মিলে সামনে খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশের ২৮টি জেলায় করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এসব জেলায় পরীক্ষা অনুপাতে রোগী শনাক্তের হার সর্বোচ্চ ৫৩ শতাংশ থেকে সর্বনিম্ন ২০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ সাতক্ষীরায়, ৫৩ শতাংশ। এর পরপরই সর্বোচ্চ সংক্রমিত জেলার মধ্যে রয়েছে ঠাকুরগাঁও ৫০ দশমিক ৪১ শতাংশ; যশোরে ৪৯ শতাংশ, চুয়াডাঙ্গায় ৪৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ, বাগেরহাটে৪২ দশমিক ৪৬ শতাংশ, কুষ্টিয়ায় ৪১ শতাংশ ও মেহেরপুরে ৪০ শতাংশ ও ফরিদপুরে ৩২ শতাংশ সংক্রমণ। 

আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী বলছে, আসলে সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে। জীবনটা তো আমাদের। সবার নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা উচিত। কারণ সবার সহযোগিতা না পেলে আইন প্রয়োগ সব সময় কাজ হয় না। আমরা চেষ্টা করছি ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি জরিমানাও শাস্তি দিয়ে বিষয়গুলো বোঝানোর।

গণপরিবহনের যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব মানার ইচ্ছা থাকলেও নেই সুযোগ

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক শামসুল হক বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রথমে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ছাড়ালেও এখন ঢাকা অর্থাৎ কেন্দ্রের দিকে ধেয়ে আসছে। এ অবস্থা আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে আমি সবাইকে বলব ঈদে কোন অবস্থাতে বাড়ি না যেতে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বার্তা২৪.কমকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি সামনে কোন দিকে যাবে- তা ভ্যারিয়েন্ট না- এর সংক্রমণের হারের ওপর নির্ভর করবে। এখন পর্যন্ত আমরা চারটি ভ্যারিয়েন্টের নাম বেশি শুনছি। কিন্তু সারা বিশ্বে ১০০ এর বেশি ভাইরাসের মিউটেশন হয়েছে। সব ভ্যারিয়েন্ট কিন্তু খুব ক্ষতিকর না। আমাদের এখানে এখন সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বাড়ছে, এখন ঢাকার দিকেও আসছে। তবে আগামী দুই সপ্তাহে সংক্রমণ পরিস্থিতি বোঝা যাবে। ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে সামনে কমে আসতে পারে। আবার ঢাকা বাড়তে পারে।

তবে সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বিকল্প নেই বলে জানান আইইডিসিআর এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।

‘আমাদের এখানে বিধি-নিষেধ চলছে। সরকার জেলায় জেলায় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। অনেক জেলায় কড়া বিধিনিষেধ চলছে। ঢাকায় মাঝে সংক্রমণ কমায় সবাই স্বাধীন হয়ে গেছে ভাবছেন। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব মানা ও মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছেন। করোনা মিউটেশন হতেই থাকবে কিন্তু আমরা ব্যক্তিগতভাবে সচেতন না হলে ভয়াবহ পরিস্থিতি ঠেকানো যাবে না। সবাই জানে করোনায় আক্রান্ত হলে জীবনও চলে যেতে পারে। তারপরও মানুষ সচেতন না। করোনা থেকে বাঁচতে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। আর টিকা নিতে হবে। সেই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে -টিকা করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অন্যতম মাধ্যম একমাত্র না।'- যোগ করেন তিনি।

করোনা থেকে বাঁচতে টিকা নিচ্ছেন সচেতন নাগরিক

জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রাহাতুন নাঈম ম্যাগলিন বলেন, এবার সেকেন্ড ওয়েবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ডেল্ডা ভ্যারিয়েন্ট কিন্তু সীমান্তবর্তী এলাকা ছড়িয়েছে বেশি। যেমন যশোর, সাতক্ষীরা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এরপর রাজশাহী, নওগাঁ এবং ধীরে ধীরে ঢাকার দিকে আসছে। গতকাল শনিবার পর্যন্ত গবেষণায় মোট সংক্রমণের মধ্যে ৮০ শতাংশ পাওয়া যাচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। আমরা যদি সতর্ক না হই সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করবে। অন্যদিকে ভারতে কিন্তু এখন ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে- এটা আরও বেশি সংক্রমণ ছড়ায়। 

সমাজের অসচেতনতায় শিশুরা মানছে না স্বাস্থ্যবিধি

তিনি আরও বলেন, যখন ভাইরাসের নতুন মিউটেশন হয় তখন কিন্তু আগের চিকিৎসা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসে। অনেক সময় কাজ করে না। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক পরা ছাড়া আমাদের হাতে কোন বিকল্প নেই।

   

দুই দপ্তরের অনাদায়ী অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দুই দপ্তরের অডিট আপত্তির বিরুদ্ধে নির্দেশনা দিয়েছে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এই দুই দপ্তরের অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির প্রমাণক সাপেক্ষে নিষ্পত্তিসহ অনাদায়ী অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমার নির্দেশনা দিয়েছে কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২য় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ এমপি। কমিটির সদস্য ফয়জুর রহমান, মো. মুজিবুল হক, মো. জাহিদ মালেক, ফজিলাতুন নেসা, সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, নূর মোহাম্মদ, আখতারউজ্জামান, এস. এ. কে একরামুজ্জামান, মো. রেজাউল হক চৌধুরী ও মো. নজরুল ইসলাম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্ট নম্বর ৩৫/২০২১ এ অন্তর্ভুক্ত অডিট আপত্তির অনুচ্ছেদ নং- ০১, ০২, ০৩, ০৪, ০৫, ০৬, ০৭, ০৮ এবং ০৯ এর বিষয়ে আলোচনা ও প্রমাণক সাপেক্ষে নিষ্পত্তিসহ অনাদায়ী অর্থ আদায়পূর্বক সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের রিপোর্টভুক্ত অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তিগুলোর মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিষ্পত্তির জন্য প্রমাণকসহ মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে প্রেরণের পরে সিএজি কর্তৃক নিষ্পত্তির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সিএজি কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, খাদ্য অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সিজিডিএফ কার্যালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

এক দিনের ব্যবধানে আরও কমল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিন না যেতেই আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।

ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ দাম এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিল বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভ‌রি‌তে স্বর্ণের দাম ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।

;

টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪টি জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ। ষড়ঋতুর এ দেশকে প্রকৃতি যেমন দু'হাত ভরে তাঁর বৈচিত্র্যময় সম্পদ ঢেলে দিয়েছে, তেমনি এদেশের মেহনতি মানুষ তাঁদের আপন শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্যসাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে। মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মন্ত্রী রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা-সহ ১৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ডিপিডিটি'র মহাপরিচালক মোঃ মুনিম হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে আমাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহ, দেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন্দ্রীয়ভাবে এসব পণ্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা যেতে পারে। তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বাংলাদেশ এখন কোন খালি বাস্কেট নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ভরা বাস্কেট। আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই, প্রয়োজন এর সদ্ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব সম্পদ ও পণ্যের প্রচার-প্রসার ঘটাতে হবে।

সিনিয়র শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে এমন ৫০০টি পণ্যের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। একটু দেরিতে হলেও আমরা এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা ২০১৩ সালে 'ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়ন করি এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করি। বিশেষ অতিথি বলেন, আমাদের জিআই পণ্যকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং একইসঙ্গে এর পেটেন্ট দিতে হবে। জিআই পণ্যের প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন উৎসব, পালাপার্বণ ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এসব পণ্যকে আমরা উপহার হিসেবে প্রদান করতে পারি। তাছাড়া এসব পণ্য সম্পর্কে টিভিসি, ডকুমেন্টারি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবস্থা প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়িসহ বাংলাদেশের মোট ১৪টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করা হয়। সেগুলো হলো যথাক্রমে গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা। এ নিয়ে ডিপিডিটি কর্তৃক জিআই সনদপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টিতে।

;

পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি'র দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বীর বাহাদুর উ শৈ সিং। কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, দীপংকর তালুকদার, শেখ আফিল উদ্দিন, মো. মঈন উদ্দিন এবং বেগম জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে তিন পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন, তিন পার্বত্য জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার সর্বশেষ অগ্রগতি ও তিন পার্বত্য জেলার পর্যটন শিল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

কমিটি তিন পার্বত্য জেলায় এনজিওগুলোর যে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলোর উদ্দেশ্য ও বাজেট সংক্রান্ত তথ্য অবশ্যই জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদকে অবহিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। বৈঠকে পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে বিনামূল্যে তিলের বীজ সরবরাহের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে পার্বত্য অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে বৃষ্টির পানি ধরে রেখে সারা বছর ব্যবহারের ব্যবস্থা করার একটি প্রকল্প প্রণয়নের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব; বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ; পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য; চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান; প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;