আগে ভোট দিয়া লই, পরে মাস্ক পরুম
বরিশাল জেলায় প্রতি দিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে জেলার ৫০টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ।
সাধারণ ভোটারদের মুখে নেই কোনো মাস্ক। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। গাদাগাদি করে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে আছে নারী-পুরুষ ভোটাররা।
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, পাঁচবছর পর ভোট আসছে। আগে ভোট দিয়া লই। তারপর করোনার নিয়ম মানমুনে। মাস্ক পড়মু আনে। তবে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও মাস্ক পরতে বললেও ভোটাররা তা মানছেন না।
সোমবার (২১ জুন) সকাল ৮টায় প্রথমধাপে বরিশাল জেলার ৫০টিসহ বিভাগের ১৬৮টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সিংহেরকাঠী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনেকের মুখেই মাস্ক না থাকা। আবার অনেকেই মাস্ক পরার যথাযথ নিয়মে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি।
এছাড়াও উজিরপুরের দক্ষিণ শোলক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে অনেক নারীদের মুখে মাস্ক নেই। আবার অনেকের মাস্ক থুতনিতে।
মাস্ক পরা নিয়ে বেলারাণী সমদ্দার জানান, গতবার নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। তাই এবার আগে ভোট দিয়া লই। মাস্ক পরে পড়মু। করোনায় আর একদিনে কি করবে।
আব্দুল লতিফ নামে আরেক ভোটার জানান, গ্রামে করোনা নাই। ভোট তো আর বার বার আইবে না। মাস্ক আছে পরে পড়মুনে।
সিংহেরকাঠী কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. হাসানুর রশীদ মাকসুদ জানান, বৃষ্টির কারণে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ মানা সম্ভব হয়নি। তবুও চেষ্টা করছি সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে। নির্বাচন যথাযথ নিয়মে হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বরিশাল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা নুরুল আলম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রত্যেক ইউনিয়নে রিটার্নিং অফিসাররা ঘুরছেন। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও টহল দিচ্ছে কেন্দ্রগুলোতে। এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।
বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। সেই অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে কাজ করছেন। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।