'জলজটের ভোগান্তি থেকে নগরবাসীকে মুক্ত রাখা সম্ভব হয়েছে'
সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই প্রবল বৃষ্টিপাতেও জলজটের ভোগান্তি থেকে নগরবাসীকে মুক্ত রাখা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে গুলশানের নগর ভবনে নিজ কার্যালয় থেকে দিনভর প্রবল বৃষ্টিপাতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে গিয়ে ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।
তিনি বলেন, অন্যান্য বছর সামান্য বৃষ্টিতেই ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা-ঘাট ডুবে যেতো, জলজটে নগরবাসীকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। কিন্তু এবার রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতেও নগরবাসীকে জলজট সমস্যায় ভুগতে হচ্ছেনা।
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আজ ২৫ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলেও নৌবাহিনী সদর দপ্তর প্রধান সড়ক, গলফ হাইট প্রধান সড়ক, সেতু ভবন প্রধান সড়ক, নাখাল পাড়া, কালা চাঁদপুর, বারিধারা, বেগম রোকেয়া সরণি, কচুক্ষেত, আনসার ক্যাম্প-দারুস সালাম রোড, মগবাজার, বেপারি পাড়া, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরসহ ডিএনসিসির প্রায় সকল এলাকাই জলজট মুক্ত ছিল।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, তিনি কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী বলেই পহেলা জুন ঢাকায় দীর্ঘ সময় ধরে রেকর্ড ৮৫ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলেও দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নগরবাসীকে জলজট থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৬ই জুন মিরপুর কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকায় সড়কসমূহ পরিদর্শনকালে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে মেট্রোরেল সংলগ্ন রাস্তা ও ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করার পাশাপাশি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল বলেই আজ দিনভর বৃষ্টিপাতের পরও সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীকে জলজটের ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।
মেয়র বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে, জনগণের সহায়তায় তা অব্যাহত থাকবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, একটি সুস্থ, সুন্দর নগরী গড়ে তোলার জন্য সকলকে দায়িত্ববান হতে হবে, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে জনকল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঢাকাকে দখল, দূষণ ও দুষ্ট লোকের কবল থেকে মুক্ত করে সবার বাসযোগ্য একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় রূপান্তরিত করতে হবে।