আইন সংশোধন ও তামাক কোম্পানি থেকে শেয়ার প্রত্যাহার জরুরি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তামাক নিয়ন্ত্রণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী আইন সংশোধন ও তামাক কোম্পানি থেকে শেয়ার প্রত্যাহার জরুরি। সেই সঙ্গেদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও নীতিতে তামাক কোম্পানিগুলোর অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়নি। তামাক নিয়ন্ত্রণে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পলিসি’র সুরক্ষায় ‘এফসিটিসি’র আর্টিকেল ৫.৩’ অনসারে গাইডলাইন প্রণয়ন বর্তমান সময়ের দাবি। একই সাথে তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী আইন ও নীতিগুলো যুগোপযোগী করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী’র প্রত্যয় অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে এর বিকল্প নেই।

বুধবার (২৩ জুন ) ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র আয়োজনে “কোম্পানির প্রভাব: তামাক নিয়ন্ত্রণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক লাইভ টকশোতে বক্তারা উক্ত মতামত ব্যক্ত করেন।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র প্রকল্প কর্মকর্তা আবু রায়হান এর সঞ্চালনায় টক শো-তে অতিথি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এর আহ্বায়ক ফরিদা আখতার, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের পরিচালক (স্বাস্থ্য এবং ওয়াশ সেক্টর) ইকবাল মাসুদ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘দি ইউনিয়ন’ এর কারিগরী পরামর্শক এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান।

ফরিদা আখতার বলেন, সরকার একদিকে তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করছে। আবার অন্যদিকে এ সকল পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিকে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করছে। এটা এক ধরনের দ্বৈতনীতি। ধোঁয়াবিহীন তামাক কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী। একই সাথে তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার করা উচিৎ।

ইকবাল মাসুদ বলেন, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবী ও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনার পরেও ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে তামাক পণ্যের কর বাড়েনি কারণ, এর পেছনে কল-কাঠি নাড়ছে তামাক কোম্পানিগুলো। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা ‘এমপাওয়ার পলিসি প্যাকেজে’ তামাকের কর বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্বাপরোপ করা হয়েছে। সুতরাং, প্রকৃত অর্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে আইন সংশোধন, কর সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যহত রাকতে হবে।

এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন,তামাক নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট দপ্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দ্রুত বদলি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতি’, ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ রোডম্যাপ’, ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিসহ অনেকগুলো নীতি প্রণয়ন দীর্ঘদিন থেকে চলমান। কোন এক অজানা কারণে তা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো চূড়ান্ত এবং এফসিটিসি স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে এর ধারা ৫.৩ অনুসারে ‘গাইডলাইন’ প্রণয়ন করা উচিত।

সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, বাংলাদেশে এখনো এমন কয়েকটি আইন ও ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে যেগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে পুরাতন মান্ধাতার আমলের এ আইনগুলো জনবান্ধব ও যুগোপযোগী করতে হবে। এফসিটিসি অনুসারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে নীতি সুরক্ষায় দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেগুলো আমরা অনুসরণ করতে পারি।

   

নারী চিকিৎসককে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসককে হয়রানি করার অপরাধে সাগর হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সাগর হোসেন দৌলতপুর থানা বাজার এলাকার বিপ্লব হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোহিদুল ইসলাম জানান, ওই যুবক বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের এক নারী চিকিৎসককে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে এসে একইভাবে তাকে হয়রানি করতে গেলে আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বখাটে সাগর হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

;

কটিয়াদীতে চেয়ারম্যান-মেম্বারের দ্বন্দ্ব, এমপির সামনেই চেয়ার ছোড়াছুড়ি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জ-২, কটিয়াদী পাকুন্দিয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এড. সোহরাব উদ্দিনের সামনেই করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ও এক মেম্বারের সমর্থকদের চেয়ার ছুড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লা ও একই ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহবুবুর রহমান পানুর মধ্যে সৃষ্ট পূর্ব বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্যে করগাঁও হাইস্কুল মাঠে এক শালিস দরবার আয়োজন করা হয়। পরে শালিস দরবারের এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় সাবেক সাংসদ মেজর অব. আখতারুজ্জান রঞ্জন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. এম এ আফজল, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন মো. আলী আকবর, এড. মাহমুদুল ইসলাম জানু ও স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তি বর্গসহ কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

শালিসের এক পর্যায়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লাকে কটাক্ষ করে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠি চার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাট্টা এলাকায় এক ব্যক্তির নিকট পাওনা টাকা আদায় ও ভিজিডি চাল বরাদ্দের বিষয় নিয়ে গত রমজান মাসে করগাঁও ইউনিয়নের ভাট্টা ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহাবুবুর রহমান পানুকে পরিষদ থেকে ধরে নিয়ে করগাঁও এলাকার কিছু লোক অপমান অপদস্ত করে।

তাদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে কোনো প্রতিবাদ ও উক্ত ঘটনার কোনো বিচারও করে নাই। বিষয়টি অন্যান্য মেম্বারসহ একাট্টা হলে করগাঁও ও ভাট্টা এলাকায় অচলাবস্থাসহ উত্তেজনা বিরাজ করে। সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে এমপিসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে গ্রামবাসী শালিস দরবারে বসে। কিন্তু চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে আক্রমনাত্মক কথার কারণে শালিস দরবার পন্ড হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লার সাথে কথা বলতে চাইলে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে করগাঁও এলাকায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।

;

যাদের কোন জাত-ধর্ম নেই তারাই শ্রমিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের মধুখালীতে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান পঞ্চপল্লীর মন্দিরে আগুনের অভিযোগে দুই শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘যাদের কোন জাত নেই, যাদের কোন ধর্ম নেই’ তারাই দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা খুনি। এই ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। তিনি বলেন, যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা মুসলিমও না, হিন্দুও না। তাদের কোনো ধর্ম নেই।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন। এর আগের দিন বুধবার রাতে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি।

মন্ত্রী বলেন, অপরাধীরা মনে করেছে, এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পার পেয়ে যাবে! তার কোন সুযোগ নাই। হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে আইনের ধারানুযায়ী হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিন্ত করা হবে। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় ১৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের সমাজে কে হিন্দু, কে মুসলমান কে কোন জাতি এটা বড় বিষয় নয়, আমরা সকলেই মানুষ। কোন মানুষই এ ঘটনাটিকে মেনে নিতে পারছে না। সকলেই শোকাহত পরিবারটির পাশে দাড়িয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দ্যেশে এসময় মন্ত্রী বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করছেন হত্যাকাণ্ডের তথ্য উদঘাটন করার জন্য। কেউ কেউ ঘটনাটিকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য হয়তো চেষ্টা চালাচ্ছেন। সেদিকে আপনারা সতর্ক অবস্থানে থাকুন। কোন ভাবেই শান্তি প্রিয় এ এলাকাকে অশান্ত করতে দেওয়া হবে। যে ঘটনাটি ঘটেছে তার সঠিক বিচার শীঘ্রই হবে। যা নিহত দুই ভাইয়ের মা-বাবা দেখে যেতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দ্যেশে এ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও মৎস্য মন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে যার যার এলাকায় নেতৃত্বস্থানীয় লোকজন নিয়ে সভা করেন। লোকজনকে বুঝিয়ে বলুন যে, দুই শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার শীঘ্রই হবে। ঘটনাটি নিয়ে আবেগী হয়ে আপনারা কোন বিষয়ে উস্কানি দিবেন না। এলাকায় পাহারার মত অবস্থানে থাকুন। প্রয়োজনে আপনারা প্রশাসনকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। তিনি বলেন, কোন দল বা কোন সংগঠন যারাই এই পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে আসবেন, তাদেরকে আমি ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিবো। তবে এ ঘটনাকে ইস্যু করে কোন ধরণের অশান্তি সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামনুন আহমেদ অনীকের সভাপতিত্বে সম্প্রীতি কমিটির সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিহত দুই শ্রমিকের বাবা শাহাজাহান শেখ, মধুখালী সার্কেলের এএসপি মিজানুর রহমান, ফরিদপুর ইসলামীক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক শাহাবুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু, পৌর মেয়র মোর্শেদ রহমান লিমন, উজানদিয়া মডেল মসজিদের ইমাম হাফেজ আলম হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুবাস রায় প্রমুখ। সভায় বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর বদরুল হুদা আকরাম, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ১৮ এপ্রিল ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীর মন্দিরে আগুনের অভিযোগে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনার একদিন পর থানায় মামলা তিনটি নথিভুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় মোট ১৫জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বুধবার রাতে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি।

;

গ্যাসের সিস্টেম লস এ বছরেই জিরোতে নেমে আসবে: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্যাসের অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযানের কারণ সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এ বছরের শেষ নাগাদ সিস্টেম লস জিরোতে নেমে আসবে বলে আশাবাদী বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিগত ২ বছরে ৮ লাখ ৬৫ হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরমধ্যে অবৈধ শিল্প সংযোগ ৩৩৬টি, ৯৭টি ক্যাপটিভ, সিএনজি ফিলিং স্টেশন ১৩টি, ৯৮৯টি কিলোমিটার অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৬০৪ কোটি টাকা।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে অনেক বাঁধা এসেছে, শুধু রাজনৈতিক নেতা নয়, অনেক রকম বাঁধা এসেছে। এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী এখানে কোন বাঁধাই বাঁধা নয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের বিতরণ কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে প্রতিবছর অডিটিং করার জন্য। মিটার ক্যালিব্রেশন করা হবে, তাদের প্রয়োজনীয় অনুমোদন আছে কি-না। নিয়ম অনুযায়ী কার‌্যক্রম চলছে কি না। সারাদেশে যতো আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প গ্রাহক রয়েছে তাদের বাড়ি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পরিদর্শন করবে।

তিতাস গ্যাসে তৃতীয় পক্ষের মধ্যমে অডিটিং করার জন্য ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে। তিতাস গ্যাসের হিসাব, তাদের বিলিংয়ের অংকে কোন ভুলভ্রান্তি আছে কিনা। কোন ভুতুড়ে গ্রাহক আছে কিনা। তিতাসের প্রাইসিংয়ের মধ্যে কোন ফাকফোকর আছে কিনা অডিট করা হবে। তাদের ট্যাক্সেশন নিয়ে অভিযোগ ছিল, সেটাও যাচাই-বাছাই করবে।

তিনি বলেন, আমরা ১২হাজার কোটি টাকায় প্রকল্প নিয়েছি। প্রকল্পটি হলে ঢাকা এবং নারায়নগঞ্জে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহে ভূমিকা রাখবে। শিল্পে কিভাবে নিরবিচ্ছিন্ন করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। তিতাস গ্যাস ৩০ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের লক্ষ্যে প্রকল্প নিয়েছে। এই বছরের মধ্যে টেন্ডারে যাওয়া হবে। গোটা তিতাসকে ঢেলে সাজানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে কিভাবে ফান্ডিং করা যায়, সে বিষয়ে কাজ চলছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে বলেছি, তাদের একটি রোডম্যাপ করার জন্য। স্মার্ট বাংলাদেশ মানে শুধু টেকনোলজি না। টেকনোলজি শুধুমাত্র একটি কমপোনেন্ট মাত্র। সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আপনারা অতীতে সহযোগিতা করেছেন আপনাদের একটি ভূমিকা প্রয়োজন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ।

;