আ.লীগের লোকেরাই আওয়ামী লীগকে ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে: প্রধানমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওপর বার বার আঘাত এসেছে। সংগঠনকে ভাঙার চেষ্টা হয়েছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ, এই সংগঠন মাটি ও মানুষের থেকে উঠে এসেছে। এটা কোন ক্ষমতা দখল করে হাতে গড়া সংগঠন নয়। যে সংগঠন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে গড়ে ওঠে সেই সংগঠন এতো সহজে শেষ করে দেওয়া যায় না, হয়তো সাময়িক আঘাত আসে। আওয়ামী লীগের ওপর অনেকবার আঘাত এসছে। আওয়ামী লীগের ভেতরের লোকরাই তো আওয়ামী লীগকে ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে।

বুধবার (২৩ জুন) ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মুসলিম লীগ সরকারের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে এই সংগঠন গড়ে উঠেছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে যে সংগঠন গড়ে ওঠে সেই সংগঠন এতো সহজে ধ্বংস করা যায় না।

তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, তিনিই তো সবার আগে আওয়ামী লীগ ভেঙে চেলে গেলেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি করতে। ঠিক এভাবে কতবার আওয়ামী লীগ ভেঙেছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮১ সালে যখন আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হল আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য। দুর্ভাগ্য যে আমি প্রবাসে থাকতে যাকে সব থেকে বেশি সংগঠনের জন্য সহযোগিতা করেছি, আমি ফিরে আসার পর তিনিই আমাকে ছেড়ে, আওয়ামী লীগ ছেড়ে চলে গেলেন আমাদের আব্দুর রাজ্জাক সাহেব। বার বার তাকে বললাম আপনার তো যাওয়ার দরকার নাই, আপনি থাকেন। সে পার্টির সেক্রেটারি। না সে পার্টি ভেঙে বাকশাল করল। এরপর আবার ড. কামাল হোসেন যাকে আমরা রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করলাম। তার নাম ডাক হলো। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বলে তাকে প্রচার করলাম। আসলে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন তখন কি? তিনি তো বঙ্গবন্ধুর কেবিনেটের একজন মন্ত্রী ছিলেন মাত্র। আমাদের প্রচারের মাধ্যমে তাকে তুলে ধরলাম। যিনি ভালো করে বাংলায় কথাও বলতে পারতেন না। তিনি ১৯৯১ সালে পার্টি ভেঙে চলে গেলেন। আর একটা পার্টি বানাবার চেষ্টা করলেন। প্রথমে আওয়ামী লীগের একটা করতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তারপর গণফোরাম করে চলে গেলেন।

তিনি বলেন, এভাবে বার বার আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে। তবে আমি বলব আওয়ামী লীগ হীরার টুকরা। যতবার ভাঙার চেষ্টা হয়েছে ততো আরও জনবল বেড়েছে, আরও নতুনভাবে জ্যোতি ছড়িয়েছে। কাজেই এই সংগঠনকে ধ্বংস করার জন্য যতই চেষ্টা করুক, সেটা পারেনি পারবে না।

তিনি বলেন, এদেশ থেকে আওয়ামী লীগের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখন সৃষ্টি হয়, মুসলিম লীগ ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে। আইয়ুব খান যখন ক্ষমতায় এসেছে সেও আওয়ামী লীগ ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। ইয়াহিয়া খান সেও আওয়ামী লীগ ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে, কারণ তখন যে গণহত্যা করেছিল ১৯৭১ সালে সেটা সত্যিকার লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। ঠিক জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে সেও আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। জেনারেল এরশাদও একই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে। আর খালেদা জিয়া এসে তো আরও একধাপ উপরে।

তিনি বলেন, একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে ১৯৯১-৯৬ সাল আর ২০০১-২০০৬ কত মানুষকে তারা হত্যা করেছে। তাদের লক্ষ্য একটা আওয়ামী লীগকে শেষ করা। আবার যখন জরুরি অবস্থা দেওয়া হল তখন সবার আগে আমাকেই গ্রেফতার করা হল। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের উপরই আক্রোশ। কেন? আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা এনেছে সেজন্য? আওয়ামী লীগের সৃষ্টি সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এদেশের গরিব, দুঃখী মানুষ তারা পেটে ভাত পায়, তারা মাথা গোঁজার ঠাঁই পায়, ঘর পায়, চিকিৎসা পায়, লেখা পড়ার সুযোগ। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনা যখনই করেছে এই বঞ্চিত মানুষেরই ভাগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। রাজনৈতিক দখল হিসেবে যদি বিবেচনা করা যায় এখানে হ্যাঁ কিছু বাম দল আছে, কিছু দক্ষিণপন্থী আছে, কিন্তু সত্যিকার গণমানুষের দল হিসেবে যদি বাংলাদেশে কোন দল থেকে তাকে সেটা হচ্ছে একমাত্র দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অনেকে অনেক কিছু বলেন। কিন্তু তারা কখন এই জিনিসটা উপলব্ধি করেন না। করবেন কি করে? কারণ এদেশে যখন একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, বাংলাদেশে যখন কোন অরাজনৈতিক অথবা অগণতান্ত্রিক অসাংবিধানিক সরকার আসে তখন ইনাদের মূল্যাটা একটু বাড়ে। কেউ কেউ পতাকা নিয়ে বসে থাকেন। যে কারণে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে নাই। তারা ক্ষমতাটাকে পদলেহন করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে যা করে জনগণের জন্য করে। আওয়ামী লীগ জনমানুষের দল।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যার পর সংবিধানের বিধানগুলি তো আর অনুসরণ করাই হয়নি। অনুসরণ করবে কি, সংবিধান লঙ্ঘন করেই তো ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য ছুটেছে, মানুষের কল্যাণের জন্য না। তারা কিছু চাটুকারের দল সৃষ্টি করেছে, তোষামোদির দল সৃষ্টি করে তাদের নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা না করে।

এদেশের ইতিহাস অত্যন্ত করুণ ইতিহাস। ’৭৫-এর পর বার বার ক্যু করা হয়েছে। সব থেকে বড় ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর। কত সৈনিকের জীবন দিতে হয়েছে। আর ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের। কত মানুষের জীবন দিতে হয়েছে, একটার পর একটা ক্যু আর মানুষকে হত্যা। সেই জায়গা থেকে দীর্ঘদিন গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে যেয়ে আমাদের পদে পদে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। জীবন্ত মানুষকে অগ্নিসংযোগ করে সন্ত্রাস করে হত্যা, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা দেখেছি। ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করা নিরহ মানুষ হত্যা করা নানাভাবে তারা চেষ্টা করেছে দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে।

আওয়ামী লীগ প্রধান দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমাদের প্রত্যেক নেতা-কর্মী যখনই যে ডাক দিয়েছি যে কাজ দিয়েছি নিজের জীবন বাজি রেখে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী মাঠে থেকেছে জনগণের পাশে থেকেছে। জনগণের জানমাল রক্ষা করেছে। সেই আদর্শ নিয়েই তারা চলেছে। সেটাই সব চেয়ে বড় কথা। আওয়ামী লীগের ইতিহাসের সাথে এদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস জড়িত। এদশের সংস্কৃতিক মুক্তি, সামাজিক নিরাপত্তা সামাজিকভাবে যতটুক অর্জন অর্থনৈতিকভাবে যতটুক অর্জন সবকিছুর পেছনে শক্তিশালী সংগঠন আওয়ামী লীগের অর্জন। দলটা যদি শক্তিশালী না হয় তাহলে আসলে কোন কাজ করা যায় না। আর সেটা বাস্তবায়ন করা যায় না। শুধুমাত্র সরকার দিয়ে হয় না, তার পেছনে শক্তিশালী সংগঠনও থাকতে হয়। সরকারের পাশে যদি শক্তিশালী সংগঠন থাকে তাহলে যে কোন অর্জন সম্ভব। আজকে যতটুক অর্জন করেছি এই সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ আমার পাশে ছিল বলেই আমার অর্জনগুলি করতে সক্ষম হয়েছি। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একটি আদর্শ আছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়েই আমরা চলি। আমরা কোন কাজ করার আগে লক্ষ্য স্থির করি। অন্যা কোন রাজনৈতিক দলের এরকম কোন লক্ষ্যও নেই, কোন চিন্তাভাবনাও নেই। আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা আছে, আমাদের ঘোষণাপত্র আছে আমরা সেগুলো মেনে সংগঠন করি, সেগুলো মেনেই আমরা যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসি আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালায় কি ছিল দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি এবং বস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা শুরু থেকেই চিন্তা করেছি বলেই এবং পরিকল্পনা নিয়েছি বলেই তা বাস্তবায়ন করতে সহজ হয়েছে। যার জন্য এত অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়শীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ৭৫ পর্যন্ত জাতির পিতা যেটুক অর্জন করে রেখে গিয়েছিলেন স্বল্পোন্নত দেশ। এরপর ’৭৫ পরবর্তী যারা ক্ষমতায় ছিল প্রায় ২৯ বছর। তারা কিন্তু কিছু দিতে পারেনি। দিয়েছি আওয়ামী লীগ যখনই আওয়ামী লীগ এসেছে তখনই এদেশে মানুষ কিছু পেয়েছে।

   

তীব্র তাপপ্রবাহ: প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলমান দাবদাহের কারণে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

সারাদেশে তিন দিনের জন্য ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আগামীকাল রোববার খুলবে দেশের সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। 

;

বরিশালে ঋণের চাপে দুই সন্তানের জননীর আত্মহত্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়ায় দুই সন্তানের জননী ডালিয়া বেগম (৩৮) ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে তাকে ঝুলতে দেখে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় বানারীপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মরদেহ বরিশাল শেবাচিম মর্গে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শারমিন জানান, ডালিয়া বেগম বিভিন্ন সমিতি ও এনজিও থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তিনি বিভিন্ন এনজিও ও সমিতির লোকজনের চাপে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। ধারণা করছি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

বরিশাল বানারীপাড়া থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, ডালিয়া বেগমের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

;

গরমে বেড়েছে চার্জার ফ্যান ও এসির চাহিদা



খন্দকার আসিফুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষ। অসহনীয় এই গরম থেকে বাঁচতে সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রেতারা বেছে নিচ্ছেন চার্জার ফ্যান কিংবা এসি। যে কারণে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দোকানে বাড়ছে চার্জার ফ্যান ও এসির চাহিদা। সাধারণ সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে অন্যান্য ফ্যানের দাম স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে রিচার্জেবল ফ্যানের দাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর নবাবপুরের ইলেকট্রনিক সামগ্রীর পাইকারি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার মার্কেটটির সাপ্তাহিক বন্ধ থাকলেও দেশের চলমান তাপপ্রবাহের কারণে চার্জার ফ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের ফ্যানের চাহিদা বাড়ায় কিছু কিছু দোকান খোলা রয়েছে। এখানকার দোকানিদের দাবি, ফ্যানের চাহিদা বাড়লেও দেশে অন্যান্য পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও সে অনুযায়ী বাড়েনি ফ্যানের দাম।

সিলিং ফ্যানের দাম স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে দোকানিরা বলেন, নন-ব্যান্ড সিলিং ফ্যানের দাম ১৫০০ টাকা থেকে শুরু এবং ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যানের দাম শুরু ২৮০০ টাকা থেকে। বিভিন্ন কোম্পানির স্ট্যান্ড ফ্যান আকার অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০০ টাকা এবং তার বেশি দরে। 


তবে দেশজুড়ে রিচার্জেবল ফ্যানের চাহিদার সাথে বেড়েছে দামও। ১২ ইঞ্চি চার্জার ফ্যানের দাম রাখা হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১৪ ও ১৮ ইঞ্চির ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায়।

নবাবপুরে মামুন এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মীর মো. মামুন বার্তা২৪.কমকে জানান, বর্তমান বাজারে ফ্যানের চাহিদা থাকলেও দেশের বাজারের অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও ফ্যানের দাম বাড়েনি। শুধুমাত্র চার্জার ফ্যানের দাম গত বছরের তুলনায় আকার অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে।

একই মার্কেটের হাসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. হাসান বলেন, গরমে চাহিদা বাড়লেও ফ্যানের দাম বাড়েনি। তবে ঈদ আর বৈশাখের লম্বা ছুটির কারণে দেশে যে চার্জার ফ্যানগুলো অ্যাসেম্বল করা হতো সেগুলো পর্যাপ্ত করতে না পারায় চার্জার ফ্যানের দাম কিছুটা বেড়েছে।

একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি আক্তার হোসেন এসেছেন চার্জার ফ্যান কিনতে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে গরম পড়ছে, যদি ট্যাকা থাকতো তাইলে একটা এয়ার কন্ডিশনই কিনতাম। কিন্তু চার্জার ফ্যানেরই যে বাজেট নিয়া আইসি অইটা দিয়াও হইবো না। বউরে ফোন দিয়া কইলাম আরও ৫০০ ট্যাকা মোবাইলে পাঠাইতে।


চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছেন এমন আরও একজন মহিমা হালদার। ১১ মাসের একটি পুত্রসন্তানের মা তিনি। গরমে বিরক্তি নিয়ে বলেন, এমন গরমে ২৪ ঘণ্টা ফ্যান চালাইয়াও আমরা বড়রাই গরম সহ্য করতে পারতাছি না। আর ১১ মাসের ছোট্ট বাচ্চায় ক্যামনে সহ্য করব। অন্য খরচ বাদ দিয়াই একটা ফ্যান কিনতে আসা।

এদিকে চার্জার ফ্যানের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে এসিরও। বেড়েছে দামও। বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন ও যমুনা ইলেকট্রনিক্সের কয়েকটি শোরুম ঘুরে দেখা যায়, ওয়ালটনের এক টনের এসি ৬৫ হাজার ও দেড় টন এসি বিক্রি হচ্ছে ৭৪ হাজার টাকায়। কিছুটা কমে যমুনার এক টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ইনভার্টারসহ ৪৯ হাজার ও ইনভার্টার ছাড়া ৪২ হাজার টাকায়। আর দেড় টনের এসি ইনভার্টারসহ ৬৭ হাজার এবং ইনভার্টার ছাড়া ৫৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ওয়ালটন এবং যমুনার বিক্রয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিক্রির সময় পণ্যের মূল দাম থেকে ক্রেতাদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়।

;

তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামী রোববার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এরই মধ্যে দেশের তাপমাত্রা অসহ্য অবস্থায় পৌঁছানোয় কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, এ বছর শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রমজানের শুরুতে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অন্যদিকে, রমজানের প্রথম ১০ দিন ক্লাস চালু ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একইভাবে সব কলেজ ও মাদরাসায়ও ছুটি কমিয়ে রমজানের শুরুর দিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়। ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

 

;