‘রাজধানীতে করোনা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে যেতে পারে’
দেশে প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় রাজধানীর পার্শ্ববর্তী সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। যদি চারপাশের এই এলাকা থেকে রাজধানীতে মানুষের প্রবেশ ঠেকানো না যায়, তাহলে ঢাকার করোনা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে যেতে পারে।
বুধবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে একথা বলেন অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
দেশে এখন করোনার দ্বিতীয় নাকি তৃতীয় ঢেউ চলছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ঢেউয়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা। আমরা হয়তো দ্বিতীয় ঢেউ শেষ করতে পারিনি এখনও, কিন্তু খেয়াল করতে হবে, সংক্রমণের হার যদি পাঁচ শতাংশ বা এর নিচে রেখে দিতে পারি, তাহলে পরিস্থিতি সবসময়ই স্ট্যাবল বা স্থিতিশীল থাকবে। আর পাঁচ শতাংশের নিচে যদি কমপক্ষে তিন সপ্তাহ বা তারও কম সময় ধরে রাখা যায়, তাহলে করোনার সংক্রমণ থেকে দেশ মুক্তি পেতে পারে।
ডা. রোবেদ আমিন বলেন, কিন্তু আমরা সেটা পারিনি। সেজন্য দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঢেউ নয়— সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে, এটাই বড় খবর।
ঢাকায় লকডাউন জরুরি কিনা সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশের যেসব এলাকা থেকে ঢাকামুখী রোগী আসার সম্ভাবনা ছিল, সেসব স্থানগুলোকে যদি বন্ধ করা যায়, তাহলে ঢাকার ভেতরে লকডাউন দেওয়া জরুরি বা তার প্রয়োজন হবে না। কিন্তু যদি আমরা সে পরিস্থিতি ‘কন্ট্রোল’ করতে না পারি, অর্থাৎ ঢাকার চারপাশের এলাকা থেকে যদি মানুষকে ঠেকিয়ে রাখতে না পারি, তাহলে এমনও হতে পারে যে, ঢাকার পরিস্থিতি নাজুক হয়ে যেতে পারে।
আবারও লকডাউন ঘোষণা হতে পারে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, সারাদেশে আপাতত লকডাউন নয়। তবে পরিস্থিতি যদি নাজুক হয় তাহলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রোবেদ আমিন বলেন, এখন পর্যন্ত ঢাকায় সংক্রমণের হার খুব বেশি বাড়েনি। তবে যেকোনো সময় এটি বেড়ে যেতে পারে। আমরা আশা করছি ঢাকার আশপাশের সাতটি জেলায় যদি লকডাউন সফল হয় এবং আমরা যদি মানুষের যাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে রাজধানী বা সারাদেশে লকডাউন প্রয়োজন হবে না।