নোয়াখালীতে করোনায় ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৯৯

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী 
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরও ৯৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৩৫০ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ ফল পাওয়া যায়। এতে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। 

এতে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দশ হাজার ৯১৫ জন। মোট আক্রান্তের হার ১১ দশমিক ২২ শতাংশ। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪০ জনে। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এর মধ্যে সদর উপজেলায় মারা যায় ২৭ জন, সুবর্ণচরে ৩ জন, বেগমগঞ্জ ৪৮ জন, সোনাইমুড়ীতে ৮ জন, চাটখিল ১৩ জন, সেনবাগ ১৯ জন, কোম্পানীগঞ্জ ৪জন, কবিরহাট ১৮ জন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৮ জুন) সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এর আগে রোববার রাত ১২টায় জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় এই সব তথ্য তাদের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টেও প্রকাশ করে।

ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদও উপজেলায় ১২ জন, সুবর্ণচরে ৭ জন, হাতিয়ায় ১ জন, বেগমগঞ্জ ২৯ জন, সোনাইমুড়ী ৯ জন, চাটখিল ৬ জন, সেনবাগ ৭ জন, কোম্পানীগঞ্জ ১৬ জন, কবিরহাট ১২ জন রয়েছেন। তিনি আরও জানান, এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।   

বিজ্ঞাপন

এদিকে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৩১৩ জন। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে (শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম) ভর্তি রয়েছেন ৪৪ জন ও আইসোলেশনে রয়েছেন ১৮ জন। 

উল্লেখ্য, নোয়াখালীতে করোনার প্রকোপ না কমায় নোয়াখালী পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকেল ৫টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সাথে সাথে চৌমুহনী পৌরসভা এবং বেগমগঞ্জের মীর ওয়ারিশপুর ও একলাশপুর ইউনিয়নে লডডাউন ঘোষণা করা হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপে ৫-১১ জুন লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১১-১৮ জুন, তৃতীয় দফায় ১৮-২৪জুন, চতুর্থ দফায় ২৫-২ জুলাই নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ২ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর থাকবে। একই সঙ্গে আগের সব বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। এর আগে গত ৪ জুন বিকেলে জেলা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান প্রথম দফায় লকডাউন ঘোষণা করেন। নোয়াখালী পৌরসভা, চৌমুহনী পৌরসভা ছাড়াও সদর উপজেলার নেয়ান্নই, বিনোদপুর, কাদির হানিফ, নেয়াজপুর, অশ্বদিয়া ও নোয়াখালী ইউনিয়ন, বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর ওয়ারিশপুর ও একলাশপুর ইউনিয়নে বিশেষ লকডাউন কার্যকর রয়েছে।