নিহতদের পরিবারে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জাফরুল্লাহ’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে হাসেম ফুডস ফ্যাক্টরীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫২ জন শ্রমিক-কর্মচারীর প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সরকার ও মালিক উভয় পক্ষের কাছে তার এই দাবি।

রোববার (১১ জুলাই) দুপুর ১ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এই দাবি করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফত, রাষ্ট্র চিন্তার এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মো. ফরিদ উদ্দিন, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লা, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, গণসংহতির নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক তরিকুল সুজন প্রমুখ।

এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যারা আমাদের চলমান রাখে, রাষ্ট্রকে ভালো রাখে তাদেরকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে হবে। তাদের জন্য সঠিক ব্যবস্থা না নিলে যা হয় তাই হয়েছে। এটাকে দুর্ঘটনা বলা যাবে না, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, যদিও কেউ হত্যা করেনি। সরকারের একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিভাগ আছে, তাদের ইন্সপেক্টরদের প্রতিনিয়ত কলকারখানায় এসে দেখার কথা। তারা এখানে আসলে বুঝতে পারত কোথায় কোথায় গাফিলতি আছে। দুর্নীতির ফলে তারা আসে না।

তিনি বলেন, সরকারে অব্যবস্থাপনার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতি বছর অগ্নিকাণ্ডে যেভাবে মৃত্যু ঘটছে তাতে এই সরকারের ক্ষমা পাওয়ার উপযুক্ততা নাই। ন্যায়নীতি না থাকলে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইন না মানলে এইসব দুর্ঘটনা থামবে না। আমাদের সবার জন্য দুঃখ আছে, জাতীর জন্য দুর্ভোগ আছে। এতগুলো জীবন গেলে তার মূল্য কে দিবে। এই দায়-দায়িত্ব সরকারের।

নির্বাচিত সরকার না হলে জনগণের প্রতি সরকারের দায়-দায়িত্ব থাকে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এখানে এসে সমস্ত এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। উনার ব্যর্থতায় এই অগ্নিকাণ্ড, সরকারের কেউ অনিয়ম করলে প্রধানমন্ত্রীর ওপর বর্তায়।

তিনি বলেন, আমরা সম্মিলিতভাবে দাবি করছি, যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারকে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। টাকা দিয়ে তো জীবনের ক্ষতিপূরণ হবে না। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এই টাকাটা পেলে উপকৃত হবে। যারা বেঁচে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মক্ষম গড়ে তুলতে হবে এবং তাদের পরিবারের মধ্যে থেকে কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। আহত শ্রমীকদের যাবতীয় চিকিৎসা খরচ দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের হাতে আমাদের জীবন ছেড়ে দেয়া যাবে না। পরিদর্শক কমিটিতে দুইজন নিরেপক্ষ পরিদর্শক থাকতে হবে। তারা সাংবাদিক হতে পারেন, বিশিষ্ট নাগরিক হতে পারেন, মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন। যারা আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত হবেন না। নিরেপক্ষ পরিদর্শক থাকলে মিথ্যাচারটা কম হবে, এটা সংস্কার হবে, জনগণের জীবন রক্ষা পাবে।

গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর আমাদের জাতীয় সক্ষমতা তৈরি হওয়ার কথা ছিল। এমন একটা প্রতিষ্ঠান তৈরি হওয়ার দরকার ছিল, যার মাধ্যমে সমস্ত কলকারখানা নিয়ম মেনে হবে এবং সেখানে যারা কাজ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশ সরকার কোনো প্রতিষ্ঠান তৈরি করলো না। গার্মেন্টসের বাইরে এদেশে যত কলকারখানা আছে সমস্ত কলকারখানা একই রকম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। সেখেনে যেকোনো মুহূর্তে আগুন, ভবন ধ্বসসহ নানা ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, আমাদের দেশে যে সরকার আছে। তার যে প্রশাসন, তার তদারকি কমিটি, পরিদর্শন কমিটির চরম অবহেলার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। তাদের চরম দুর্নীতির জায়গা এটি। তারা কলকারখানায় আসেন এবং টাকার বিনিময়ে ছাড়পত্র দেন। এই সব দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা গেলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।

   

রংপুর মেডিকেলে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে রোগীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুর মেডিকেলে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

রংপুর মেডিকেলে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চম দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজে গত রোববার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা মাসিক ভাতা ১৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। তারা জানান, গত বছর তারা মাসিক বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। তখন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেতন–ভাতা বৃদ্ধির আশ্বাস দিলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।

এ দিকে, মধ্যস্তরের চিকিৎসকদের দিয়ে পালাক্রমে সেবা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের অনুপস্থিতির কারণে চিকিৎসাসেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ রংপুরের আহ্বায়ক চিকিৎসক রানা জানান, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, চিকিৎসক সুরক্ষা আইন ও চিকিৎসকদের কর্মস্থল নিরাপদের দাবিতে পরিচালককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান আসেনি।

এদিকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান ওয়ার্ডে কর্তব্যরত অবস্থায় বলেন, ইন্টার্নিদের অনুপস্থিতিতে অসুবিধা হচ্ছে। তবে আমাদের বিভাগের মিড-লেভেল (মধ্যস্তর) চিকিৎসক বেশি। সেবার ত্রুটি করা হচ্ছে না।

;

বরিশাল এবায়দুল্লাহ জামে মসজিদে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৩ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল সদরে চকবাজার এলাকায় এবায়দুল্লাহ জামে মসজিদে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে এর দুর্ঘটনা ঘটে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও পুলিশের একাধিক টিম ও স্থানীয় সাধারণ জনগণ কাজ করছে।

বিস্তারিত আসছে.....

;

শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৩

শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে আড়াই বছর বয়সী এক শিশু অপহরণের ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর একটি অপহরণ চক্রকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রমনা বিভাগ।

ডিবি বলছে, অপহরণকারীরা নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে চাহিদা মতো অর্ডার নিয়ে এরপর মাঠে নামত। পরবর্তীতে চাহিদা মতো শিশু পেলে কৌশলে অপহরণ করে বিক্রি করে দিত। সম্প্রতি একই কায়দায় রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে আড়াই বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণ করে কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় নিয়ে বিক্রি করে দেয় চক্রটি। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়।


গ্রেফতারকৃতরা হলো- অপহরণকারী সুলতানা আক্তার ওরফে নেহা (২২), তার স্বামী শিশু বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম (২৭) ও ক্রেতা মো. শাহজাহান (৩৪)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ।

ঘটনার বিষয়ে হারুন বলেন, রাজধানীর হাজারীবাগ থানার নিউ মডেল টাউন এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম। পেশায় রিকশা চালক নুরল দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন। গত ২১ মার্চ বিকেলে বাসার সামনে তার ৬ বছর বয়সী মেয়ে তাবাস্‌সুম ও ছেলে তাওসীন খেলতে যায়। এই সময়ে শিশুদের নারী তাদের সঙ্গে ছিল। কিছুক্ষণ পর একজন বোরকা পড়া নারী বাসার সামনে এসে শিশুদের নানির সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে। এর কিছু সময় তাদের নানি বাচ্চাদেরকে বাসার সামনে রেখে বাসায় চলে যায়। এ সুযোগে বোরকা নারী শিশুদেরকে ইশারা দিয়ে ডেকে নিয়ে দুজনকে চিপস কিনে দেয়। চিপস নিয়ে তাবাচ্চুম বাসায় ফিরে গেলেও মিশু তাহসিনকে নিজের কাছে রেখে দেন ওই নারী। একপর্যায়ে ওই নারী তাহসিনকে কোলে নিয়ে ঝাউচর মেইন রোডের দিকে চলে যায়।


তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির ছায়া তদন্তে নেমে অপহরণ চক্রটিকে শনাক্ত করেন ডিবির রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিমের সদস্যরা। পরবর্তীতে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ফজলে এলাহীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার লালমাই থানার বড়তোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহজাহানের বাড়িতে থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ৫০ হাজার টাকায় শিশুটিকে সাইফুল-নেহা দম্পতির কাছ থেকে কিনে নেন। এরপর আগে এই দম্পতির কাছে তার জন্য একটি ছেলে শিশুর অর্ডার দিয়েছিলেন।

গোয়েন্দা প্রধান বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের ঘটকদের মতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে চাহিদা মতো শিশু চুরি করে বিক্রি করতেন। অপহরণের কাজটি করতেন সাইফুলের স্ত্রী নেহা। তিনি বোকরা পড়ে বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের টার্গেট করতেন। এরপর কৌশলে শিশুদের চকলেট, চিপসসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে কোলে করে নিয়ে সটকে পড়তেন। ভুক্তভোগী শিশু তাওসীনকে তারা অপহরণ করে কুমিল্লার শাহজাহানের কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিল।

নিঃসন্তান সম্পত্তির উদ্দেশ্যে হারুন বলেন, যাদের সন্তান নেই বা হয় না। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা সঠিক পদ্ধতিতে শিশু দত্তক নিন। কারো কোলের শিশু চুরে করে বা অপহরণ করে নিয়ে আপনাদের কাছে দিলো আপনারা শিশুটিকে রাখলেন এটা অপরাধ। আর এমন অপরাধে আপনারাও একই মামলার আসামি হবেন। পাশাপাশি সন্তানদের পিতামাতাকে বলবো আপনার বাচ্চা বাসার বাইরে গেলে তাদের সঙ্গে পরিবারের বড় সদস্যরা থাকবেন। না হলে এমন ঘটনা আবারও ঘটতে পারে।

;

জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক মুক্ত করার বিষয়ে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

তিনি বলেন, নাবিকদের উদ্ধারে আমরা যোগাযোগের মধ্যে আছি। তাদেরকে মুক্ত করার জন্য নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি। তাদের যেনো কোন ক্ষতি না হয় সেই বিষয়টিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। শুধু এটুকু বলতে চাই, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে করা ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

জাহাজে খাবার সংকট প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, খাদ্য সংকট অতীতে যখন জাহাজ হাইজ্যাক হয়েছে তখনও হয়নি। তিন বছর ছিল তখনও হয়নি, ১০০ দিন ছিল তখনও হয়নি। আশা করি এক্ষেত্রেও হবে না।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। তিন দিনের মাথায় নাবিকসহ জিম্মি জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটি সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করে রাখে জলদস্যুরা।

২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

;