রাঙামাটিতে ১১কেভি লাইনে জ্বলসে গেল শ্রমিক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যুতায়নের কাজ করতে গিয়ে রাঙামাটির বেতবুনিয়াস্থ হেডম্যানপাড়া এলাকায় এক বিদ্যুৎ শ্রমিক ১১ হাজার কেভি বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে জ্বলসে গেছে। আহত শ্রমিক ফরহাদ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের হাতিয়ায় বলে জানাগেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, “তিনটি পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প” নামক এই বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারের গাফিলতিতে এই  দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুরুজ এন্ড সন্স'র স্বত্বাধিকারী মহিউদ্দিন দুর্ঘটনার পর জানিয়েছেন, কাউখালীর আবাসিক প্রকৌশলীর কাছ থেকে সময় চেয়ে লাইন শাটডাউন করেই তার শ্রমিকরা কাজ করছিলো। কিন্তু ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরেই লাইনটি চালু করে দেয়ায় এই দুর্ঘটনা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে ঠিকাদার স্বীকার করেন, উক্ত কাজের সময় সেখানে তিনটি পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের কোনো প্রতিনিধি প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন না।

বিষয়টি একেবারেই জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন উক্ত এলাকার দায়িত্বে থাকা কাউখালীর আবাসিক প্রকৌশলী মো.লাহুরি খান। তিনি অভিযোগ করেন, সম্পূর্ণ অনৈতিক সুবিধা নিয়েই বিশেষ কারো ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে ঠিকাদার মহিউদ্দিন নিজেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই আমাদের পুরাতন ১১ হাজার কেভির লাইন থেকে নতুন লাইনে সংযোগ তার লাগানোর চেষ্টা করেছেন। যার ফলে সাথে সাথেই সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ফরহাদ বিদ্যুতায়িত হয়ে জ্বলসে যায়। নিশ্চিত মৃত্যু হতে পারে এটি জেনেও এই ধরনের একটি দুর্ঘটনা ঘটানোয় সম্পূর্ণ দ্বায় উক্ত ঠিকাদারই বহন করবে। আর বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলেও প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, “তিনটি পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর উজ্জল বড়ুয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, একটি দুর্ঘটনার কথা আমি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করুন এমন মন্তব্য করেই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন, দুর্ঘটনায় একজন শ্রমিক আহত হয়েছে তবে সে আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগের লোক নয়। আহত শ্রমিক ঠিকাদারের লোক। সেখানে প্রকল্পের কোনো উপ-সহকারী প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলোনা কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান, আমাদের একজন মাত্র লোক রয়েছে, আর সাইট চলছে ১৫টি তাহলে সে একা এতগুলো কাজের সাইডে কিভাবে তদারকি করবে?

“তিনটি পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প” প্রকল্পের নামে ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের যোগসাজসে ইচ্ছামাফিক কাজ করে প্রকল্পের টাকা হরিলুটের এই মিশন সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে গিয়ে জানা যায়, অবিশ্বাস্য সব দুর্নীতির আধ্যপ্রান্ত। মূলত, ইঞ্জিনিয়ার আর ঠিকাদারের যোগসাজসে কাজ করতে গিয়েই সারাদেশের চলমান নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করেই নিরীহ শ্রমিকদের বলিদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, বর্তমানে তিনটি পার্বত্য জেলাকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে গ্রহণ করা হয়েছে ৫৬৫ কোটি ৬৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার এই প্রকল্পটি বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন। এই প্রকল্পের অধীনে মোট ১৬টি উপকেন্দ্রের মধ্যে ১২টি ৩৩/১১কেভি (রুরাল টাইপ) টি উপকেন্দ্র নতুন নির্মাণ এবং ৪টি ৩৩/১১ কেভি (রেগুলার টাইপ) উপকেন্দ্রের আপগ্রেডেশনের কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ‘তিনটি পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে গত ২০১৭ সালের প্রথম দিকে। তিন বছর মেয়াদে নেয়া প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। এরই মধ্যে প্রায় চার বছর পার হতে চললেও প্রকল্পের অগ্রগতি কম বলে জানা যায়।

   

ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির প্রার্থনায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ এপ্রিল) সকালে পৌরশহরের মাদরাসা পাড়া ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়৷

নামাজে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা। নামাজ শেষে মোনাজাত করেন মাদরাসটির সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলাম।

শীতপ্রবণ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র থেকে তীব্রতর তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হচ্ছে জেলার মানুষকে। তাপপ্রবাহের কারণে দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। মাঠে কাজ করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে কৃষকদের। হাসপাতালে বেড়েছে শিশু-বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা৷ এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

নামাজ আদায় করতে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, কাজের জন্য বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। রোদে দুই মিনিট থাকা যায় না। শরীর ঝলসে যাওয়ার মতন অবস্থা। আমাদের নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করলাম। যদি আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করেন তবে স্বস্তি ফিরবে।

সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা বলেন, সারাদেশে দাবদাহে জনজীবনে বিপর্যয় ঘটেছে। আমাদের জেলায়ও অস্বস্তি পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আমাদের গুনাহর ফসল এসব। আমরা বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকা নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করবেন।

;

নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিট স্ট্রোকে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ঋতু সুলতানা (১৫) উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাদারি গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মো. ইসমাইলের মেয়ে। সে স্থানীয় ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসির ফলপ্রত্যাশী ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মুঠোফোন বিষয়টি নিশ্চিত করেন- ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃষি শিক্ষক মনির হোসাইন।

এর আগে, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাদারি গ্রামের কবিরাজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাবা ইসমাইল জানান, বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঋতু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তিনি স্থানীয় একজন গ্রাম্য চিকিৎসককে ডেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে গ্রাম্য চিকিৎসক ধারণা করেন- প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।

শিক্ষক মনির হোসাইন বলেন, ঋতুর এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মৃত্যুর সংবাদে তার সহপাঠী, শিক্ষকবৃন্দ তার বাড়িতে ছুটে যান। কোনোভাবেই তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না পরিবার।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখারের মুঠোফোনে কল করা হলেও তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৩৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩৭ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০৮ পিস ইয়াবা, ৮৬ কেজি ৭৯৩ গ্রাম ৮০ পুরিয়া গাঁজা, ৭৪ গ্রাম ৫১ পুরিয়া হেরোইন, ৮২ বোতল ফেনসিডিল ও ৪০০টি ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৬টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি। এদিকে ষোলতম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী ঢাকার অবস্থান ১৬।

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৩৪৪ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ১৮১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো সিটি, ১৭৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৬০ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার শহর মিদান। এছাড়া চীনের বেইজিং ১৫৯ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৩৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ষোলতম অবস্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

;