১৬ জুলাই: কে কী বললেন
ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
যারা ওয়ান ইলেভেনের রঙিন খোয়াব দেখছেন তাদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। ওয়ান ইলেভেন ছিল রাজনীতিবিদদের জন্য পাঠশালা স্বরূপ। সেখান থেকেই রাজনৈতিক কর্মীদের শেখার অনেক কিছু আছে।
এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ওয়ান ইলেভেন একটি দুষ্ট ক্ষত। এ ক্ষত তৈরি হয়েছে বিএনপি’র হঠকারী এবং ক্ষমতালোভী রাজনীতির কারণে। ইয়াজউদ্দীন এক দিকে রাষ্ট্রপতি অপর দিকে তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে বিএনপি একতরফা নির্বাচনের নীল নকশা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ওয়ান ইলেভেনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে। এর পরই আসে ওয়ান ইলেভেন।
সে সময় দেশের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের ওপর নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যায় অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে। যারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে তাদের সে খোয়াব দেশের জনগণ কখনো সফল হতে দেবে না।
-ব্রিফিং, সরকারি বাসভবন।
শ ম রেজাউল করিম
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
দেশবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা প্রতিরোধে আওয়ামী লীগসহ প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে দেশে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার যে সূচনা হয়েছিল, আজ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা বিকশিত হয়েছে।
দেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকলস্তরের নেতাকর্মীদের একসাথে কাজ করতে হবে। তৃণমূলে কর্মীরাই সংগঠনের মূল চালিকাশক্তি।
-ভার্চুয়াল আলোচনা সভা।
আতিকুল ইসলাম
মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)
আমরা কোরবানির পশু কিনতে হাটে যাচ্ছি, কিন্তু অনেকেই ঠিকমতো মাস্ক পরছি না। মাস্ক না পরলে আমরা নিজেরাই কোরবানি হবো। যিনি হাটে গিয়ে পশু কিনবেন তিনি এমন বিক্রেতার থেকে পশু কিনবেন না যিনি মাস্ক পরেননি। আবার কোনো পশু বিক্রেতা এমন গ্রাহকের কাছে পশু বিক্রি করবেন না যিনি মাস্ক পরেননি। এটা সবার প্রতি আমার আহ্বান, আমার মেসেজ।
-ভার্চুয়াল।
জুনাইদ আহমেদ পলক
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক। তবে নিজেদেরকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে শিশু-কিশোর ও তরুণদের চিন্তা-ভাবনা করে ফেসবুকে পোস্ট দিতে হবে।
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের মৌলিক চাহিদায় রূপান্তর হয়েছে। শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেটে নিরাপদ রাখতে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের আরো বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
নিজের সন্তান ইন্টারনেটে কী করছে, তা দেখার দায়িত্ব অভিভাবকদের। ক্লাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন করতে শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
-ভার্চুয়াল।
জিএম কাদের
চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি
বাংলাদেশেও সম্মিলিত ভাবে করোনা মোকাবেলা করতে হবে। সকল রাজনৈতিক দল, সকল এনজিও এবং পেশাজীবিদের নিয়ে করোনা মোকাবেলা করুন।
পৃথিবীর প্রায় সকল রাষ্ট্র দেশের মানুষকে টিকা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে। কিন্তু আমাদের দেশের টিকা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেনা। যেখানে ২৭ থেকে ২৮ কোটি ডোজ টিকা দরকার, সেখানে রেডিও টিভিতে সরকার ঘোষণা করছে ৫ লাখ ডোজ, ১০ লাখ ডোজ টিকা আসছে। বাকি টিকা কখন, কোথা থেকে আসবে তা কেউ জানে না। এটা অত্যন্ত হতাশাজনক। ভ্যাকসিন হচ্ছে করোনা মোকাবেলার প্রধান অস্ত্র। সবাইকে যত দিন টিকা দেয়া না দেয়া যাবে, ততদিন সরকারি ভাবে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
-খাবার বিতরণ অনুষ্ঠান।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিএনপি
সরকারের যে পরিকল্পনাবিহীন উদ্যোগ তা হচ্ছে যে, ঈদ উপলক্ষে লকডাউন উঠিয়ে দিলো এবং মানুষকে বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলো। এবার কিন্তু করোনার বিস্তার ঢাকা না, গ্রামে। এই ঈদে সবাই বাড়ি যাবে আবার ওইখান থেকে যখন ঢাকায় ফেরত আসবে তখন করোনা নিয়ে সারা দেশে বিস্তার করার ব্যবস্থা করবে।
আপনারা জানেন যে, ডেল্টা ভাইরেন্ট খুবই সিরিয়াস ৭০% বেশি স্পিডে ছড়ায়। সুতরাং করোনাকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য যে ব্যবস্থা সরকার গ্রহন করেছে আমাদের দেশে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত না হয়- এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত।
-ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন।
অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য
আজকের বাংলাদেশে কাক ও কোকিল চেনা বড় দুষ্কর। সাদা আর কালো মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। বন্ধু এবং শত্রু কে? আমরা কিন্তু চিহ্নিত করতে পারছি না! কে আপন আর কে পর? তাও চিহ্নিত করতে পারছি না। তাই সামনে যত ষড়যন্ত্রই থাক ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্নভিন্ন করে নেত্রীর নেতৃত্বে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
-আলোচনা সভা।
মাহমুদুর রহমান মান্না
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক
ব্রিটিশ আমলের চুন-সুরকির সিআরবি ভবনকে ঘিরে শতবর্ষী গাছগাছালি, পিচঢালা আঁকাবাঁকা রাস্তা, ছোট-বড় পাহাড়-টিলা আর নজরকাড়া বাংলোগুলো ঘিরে মন জুড়ানো যে প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে সিআরবিতে, যেখানে দু'দণ্ড সময় কাটানো কিংবা বুকভরে নিঃশ্বাস নেয়া যায় - এমন উন্মুক্ত পরিসর খুব একটা অবশিষ্ট নেই বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। সেখানে হাসপাতাল নির্মাণ করে আশেপাশের সকল জায়গা দখল করার চেষ্টায় নেমেছে সরকারের মদদপুষ্ট মহল।
যে রেলওয়ে এই হাসপাতাল নির্মাণের কথা বলছে, খোদ সেই রেলওয়ের শ্রমিক-কর্মচারীরা সিআরবিতে হাসপাতাল চান না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়া স্মারকলিপিতে তারা বলেছেন, "এই ধরনের হাসপাতাল করার মতো চট্টগ্রাম নগরীতে রেলওয়ের অনেক জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কিছু জমি আছে প্রভাবশালীরা দখল করে আছেন। সেগুলো উদ্ধার করে হাসপাতাল করা যায়। সিআরবিকে কেন বেছে নেওয়া হলো তা তাদের বোধগম্য নয়।" কিন্তু এই প্রভাবশালীদের দখল করা জায়গা উদ্ধার না করে সিআরবি এলাকা ধ্বংস করে তাদেরকেই আবারও নতুন এলাকা দখলের সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার। কারণ এই প্রভাবশালীরা সবাই সরকারি দলের, অবৈধ সরকারের মদদপুষ্ট।
-বিবৃতি।
শেখ ইউসুফ হারুন
নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)
বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগ প্রবাহ ধীর হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের একটি কেন্দ্র হয়ে উঠছে যা দেশকে ভিশন-২০৪১ অর্জনে সহায়তা করবে।
খুব কম শ্রম ব্যয়, দক্ষ জনশক্তি, অনুকূল সরকারি নীতি, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, উচ্চ উৎপাদনশীলতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কোভিড-১৯ মহামারী সত্ত্বেও বাংলাদেশকে একটি বৈশ্বিক বিনিয়োগ কেন্দ্রে পরিণত করেছে।
পরিকল্পিত শিল্পায়নের জন্য বেজা সেরা জায়গা। মহামারী সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিভিন্ন বন্দর, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ), বেজা এবং বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বিইপিজেএ) মাধ্যমে সব ধরনের সেবা উন্মুক্ত রাখছে। দেশ ও বিদেশের বিনিয়োগকারীরা সহজেই পরিষেবাগুলো পাচ্ছেন।
-সাক্ষাৎকার।