রাত ১২টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য মুক্ত করতে তৎপর মেয়র আতিক
এবার আর ২৪ ঘণ্টা নয়, প্রথমদিনের কোরবানির বর্জ্য রাত ১২ টার মধ্যে পরিষ্কার করার ঘোষণা দিয়ে দুপুর থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখছেন মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। যে সকল জায়গায় বর্জ্য মুক্ত করা চ্যালেঞ্জ ছিল সেই গুলোতে নিজে উপস্থিত হয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাজধানীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
বুধবার (২১ জুলাই) দুপুর ২ টায় সাঈদনগর পশুর হাট থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র। এরপর ডিএনসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন।
সন্ধ্যার আগে মিরপুর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, আমি চাই আজ রাত ১২ টার ভেতর আজকের যত কোরবানি হয়েছে সেই কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করে ফেলতে। এ জন্য ইতোমধ্যে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি। আমি নিজেই বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরেছি শেষ করে যে সকল জায়গায় বর্জ্য মুক্ত করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল সেগুলোতে আমি গিয়েছি। আমি উপস্থিত থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সার্বিক কার্যক্রম দেখেছি।
কততম সময়ের মধ্যে রাজধানীকে কোরবানির বর্জ্য মুক্ত করার জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, আমি নগরবাসীর সাহায্য চেয়েছি, নগরবাসীর সাহায্য পেলে নিশ্চিই আজকে রাত ১২ টার ভেতর আজ যারা কোরবানি দিয়েছে সেই বর্জ্য মুক্ত করা হবে।
ডিএনসিসি নির্ধারিত নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানি করার জন্য নগরবাসীকে আহ্বান করা হয়েছিল বলে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা ২৭২ টি জায়গা করে দিয়েছিলাম, আমরা বিভিন্ন মসজিদ, কমিউনিটি এবং ওয়ার্ডের মাধ্যমে এই বার্তা দিয়েছিলাম যে আপনারা নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানি করেন, কিন্তু আমাদের মানুষগুলো বলছে না আমার গরুটা আমি নিজে দেখব আমার বাসার সামনে কোরবানি করব, আমার পরিবার দেখবে, আমি নিজে থেকে বাসার সামনে কোরবানি করব, সে জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানি করা পরিপূর্ণ ভাবে সম্ভব হয়নি। আমরা ২৭২ টি জায়গা করেছিলাম এটা কিন্তু কম নয়? তাছাড়া বাসার সামনে যারা করেছে তাদের কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে কোন কিছু করিনি আমরা, আমি ফাইন করতে পারতাম কিন্তু আমি জানি করোনার সময় এটা করা যাবে না। আমি শুধু বলছি যারা বাসার সামনে কোরবানি করেছেন তারা পরিষ্কার করে বর্জ্যগুলো রেখে দেন আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিয়ে আসবে।
ডিএনসিসি কে কোরবানির বর্জ্য মুক্ত করার জন্য নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পাশাপাশি অস্থায়ী ও বিভিন্ন কমিউনিটির মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। প্রায় ১১ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী নগরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য কাজ করছে।