দৌলতদিয়া ঘাট ফাঁকা, সড়কে নেই যানবাহনের লাইন
ফাঁকা হয়ে গেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করার প্রথম দিনে ঘাটে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করেছে প্রায় কয়েক শত যানবাহন। এরমধ্যে দূরপাল্লার বাসও ছিল। এ সকল পরিবহনগুলো বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাতে ঘাটে এসে পৌঁছায়।
বেলা সাড়ে ১১ টার মধ্যে নদী পারের অপেক্ষায় থাকা সকল যানবাহনই নদী পার হয়ে যাওয়ায় ঘাট এলাকা এখন পুরোপুরি ফাঁকা। কঠোর বিধি-নিষেধ থাকায় ঘাটে নতুন করে আর কোন যানবাহন ঢুকতে দেখা যায়নি। এদিকে সড়কেও নেই যানবাহনের দীর্ঘ লাইন।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকাতে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঘাট এলাকাতে কোন যানবাহন নেই। ফেরিগুলো অলস সময় পার করছে পন্টুনে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমান ১৬ টি ফেরি রয়েছে। সকাল পর্যন্তও সবগুলো ফেরি চলেছে। কিন্তু যানবাহন না থাকায় এখন সবগুলো ফেরি পন্টুনেই নোঙর করে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, খাঁ-খাঁ করছে বাস টার্মিনাল। যে বাস টার্মিনাল সব সময় গাড়ির হর্ণে মুখরিত থাকতো, সেই টার্মিনালে এখন শুনসান অবস্থা। একটা গাড়িও নেই টার্মিনালে। তাছাড়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে কোন যানবাহন নেই। তবে দুয়েকটা স্থানীয় অটো রিকশা চলাচল করছে।
এদিকে ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়ন করতে মাঠে রয়েছে প্রশাসন। বিধি-নিষেধ মানানোর পাশাপাশি প্রশাসন সবাইকে আরও অধিক সচেতন হওয়ার জন্যও পরামর্শ দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বার্তা২৪.কম কে বলেন, বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাতে যে সকল যানবাহন ঘাটে এসে নদী পার হতে পারেনি, সেই যানবাহনগুলোকে আমরা সকালের মধ্যেই নদী পার করতে সক্ষম হয়েছি। এখন ঘাটে আর কোন যানবাহন নেই। ঘাট এখন ফাঁকা। এখন থেকে জরুরি সেবা প্রদানকারি যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স শুধু ফেরিতে ওঠতে পারবে।