যাত্রীর অপেক্ষায় দৌলতদিয়া ঘাটের হকাররা



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
যাত্রীর অপেক্ষায় দৌলতদিয়া ঘাটের হকাররা

যাত্রীর অপেক্ষায় দৌলতদিয়া ঘাটের হকাররা

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ। শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এই কঠোর বিধি-নিষেধ চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। বিধি-নিষেধ আরোপ থাকায় দেশের সব সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিল্প-কলকারখানা রয়েছে বন্ধ। সেই সাথে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহনও।

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রী নেই রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের এ ঘাট হয়েই ঢাকার প্রবেশ করে। যাত্রী না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে ঘাটের হকাররা। বিধি-নিষেধের কারণে বন্ধ রয়েছে এদের বেচাকেনা। যাত্রী না থাকলেও যাত্রীর অপেক্ষায় প্রহর গুণছে তারা।

ঘাট সংশ্লিষ্ট হকারদের আয়-উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন এই ঘাট। ঘাটে যাত্রী বা যানবাহন পারাপার বন্ধ থাকলে এ সকল হকারদের বেচাকেনাও বন্ধ থাকে। ফলে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করতে হয় তাদের। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাতে হয়।

দেশে ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধের তৃতীয় দিনে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি না থাকায় এ সকল হকাররা এখন বেকার হয়ে পড়েছে। হাঁকডাক নেই হকারদের। ঘাটে নেই কোন কোলাহল। নিরব-নিস্তব্ধ চিরচেনা দৌলতদিয়া ঘাট।

রোববার (২৫ জুলাই) দুপুরে দৌলতদিয়া ৫ নং ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের জন্য চাতক পাখির মতো ফেরির পন্টুনের ওপর বসে আসে ভ্রাম্যমাণ পেয়ারা ও ডিম বিক্রেতা।

ডিম বিক্রেতা সলেমান হোসেন বার্তা২৪.কম কে বলেন, আমার মূল পেশা এটাই। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফেরিতে ফেরিতে ঘুরে সেদ্ধ ডিম বিক্রি করি। ডিম বিক্রি করে যে অর্থ আয় হয় তাই দিয়েই আমার ৫ সদস্যের পরিবারের সংসার চালাতে হয়। করোনার কারণে লকডাউন থাকায় পরিবহন বন্ধ। তাই কোন যাত্রী নেই। তারপরেও অপেক্ষায় রয়েছি। দু-এক জন যারা নদী পার হচ্ছে তাদের কাছে বিক্রির চেষ্টা করছি।

পেয়ারা বিক্রেতা মিন্টু মোল্লা বার্তা২৪.কম কে বলেন, আমি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ঘাটে মৌসুমী ফল বিক্রি করে আসছি। এখান থেকে যে আয় হয় তাতেই চলে আমার সংসার। কিন্তু লকডাউনের কারণে এখন যাত্রী নেই। যাত্রী না থাকায় বেচাকেনাও নাই। তবুও অপেক্ষায় রয়েছি যাত্রীর আশায়।

   

আশুলিয়ার গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
আশুলিয়ার গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, আহত ২

আশুলিয়ার গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, আহত ২

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ায় একটি ফ্ল্যাটে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ জন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-৪ এর উপসহকারী পরিচালক মো. আলাউদ্দিন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আশুলিয়ার কুঁরগাও এলাকায় শামসুদ্দিনের মালিকানাধীন ৫ তলা বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ফ্ল্যাটটি তামিম ইলেক্ট্রনিক্স নামে একটি দোকানের গোডাউন হিসেবে ব্যবহৃত হত।

দগ্ধরা হলেন, পাবনা জেলা আমিনপুর থানা রাজনারায়ণপুর গ্রামের মতিন মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা (৩০)। তিনি তামিম ইলেকট্রনিক্সের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। এবং ওই বাড়ির ২য় তলার ভাড়াটিয়া মাজেদা বেগম (৫৫)।

দগ্ধ সুমনের ভাই সুজন মোল্লা বলেন, আমার ভাইয়ের শরীরের ৪৩ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। আর ওই নারীর কি অবস্থা জানি না। আমার ধারণা তার অবস্থা আরও খারাপ।

তামিম ফার্নিচারের মালিক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ওই ফ্ল্যাটে কোনো সিলিন্ডার ছিল না। ফ্ল্যাটে আমার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সুমন কোনো কাজে গিয়েছিল, তখন আগুনের ঘটনা ঘটে। এছাড়া আহত নারী সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় আহত হয়েছে বলে শুনেছি। ৩ রুমের ওই ফ্ল্যাটে কিছু কিচেন র‍্যাক আর ম্যাট্রেস রাখা ছিল।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুনের খবর পেয়ে জিরাব ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে তার আগেই আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় আনুমানিক দেড় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ১০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-৪ এর উপসহকারী পরিচালক মো. আলাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমরা অল্প আগুন পেয়েছি। সেটুকুই নির্বাপণ করা হয়েছে। আমরা পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক ধারণা, গ্যাস লিকেজ থেকে এ আগুনের ঘটনা ঘটেছে।

;

কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম হ্রদ হিসেবে পরিচিত রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে দেশীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি ও অবমুক্ত করা মাছের পোনার স্বাভাবিক বৃদ্ধির লক্ষে ২৫ এপ্রিল থেকে আগামী তিন মাসের জন্য কাপ্তাই হ্রদে সকল প্রকার মৎস্য আহরণ-বিপণনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত এক জরুরি সভায় হ্রদে মাছ ধরা বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় জানানো হয়, কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি ও অবমুক্ত করা মাছের পোনার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত তিন মাসের জন্য মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আগামী ২৫ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ২৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের মাছ আহরণ, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।

সভায় জানানো হয়, মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে কাপ্তাই হ্রদে অবৈধভাবে মাছ শিকারিদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার পাশাপাশি নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।

মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে রাঙামাটির স্থানীয় বরফ কলগুলো বন্ধ রাখার পাশাপাশি কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরার উপর নির্ভরশীল প্রায় ২৫ হাজার তালিকাভুক্ত জেলেকে বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।

সভায় রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, রাঙামাটিস্থ বিএফডিসি ব্যবস্থাপক, জেলার মৎস্য কর্মকর্তা আধির চন্দ্র দাশ, মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়াসহ মৎস্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

লাভ বেশি হওয়ায় ঘাস চাষ বেড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে বেড়েছে মাংসের উৎপাদন ও গ্রহণের হার। মাংসের সে চাহিদার প্রায় শতভাগ পূরণ হচ্ছে দেশীয় উৎস থেকে। আর সে চাহিদা পূরণে বেড়েছে পশু উৎপাদনও। তবে পশু পালনের ফাঁকা জমি ও প্রাকৃতিক ঘাস কমে যাওয়ায় বেড়েছে ঘাসের বাণিজ্যিক চাষ।

খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় অনেক কৃষকই এখন ঝুঁকছেন বাণিজ্যিক ঘাস চাষে। এতে করে কম খরচ ও কম পরিশ্রমে বেশি লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। বাড়ছে পশু উৎপাদন, মাংসের চাহিদা মেটাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে দেশ।

জানা যায়, আগে যেখানে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে ও পরিবারের সবাই মিলে পরিশ্রম করেও ফসল উৎপাদনে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকাও টিকতো না, এখন ঘাস চাষে ফল হচ্ছে তার উলটো। বছরে এক বিঘা জমিতে মাত্র ২ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ করেই আয় হচ্ছে ১৮-২০ হাজার টাকা। প্রতি বর্ষার পরে একবার ঘাস লাগিয়ে দিলেই তা পশুকে খাওয়ানো যাচ্ছে ৮-৯ মাস। প্রতিবার কাটার পর একবার করে সার প্রয়োগ করলেই ঘাস বড় হচ্ছে দ্রুত, ফলে দরকার হচ্ছে না বাড়তি পরিশ্রম বা টাকা খরচের।


ঘাস চাষিরা জানান, বর্তমান সময়ে ফসল চাষে অনেক ক্ষেত্রেই গুনতে হচ্ছে লোকসান। অন্যদিকে ঘাস চাষ সহজ ও লাভজনক হওয়ায় ফসলের বদলে ঘাস চাষে আগ্রহী হচ্ছেন তারা। গরুর জন্য চাষ করা এসব ঘাসের মধ্যে আছে নেপিয়ার ও চাল্লা (স্থানীয় গরুর ঘাসের নাম) জাতীয় ঘাস। আবার গো-খাদ্যের তুলনায় ঘাস খাওয়ানোই খরচ কম হওয়ায় আগ্রহী হচ্ছেন খামারিরাও।

ফলে জেলার নবীনগর, বাঞ্ছারামপুরসহ প্রায় সব উপজেলায় বেড়েছে ঘাস চাষ। পশুপালনেও আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। ফসল ফলানোর পাশাপাশি একটি-দুটি গরু চাষে হচ্ছেন স্বাবলম্বী। আবার এসব এলাকায় প্রবাসী কর্মী বেশি থাকায়, প্রবাস জীবন শেষে সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে অনেকেই গড়ে তুলছেন গরুর খামার, স্বপ্ন দেখছেন স্বাবলম্বী হওয়ার।


সম্প্রতি নবীনগরের ছলিমগঞ্জ ইউনিয়নে গরুর খামার দিয়েছেন সৌদি ফেরত সফিক মিয়া। প্রায় ৬ বছরের প্রবাস জীবন শেষ করে গত বছর দেশে ফিরেন তিনি। উদ্যোক্তা মনোভাব ও গরুর খামারে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নই এই পথে নিয়ে আসে তাকে। ২২টি গরু দিয়ে শুরু করা তার এই খামারের জন্য নিজস্ব প্রায় এক একর জমিতে ঘাস চাষ করেছেন তিনি। চাষ করা সে নেপিয়ার ও চাল্লা দিয়েই পূরণ হচ্ছে গরুর খাবারের চাহিদা।

প্রথমবারের মতো গরু পালন শুরু করলেও সামনের কোরবানি ঈদে সে গরু বিক্রি করে প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন জানিয়ে গরু খামারি সফিক মিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বর্তমান সময়ে গরুর খাবারের যে দাম তাতে করে গরু থেকে লাভ করাটা অনেকটায় দুরূহ। তবে নিজস্ব জমিতে ঘাস চাষে কমেছে সে গো-খাদ্যের চাহিদা। গরুও পাচ্ছে তাজা ঘাসের পুষ্টি। আলহামদুলিল্লাহ্, এতে করে আমার গরুর গ্রোথও ভাল।’

সফিক বলেন, ‘আমি যে ঘাস চাষ করেছি, তাতে করে আরও দুই মাস নিশ্চিন্তে গরুকে খাওয়াতে পারবো। এরপর বর্ষা আসলে কিছুটা সমস্যা হবে। তখন অনেকটাই গো-খাদ্য ও খড়ের উপর নির্ভর করতে হবে। তবে এর আগেই যেহেতু অধিকাংশ গরু কোরবানিতে বিক্রি করে দিবো, তাতে আমাকে সমস্যায় পড়তে হবে না।’

স্থানীয় আরেক কৃষক জাকির হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সবজি-ফসল কইরা কোনো লাভ নাই। ঘরের সবাই মিইলা যেই কষ্ট করি হেই তুলনায় দাম পাই না। এরপরে আবার ট্রাক্টর খরচ, সারের টেহা (টাকা), নিরানি (আগাছা পরিস্কার) সব মিলাইয়া অনেক টেহা খরচ হয়। অনেক সময় আবার ফসল মাইরও যা। কিন্তু গরুর ঘাস করলে কিচ্ছুই লাগে না। একবার খালি পারা দিয়া লাগায় দেই, আর মাঝে মধ্যে একটু সার দেই। ২-৩ হাজার টেহা খরচ করলে বছরে কোনো কষ্ট ছাড়াই এক বিঘা জমিতে ২০-২২ হাজার টেহা আয় অয় (হয়)।’

;

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, আক্রান্ত ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৪ জনে। এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন ডেঙ্গুরোগী। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ১২০ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২৩ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬ এবং ঢাকার বাইরের ১৭ জন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে, ১৩ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া একজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক হাজার ৯৩৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা ৬৫১ জন, আর এর বাইরের এক হাজার ২৮৮ জন।

গত ১ জানুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৮১৯ জন।

;