ঘাটতি মেটাতে রংপুরে ৫০০ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ
দেশে প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দেয়। এ সময় বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামও বেড়ে যায়। তাই ওই সময়ে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে ৫০০ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নিয়েছে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকালে রংপুরের বুড়িরহাটে হর্টিকালচার সেন্টারে গ্রীষ্মকালীন বীজ বিতরণ ও চারা উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক বিধু ভুষণ রায়, জেলা প্রশাসক মো. আসিব আহসান, রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল, বুড়িরহাট হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) শামিমুর রহমান ও অতিরিক্ত উপপরিচালক(পিপি) অশোক কুমার রায় প্রমুখ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, পেঁয়াজ গুরুত্বপূর্ণ মসলা জাতীয় ফসল হওয়ায় জন প্রতি দৈনিক ৩০/৩৫ গ্রাম পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়। গত রবি মৌসুমে রংপুর জেলায় ২ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষাবাদ হয়েছে। দেশে সাধারণত পেঁয়াজের ঘাটতি হয়ে থাকে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে।
সরকার এই সময়ের সংকট বিবেচনা করে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে ৫০০ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হবে। এই পেঁয়াজ নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে উত্তোলন করা যাবে। নতুন এ কার্যক্রমটি দেশের পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং বাজারে পেঁয়াজ সহজলভ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেন কৃষি সস্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
রংপুরের বুড়িরহাট হার্টিকালচার সেন্টার, আঞ্চলিক ধান গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক পাট গবেষণা কেন্দ্রে ৩০ বিঘা জমির জন্য চারা উৎপাদন করে কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হবে। অবশিষ্ট ৪৭০ বিঘা জমিতে রোপণের জন্য প্রয়োজনীয় চারা কৃষক পর্যায়ে উৎপাদন করা হবে।