কাদের মির্জার অনুসারীর গুলিতে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গুলিবিদ্ধের অভিযোগ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কাদের মির্জার অনুসারীর গুলিতে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গুলিবিদ্ধের অভিযোগ

কাদের মির্জার অনুসারীর গুলিতে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গুলিবিদ্ধের অভিযোগ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের জের ধরে কাদের মির্জার অনুসারী কেচ্ছা রাসেলের গুলিতে বসুরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গুলিবিদ্ধ শাহজান সাজু (৩৭) বসুরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য এবং কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ তার ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জুর সক্রিয় অনুসারী। সে বসুরহাট পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাওলানা কাদেরের বাড়ির আহছান উল্যার ছেলে ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৮ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মওদুদ স্কুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু অভিযোগ করেন, কাদের মির্জার নির্দেশে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা থেকে ফেসবুক লাইভে এসে আমাকে ও আমার খালাতো ভাই রাহাতসহ বেশ কয়েকজনকে হত্যার হুমকি দেয় কাদের মির্জার অনুসারী কেচ্ছা রাসেল। হুমকির দুইদিন পর ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের ওপর এবং পাঁচদিন পর কেচ্ছা রাসেলের নেতৃত্বে কাদের মির্জার ১০-১৫ জন অনুসারী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাজুর ওপর হামলা চালায়। এ সময় কেচ্ছা রাসেল, ডাকাত পিচ্ছি মাসুদ, জিসান সাজুকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৬টি গুলি লাগে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানায়, দুপুরের দিকে সাজু মওদুদ স্কুলের পাশে এশিয়ান ফার্নিচার নামে একটি দোকানে বসে ছিল। এসময় কাদের মির্জার অনুসারী শহীদুল্লাহ রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল, জিসান, পিচ্চি মাসুদ ও মানিকসহ ৭-৮ জন দুইটি সিএনজি যোগে আকস্মিক মওদুদ স্কুল এলাকায় এসে সাজুর ওপর লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে এবং কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে সে গুলিবিদ্ধ হয়।

এ বিষয়ে জানতে কাদের মির্জার ঘোষিত উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুলের ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাজুর শরীরে স্প্রিন্টারের আঘাত ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, সাজুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ছাড়াও তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে বড় ধরনের আঘাত রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, বসুরহাট পৌরসভার মওদুদ স্কুল এলাকায় কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ সাজু গুলিবিদ্ধ হয়। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় তার অনুসারীরা।