সাভারে মুক্তা ট্যানারির ১৫ শ্রমিক ছাঁটাই

  • উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরায় মুক্তা ট্যানারির ১৫ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করেছে কর্তৃপক্ষ। রোববার (০৮ আগস্ট) দেয়া এক নোটিশের মাধ্যমে তাদের ছাঁটাই করা হয়।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকালে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ করে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বলেন, গত তিন চার মাসের বকেয়া বেতন এবং ঈদ বোনাস পরিশোধ করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

নেতারা বলেন, মুক্তা ট্যানারি ইউনিয়নভুক্ত হলে ৭০ জন শ্রমিক ওই কারখানায় কাজ করতেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ ইউনিয়নের শ্রমিক রাখবে না বলেই বিভিন্ন অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই শুরু করে। সবশেষ ইউনিয়নের ১৫ জন শ্রমিক ছিল তাদেরও ছাঁটাই করা হয়েছে।

শ্রমিকদের দাবি, নিয়মানুসারে কারখানায় শ্রমিক নিয়োগ হবে স্থায়ী বা অস্থায়ী ভিত্তিতে। কিন্তু মুক্তা ট্যানারি কর্তৃপক্ষ তা না করে ঠিকাদারের মাধ্যমে শ্রমিক নিচ্ছে। এ জন্য তারা পর্যায়ক্রমে ইউনিয়নভুক্ত শ্রমিকদের ছাঁটাই করছেন। এর অংশ হিসেবে ১৫ শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শ্রমিক নেতারা বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিশটি দিনে না টাঙ্গিয়ে রোববার রাত ১০টার সময় দিয়েও শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করেছে।

ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, নিয়মানুসারে মুক্তা ট্যানারি স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে কাজ করাবে। কিন্তু তা না করে কারখানা কর্তৃপক্ষ নিয়ম ভঙ্গ করে ঠিকাদারের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়ে কাজ করাচ্ছে।

তিনি আরো জানান, চালু কারখানায় ঠিকাদারের মাধ্যমে শ্রমিক দিয়ে কর্তৃপক্ষ কাজ করাতে পারে না। উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ইউনিয়নের শ্রমিকদের বাদ দিয়ে এ কাজ করছে। কর্তৃপক্ষ শ্রম আইন মানে না। মুক্তা ট্যানারি আমাদের ইউনিয়নভুক্ত শ্রমিক বাদ দিলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাদ দিতে হবে।

মুক্তা ট্যানারির ম্যানেজার মো. শাহীন ১৫ জন শ্রমিককে ছাঁটাইয়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থা খারাপ এবং তাদের মাল নষ্ট করেছে। এ জন্য তাদের ছাঁটাই করা হয়েছে। ইউনিয়নভুক্ত শ্রমিক না নিয়ে ঠিকাদারের মাধ্যমে শ্রমিক নেয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, এটা তারা বলবেই।