আরও ১৫৯ জনের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে আরও ১৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৮৭৮ জনে।

একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৬৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১০ জনে।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ হাজার ২২৬টি। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৫ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ১৫৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৮১ জন।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৫০ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৩৭, রাজশাহীতে ১৩, খুলনায় ১২, বরিশালে ১০, সিলেটে ২৩, রংপুরে ৮ এবং ময়মনসিংহে ৫ জন মারা গেছেন।

নারী ও পুরুষের হিসাবে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৭৬ জন পুরুষ এবং ৮৩ জন নারী। এদের মধ্যে বাসায় মারা গেছেন ৪ জন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৩১৯ জন এবং নারী ৮ হাজার ৫৫৯ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় ৮৬ জন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি মারা গেছেন। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৩৫, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২০, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১২, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৩, ১১ থেকে ২০ বছরের ২ এবং ১০ বছরের কম বয়সী ১ জন মারা গেছেন।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

   

২৩ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি, কোথায় যাবেন রেখা!



মনিরুজ্জামান মুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
২৩ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি, কোথায় যাবেন রেখা!

২৩ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি, কোথায় যাবেন রেখা!

  • Font increase
  • Font Decrease

 

লালমনিরহাটে ধর্ষণে জড়িত দুই আসামিকে সহযোগিতা করার অপরাধে দীর্ঘ ২৩ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন রেখা খাতুন (৪৪)। তবে মুক্তি পেলেও ঘরে ফেরার ঠিকানা নেই তার।

রেখা খাতুন জানান, পরিবারের সবাই মারা গেছেন। এমনকি তার স্বামী বিয়ে করে অন্য আরেকজনের সাথে সংসার করছেন। এমনকি জেলে থাকা অবস্থায় মা, বাবা, দুই বোন আর এক ভাইসহ আমার ২৫ আত্মীয় মারা গেছেন। এখন কোথায় যাবেন তার কাছে নেই কোনো ঠিকানা।

২০০০ সালের ৫ নভেম্বর শিশু ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হন রেখা খাতুন (৪৪)।  ওই দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করলেও কারাগার থেকে বের হতে পারেননি রেখা। ফলে দীর্ঘ ২৩ বছর কারাগারে থাকতে হয়েছিল তাকে।

ওই ঘটনায় ২০০৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রেখা খাতুনসহ তিন আসামি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দণ্ডিত হন। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। তবে রেখা খাতুনের দাবি, ‘শিশু ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি’।

গত মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল)  রেখা খাতুনকে লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ ২৩ বছর জেল থেকে বেরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি জানতে পারেন তার পরিবারে আর কেউ নেই। এখন কোথায় তার ঠিকানা কিছুই জানেন না।


রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়।

জানা গেছে, রেখার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর শেষ হয়। এরপরও জরিমানার এক লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাঁকে আরও তিন বছর কারাগারে আটক থাকতে হয়। সেই হিসাবে তাঁকে ২০২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলা কারাগারে থাকতে হতো। বিষয়টি জানতে পেরে রেখা খাতুনের মুক্তির জন্য সাহায্যের হাত নিয়ে এগিয়ে আসেন লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ও লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র মো. রেজাউল করিম স্বপন।

তাঁরা সম্মিলিতভাবে জরিমানার টাকা ৮ এপ্রিল ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করে দেন। এর ফলে ঈদের দুই দিন আগে ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুনকে লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে তত দিনে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বাইরে অতিরিক্ত আরও চার মাস ছয় দিন কারাভোগ করেছেন।

কারাগারে যাওয়ার আগের ও পরের জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে রেখা খাতুন বলেন, ‘আমি জেলে থাকার সময় আমার মা, বাবা, দুই বোন আর এক ভাইসহ আমার ২৫ আত্মীয় মারা গেছেন।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি জেলে গেলে আমার স্বামী কোরবান আলী দ্বিতীয় বিয়ে করে এখন কোথায় আছে, কেউ বলতে পারে না। আমার বাবার বাড়িটা ধরলা নদীতে গেছে। স্বামীর অবর্তমানে বাবার বাড়িতে জীবনের বাকি দিনগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার স্বপ্নটাও ভেঙে গেছে।’ রেখা আরও বলেন, ‘আমি এখন কোথায় যাব?’


রেখা খাতুনের ধরলা নদীতে কলাখাওয়া ঘাটের বাবার বাড়ির ভিটা বিলীন হয়ে গেছে। ১৫ বছর আগে রেখার বাবা ফজলু রহমান মারা যান। আর মা নূরনাহার বেগম মারা যান ১২ বছর আগে। তাঁদের কবরও গ্রামের বাড়িতে হয়নি। পাশের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের কবির মামুদ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ওই গ্রামে রেখার ছোট বোন টুম্পা বেগমের বিয়ে হয়েছে। কারামুক্তির পর টুম্পার শ্বশুরবাড়িতেই রেখা আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন।

দারিদ্র্যের কারণে ১৩-১৪ বছর বয়সে রেখা খাতুনের বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী কোরবান আলী তখন ৩৪ বছরের যুবক। পেশায় দিনমজুর ছিলেন কোরবান। বিয়ের পরও দুই-তিন বছর বাবার বাড়িতে থেকে ১৯৯৮ সাল থেকে স্বামীর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। রেখা ও তাঁর স্বামী কোরবান আলী লালমনিরহাট শহরের খোচাবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি লালমনিরহাট শহরের নর্থ বেঙ্গল মোড় এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন ও লালমনিরহাট শহরের কুড়াটারি গ্রামের ভোলা মিয়ার ছেলে ফরিদ হোসেন। রায় ঘোষণার সময় ফরিদ হোসেন পলাতক ছিলেন। পরে গ্রেফতার হন। ওই দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। এর মধ্যে আলমগীর হোসেন দাম্পত্য কলহের জের ধরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফরিদ হোসেন লালমনিরহাট শহরের একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করেন।

নারী অধিকার সংগঠক ফেরদৌসী বেগম বলেন, রেখা খাতুন এর সঙ্গে কথা বলে তার জীবনের গল্প আমরা শুনেছি। সেই হিসেবেই লালমনিরহাট ৩ আসনের সকল সদস্য এডভোকেট মতিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তার মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা করেছি।

রেখার জরিমানার টাকার অঙ্ক ১ লাখ টাকা হলেও তিনি অতিরিক্ত চার মাস ছয় দিন কারাগারে সাজা ভোগ করায় জরিমানা থেকে ১০ হাজার টাকা মওকুফ হয়ে যায়। এর বাইরে রেখা কারাগারে অবস্থানকালের শ্রমের বিপরীতে উপার্জন করেন ১৫ হাজার টাকা। ওই টাকা সমন্বয় হয়ে পরিশোধ করতে হতো ৭৫ হাজার টাকা। সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার মেয়র সম্মিলিতভাবে ওই টাকা দিয়েছেন। ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুনকে লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

লালমনিরহাট জেল সুপার মো. ওমর ফারুক বার্তা ২৪ কমকে বলেন, ‘কারাগারে রেখা খাতুনকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি হস্তশিল্পের কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। রেখা ২৩ বছর ৪ মাস ৫ দিন লালমনিরহাট জেলে কাটিয়েছেন। ওই নারী অত্যন্ত ভালো মানুষ সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন।

লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, রেখা খাতুনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সবকিছু শুনেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তার পুর্নবাসনের চেষ্টা চলছে। তাতে প্রতিষ্ঠিত করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

;

সমৃদ্ধিতে ভারত ও পাকিস্তানকে ছাড়ালেও স্বাধীনতা সূচকে পিছিয়ে বাংলাদেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ সালে বাংলাদেশ সমৃদ্ধিতে প্রতিবেশী দেশ ভারত-পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেলেও স্বাধীনতার সূচকে দেশগুলো থেকে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধির সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি দুটি সংস্থা।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে ইউনাইটেড স্টেটস্ এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদনের (গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট) ফলাফল জানাতে সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনের আয়োজন করে।

প্রতিবেদনে সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশকে 'অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসচ্ছল' এবং স্বাধীনতা সূচকে 'অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরাধীন' হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

২০২৩ সালের জন্য করা এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম। তালিকায় ভারতের অবস্থান ১৪৬তম এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১৫০তম। কিন্তু স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম যেখানে ভারত ১০৪তম এবং পাকিস্তান ১১৩তম অবস্থানে রয়েছে।

সমৃদ্ধি সূচকের তালিকা করার জন্য স্বাস্থ্য, বৈষম্য, পরিবেশগত অবস্থা, সংখ্যালঘু অধিকার এবং শিক্ষা সহ মাথাপিছু জিডিপির মতো বিভিন্ন কারণ বিবেচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে স্বাধীনতা সূচকের তালিকা করার জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আইনি অবস্থার পরিমাপ করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্কটির গবেষণায় দেখা গেছে, মৌলিক স্বাধীনতা জোরদার করলে সেটি দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে গতিশীল করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি কর্তৃত্ববাদী দলীয় ব্যবস্থার দিকে শক্তিশালী পরিবর্তন এসেছে। বিরোধী দলকে বয়কট করে সেটি পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ তার ১৫ বছরের শাসনকাল টিকিয়ে রেখেছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা নারী সরকার প্রধান হতে যাচ্ছেন। এটি স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিলেও কর্তৃত্ববাদী দলীয় ব্যবস্থাগুলো প্রায়ই বিভিন্ন ঝুঁকির মুখোমুখি হয় যা সুশাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এই ঝুঁকিগুলো কমানোর জন্য রাজনীতি, সরকার ব্যবস্থা এবং অর্থনীতিতে সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।

সূচক

সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, আটলান্টিক কাউন্সিল যে ১৬৪টি দেশকে তালিকাভুক্ত সেখানে (স্বাধীনতা সূচকে) 'অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরাধীন' হিসেবে তালিকাভুক্ত দেশগুলো 'সমৃদ্ধশালী' দেশ হিসেবে (সমৃদ্ধি সূচকে) তালিকাভুক্ত হয়নি। এটি থেকে বোঝা যায়, সমৃদ্ধশালী হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে জনগণের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আইনি স্বাধীনতা বৃদ্ধি করতে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি দেশ দুর্নীতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। সমস্যাগুলো এড়িয়ে না গিয়ে বরং সমস্যা মেনে নেওয়া ও সক্রিয়ভাবে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করাই আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।

সম্মেলনের মূল বক্তা আটলান্টিক কাউন্সিলের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি কেন্দ্রের পরিচালক জোসেফ লেমোইন প্রতিবেদনের মূল ফলাফলগুলো তুলে ধরেন। প্রতিবেদনে স্বাধীনতা সূচক এবং সমৃদ্ধি সূচকের ওপর ভিত্তি করে গণতান্ত্রিক এবং শাসন সূচক ব্যবহার করে একটি জাতির অর্থনৈতিক অবস্থানের মূল্যায়ন করা হয়েছে।

জোসেফ লেমোইন বলেন, তথ্যগুলো থেকে দেখা যায়, অধিক স্বাধীনতার দেশগুলো বেশি সমৃদ্ধি উপভোগ করে এবং কম স্বাধীনতার দেশগুলোর সমৃদ্ধি নিচের দিকে। একটি দেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে উন্নত করে একটি শক্তিশালী আইনি পরিবেশ তৈরি করার মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি স্বাগত জানাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, অধিক স্বাধীন দেশগুলো কম স্বাধীন দেশের তুলনায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি পায়। সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতা সূচক প্রস্তাব করে, স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার মূল চাবিকাঠি।

সম্মেলনে সরকারের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, দাতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

;

আরও ১ লাখ ২৪ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিল সরকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও ৫০ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে আরও ৫০ জন আমদানিকারককে ৯১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৩ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত চালের বাজারের সংকট কাটিয়ে উঠতে আমদানি করা এ চাল ১৫ মে এর মধ্যে বাজারজাত করতে হবে।

আরও বলা হয়, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) জারি করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করতেও নিষেধ করেছে মন্ত্রণালয়। বাইরে থেকে যে বস্তায় চাল আসবে, তাতে করেই বিক্রি করতে হবে।

তাছাড়া আমদানিকৃত চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এর আগে, গত ২১ মার্চ বেসরকারিভাবে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৪ হাজার মেট্রিক টন আতপ চালের আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার।

;

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ



নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বার্তা২৪.কম-এ ‘বিদেশে কাজ দেয়ার নামে টাকা নিয়ে ম্যাক্সের প্রতারণা, আদালতে মামলা’ এই শিরোনামে গত ১৯ মার্চ, ২০২৪ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস স্বত্বাধিকারী মাহফুজুর রহমান।

মঙ্গলবার এক প্রতিবাদ লিপিতে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন তিনি। তিনি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

নিচে প্রতিবাদ লিপিটি হুবহু প্রকাশ করা হলো:

Caption

 

;