সরকারি বাড়ি চান গ্রেনেড হামলায় নিহত রংপুরের রেজিয়ার পরিবার



আমিনুল ইসলাম জুয়েল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টাকায় কেনা ৯ শতাংশ জমিতে একটি পাকা বাড়ি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত রংপুরের রেজিয়া বেগমের পরিবার। একইসঙ্গে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন তারা।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে রেজিয়া বেগম বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত হন। এ ঘটনার ১৭ বছর পার হলেও রেজিয়া বেগমের পরিবারের শোকের ছায়া এখনও কাটেনি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় পরিবারটি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রীর টাকায় বসবাসের জন্য জমি কিনেছেন। সেখানে নির্মিত টিনের চালা ঘর পুরাতন হওয়ায় পানি পড়ে। তাই সরকারিভাবে নতুন একটি পাকা ঘর নির্মাণের আর্তি তাদের।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) বিকেলে সরেজমিনে রংপুর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে কাউনিয়া উপজেলার বালাটারী বালাপাড়া ইউনিয়নের গঙ্গানারায়ণ গ্রামে গ্রেনেড হামলায় নিহত রেজিয়ার বাড়িতে গেলে ছেলে হারুন অর রশিদ ও নুরনবী (মোস্তুল্লাহ) এসব কথা জানান।

তারা বলেন, মৃত্যুর আগে মেয়ে হত্যার বিচার দেখে যাওয়ার আশা নিয়েই ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই তাদের নানা আফাজ উদ্দিন শেখ (১০০) ও ২০০৬ সালে নানী আমেনা বেগম (৮৫) মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুর আগে নানা আফাজ উদ্দিন শেখ ও নানী আমেনা বেগম বলেছিলেন ‘মোর বেটিক যামরা মারি ফ্যালাইছে, বাঁচি থাকতে তার বিচার দেখি যাবার চাঁও (আমাদের মেয়েকে যারা মেরে ফেলেছে, আমরা বেঁচে থাকতেই তাদের বিচার দেখে যেতে চাই)। নানা ও নানীর মতো আমাদেরও মনে হয় মায়ের হত্যার বিচার না দেখেই মরতে হবে।

নুরনবী ও হারুন দ্রুত মা রেজিয়া হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, পুরো পরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ। এই সরকারের আমলেই আমাদের মা রেজিয়া হত্যার বিচার হলেই মাসহ আমার নানা-নানীর আত্মা শান্তি পাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গঙ্গানারায়ণ গ্রামের দরিদ্র কৃষক আফাজ উদ্দিনের ৪ মেয়ের মধ্যে রেজিয়া বেগমের উপার্জনেই চলতো তাদের সংসার। বৃদ্ধ আফাজ উদ্দিনের ৪ মেয়ের মধ্যে রেজিয়া বেগম ছিল দ্বিতীয়। তার বিয়ের পর দুই পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে স্বামী খালেক মন্ডল নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। তারপর থেকে রেজিয়া অভাব-অনটনের সাথে যুদ্ধ করতে করতে এক সময় ঢাকার বাড্ডা এলাকায় স্থায়ী বসবাস শুরু করেন। সেখানে সে ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসে ভিসায় ছবি লাগানোর খন্ডকালীন কাজ করে বৃদ্ধ পিতা-মাতা ও তার দুই সন্তানের ভরণ-পোষণ চালাতো। গ্রামে স্বামী পরিত্যাক্তা রেজিয়া বেগমের ২ ছেলেকে নিয়ে রেজিয়ার বৃদ্ধ পিতা-মাতা সুখেই ছিলেন। দু’বেলা দু’মুঠো ভাতের চিন্তা ছিল না তাদের। কিন্তু এই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি ওই বৃদ্ধ যুগলের। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রেজিয়া বেগম।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার এক আওয়ামী লীগের নারী নেত্রীর সাথে নিহত রেজিয়ার সুসম্পর্ক ছিল। এরই জের ধরে ঘটনার দিন ওই নারী নেত্রী নিহত রেজিয়াসহ আরও ২০ জন নারীকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দেন। জনসভা চলাকালীন সময় হঠাৎ ভয়াবহ গ্রেনেড বিস্ফোরণে রেজিয়া বেগমের মৃত্যু হলে ২২ আগস্ট নিহত রেজিয়ার পিতা-মাতা মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঢাকায় গিয়ে মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। পরে তাকে ঢাকা আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

উপার্জনক্ষম মেয়ের মৃত্যুর পর থেকেই বৃদ্ধ মা আমেনা বেগম শোকে আড়াই বছর বাকরুদ্ধ অবস্থায় শয্যাসায়ী থাকার পর সুচিকিৎসার অভাবে ২০০৬ সালে মারা যান। গোটা পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটতে থাকে তাদের। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এসব খবর জানতে পেরে তাদের ঢাকায় ডেকে পাঠান এবং আফাজ উদ্দিনসহ নিহত রেজিয়ার ২ ছেলেকে আবাদি জমি কিনে চাষাবাদ করার পরামর্শ প্রদান করেন।

২০০৪ সালে ঘটনার পরেই এক লাখ টাকা, ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৮ লাখ টাকা ও পর্যাক্রমে মোট ৩২ লাখ টাকা তাদের দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে টাকা দিয়ে জমি ক্রয় ও বন্ধক নিয়ে চাষাবাদ করছেন তারা। কিছু টাকা দিয়ে নুরনবী একটি গরুর খামার গড়ে তুলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুতি জানিয়ে রেজিয়ার বড় ছেলে দিনমজুর হারুন অর রশীদ বলেন, তার একমাত্র মেয়ে হালিমা আক্তার এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করে কাউনিয়া কলেজে ডিগ্রি কোর্সে অধ্যায়ন করছে। তাকে যেন ছোট হলেও একটি সরকারি চাকুরি দেওয়া হয়। তা হলে তাকে আর সাহায্যের জন্য কারো কাছে হাত পাততে হবে না।

রেজিয়ার পুত্রবধূ আনোয়ারা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টাকায় ৯ শতাংশ বাড়ি ভিটার জমি ক্রয় করেছি। সেখানেই পুরাতন টিনের ঘরে বসবাস করতেছি। সরকার যেন আমাদের একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেন।

বর্তমানে রেজিয়ার পরিবারের দাবি, মায়ের হত্যার বিচার নানা ভাই দেখে যেতে না পারলেও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই যেন গ্রেনেড হামলার বিচার কার্যকর করা হয়।

   

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার বাংলাদেশ সফর স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) একটি কূটনৈতিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, পারস্পরিক সুবিধাজনক নতুন তারিখে এই সফরটি অনুষ্ঠিত হবে। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিনিময় এবং দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এজেন্ডার অগ্রগতি পর্যালোচনার অংশ।

২০ এপ্রিল ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত অতিথিদেরও এ সংক্রান্ত একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সফরটি স্থগিত করা হয়েছে।’

সফরের বিষয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লি থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না দিলেও শনিবার সংক্ষিপ্ত সফরে তার ঢাকায় আসার কথা ছিল।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকের কথা ছিল।

;

পাবনায় ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাইপথে আনা ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনিসহ ১২টি ট্রাক জব্দ করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। এ সময় ট্রাকচালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অবৈধভাবে আমদানিকৃত ভারতীয় চিনি দেশে এনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে কাজিরহাট ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপর এগুলো জব্ধ করা হয় এবং ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

;

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা



শরীফ ইকবাল রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এতে নরসিংদীর অবস্থানকে আরও উপরে নিয়ে গেছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।

কোনো দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জিআই এর স্বীকৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এবার সেই জিআই পণ্যের তালিকায় নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে। জিআই সনদপত্রটি ১১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই স্বীকৃতিতে খুশি কলাচাষিরা।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীতে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি থাকায় এখানে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ বেশি হয়। অমৃত সাগর কলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরণ করে আশপাশের জেলা ও রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়।

শুধু তাই নয়, দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে এই সাগর কলা। এরই প্রেক্ষিতে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় নরসিংদীর লটকন ও অমৃত সাগর কলাকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে সাগর কলাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে অমৃত সাগর কলা দেশে ও দেশের বাইরে রফতানিতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫৮০ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ করা হয়েছে। এই স্বীকৃতিতে আগামী বছর এর চাষাবাদ আরও বাড়বে বেলে আশাবাদ সচেতন মহলের।

;

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসছেন ব্যারিস্টার সুমন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসবেন দেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ক্রীড়া সংগঠক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে খেলবেন তিনি ও তার দল।

বালিয়াকান্দিতে খেলতে আসার বিষয়টি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজেই তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি বহরপুরের আয়োজনে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে আসবেন। খেলার মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন তার একাডেমির খেলোয়াড় নিয়ে ফুটবল খেলতে আসবেন। এ খেলায় হাজার হাজার দর্শক হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। খেলার মাঠসহ আশপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের (সাহিদ) সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ,বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু,বালিয়াকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম,বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

;