বাংলাদেশকে উপহারের আরও ৪০ অ্যাম্বুলেন্স দিল ভারত
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত সরকারের উপহারের ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে তৃতীয় চালানে ৪০ টি অ্যাম্বুলেন্স এসেছে বাংলাদেশে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯ টায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে অ্যাম্বুলেন্স গুলো বেনাপোল বন্দরের চ্যাচিজ টার্মিনালে প্রবেশ করে।
এর আগে ২১ মার্চ প্রথম চালানে ১টি ও পরে ৭ আগস্ট দ্বিতীয় চালানে ৩০ টি আসে। এ নিয়ে তিনটি চালানে ৭১ টি অ্যাম্বুলেন্স আসলো বাংলাদেশে।
বেনাপোল আমদানি, রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পাশাপাশি রয়েছে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের সম্পর্ক। এরই সূত্র ধরে বিভিন্ন দুর্যোগকালীন সময়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। বন্ধুত্বের জানান দিতে বাংলাদেশও ক্ষুদ্র রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের পাশে থাকেছে সাধ্যমত। ভারতের রপ্তানি বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র বাংলাদেশ। ভ্রমণ আর চিকিৎসা সেবায় প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকেও লাখ লাখ মানুষ যায় ভারতে। ভারতে কোন দুর্যোগ হলে সহজে তার প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে তেমনি বাংলাদেশে কোন অশান্তি হলে তার ছোয়া লাগে ভারতে।
চলমান করোনায় বাণিজ্য ও ভ্রমণ ক্ষাতে ধস নামে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চলতি বছরে ২৬ ও ২৭ মার্চ দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসেন। এসময় দেশে স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন আর চলমান করোনা পরিস্থিতি যৌথ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১০৯ টি লাইফ সাপোর্ট এ্যাম্বুলেন্স উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
অ্যাম্বুলেন্স আমদানিকারকের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান জানান, অ্যাম্বুলেন্সের আমদানিকারক ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার। বন্দর থেকে ছাড় করাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জেড আর কর্পোরেশন। গত ২১ মার্চ একটি অ্যাম্বুলেন্স আসে বাংলাদেশে। পরে ৭ আগস্ট দ্বিতীয় চালানে আসে ৩০ টি। তৃতীয় চালানে প্রবেশ করলো ৪০ টি। এনিয়ে তিন চালানে আসলো ৭১ টি অ্যাম্বুলেন্স। আগামী মাসে বাকী অ্যাম্বুলেন্স ঢুকবে দেশে।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র বলেন, ভারতে করোনা যখন মহামারী অবস্থা তখন বাংলাদেশ সরকার ওষধ দিয়ে সাহায্য করেছে। ভারতও অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে। এমন সম্পর্ক আগামীতে বাণিজ্য ও বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করবে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, উপহারের অ্যাম্বুলেন্স শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাস্টমস থেকে খালাস দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত যাতে ছাড় হয় সেজন্য বিশেষ টিম গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অ্যাম্বুলেন্স নেওয়া হবে ঢাকাতে। পরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তারা সরকারের প্রতিনিধিদের হাতে উপহার তুলে দিবেন।