মেট্রোরেলের পারফরম্যান্স টেস্ট আজ থেকে

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা ২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

রাজধানীতে পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হচ্ছে আজ রবিবার (২৯ আগস্ট) থেকে। উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত চারটি স্টেশনের মধ্যে যাত্রীবিহীন পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেনের এই চলাচলকে বলা হচ্ছে 'পারফরম্যান্স টেস্ট'।

উত্তরায় মেট্রোরেলের জন্য নির্মিত ডিপোতে আজ সকাল ১০টায় ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

এর আগে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল দিয়াবাড়ির ডিপো থেকে পল্লবী পর্যন্ত ভায়াডাক্টের ওপর চালানো হয়। 

বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেল বাস্তবে রূপ পেতে যাওয়ায় খুশি রাজধানীবাসী। শুক্রবার সকালে ভায়াডাক্টে মেট্রোরেল দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ওই এলাকার মানুষ। বাসাবাড়ি থেকে, কেউ বাসার ছাদ থেকে ট্রেন চলার ছবি তুলেছে, কেউ ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছেন।

বিজ্ঞাপন

মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আজ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নবনির্মিত ভায়াডাক্টে ট্রেন চালানো হবে। এটি হবে যাত্রীবিহীন পরীক্ষামূলক চলাচল।

তিনি জানান, ভায়াডাক্টের কোথাও কোনো অসুবিধা আছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে শুক্রবার সকালে ট্রেন চালানো হয়েছে। তবে সেটি পরীক্ষামূলক ছিল না। মূল উদ্দেশ্য ছিল, এতদিন ধরে যে ভায়াডাক্ট তৈরি করা হয়েছে, তা ঠিকঠাক কাজ করে কিনা তা দেখা।

বর্তমানে ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ী মেট্রোরেলের ডিপোতে দুই সেটের মোট ১২টি কোচ পৌঁছেছে, যার প্রথম সেটের ছয়টি ২১ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় সেটের আরও ছয়টি কোচ ১ জুন ঢাকা পৌঁছায়। মেট্রোরেলে প্রতিটি সেটে থাকবে চারটি যাত্রীবাহী কোচ, দুই দিকে দুটো ইঞ্জিন।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি বর্গমিটারে আটজনের হিসাবে ব্যস্ততম সময়ে প্রায় ১৭০০ যাত্রী চলাচল করতে পারবেন।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, এমআরটি-৬ সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। প্রথম পর্যায়ের নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব হতে আগারগাঁও অংশের পূর্ত কাজ শেষ হয়েছে প্রায় শতভাগ। দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি হয়েছে অর্ধেকের বেশি। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা।