আমরা ঘায়ে ব্যান্ডেজ না করে একেবারে ক্লিন করছি: আইজিপি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, পুলিশ সদস্যদের নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়ায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারতাম। কিন্তু আমরা ঘায়ে ব্যান্ডেজ না করে একেবারে ক্লিন করছি।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুলিশ সদরদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

আইজিপি বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কেউ কোনো অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইচ্ছা করলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারতাম, ইচ্ছা করলে ঘায়ে ব্যান্ডেজ করতে পারতাম। কিন্তু আমরা এসবের মধ্যে নেই, এসব একেবারে ক্লিন করতে চাচ্ছি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ফৌজদারি মামলা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমি তো পার্লামেন্ট মেম্বার না, পার্লামেন্ট নিয়ে কি আমার কথা বলা ঠিক হবে? যেগুলো পার্লামেন্টে আলোচনা হয়, সেগুলো পার্লামেন্টের ভেতরেই থাকে। আপনার ব্যক্তিগত কৌতূহল থাকলে সেটি ভিন্ন বিষয়। কিন্তু পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার পাল্টা উত্তর আইজিপি দেবে না। আমি বাংলাদেশের আইজিপি, পার্লামেন্টের সদস্য নই। এ কারণে এটা শোভন নয়, যৌক্তিক নয়, আইনসম্মত নয়।

বিজ্ঞাপন

পুলিশের সব ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে একযোগে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে প্রতি ব্যাচে আমরা ৪ হাজার ৩১৯ জন পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে পারবো। সে হিসাবে, এ বছর ১৪ সপ্তাহে ৬০ হাজার ৬৬৬ জনকে প্রশিক্ষণ দিতে পারবো। আগামী বছর থেকে বছরব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলবে। পুলিশের সব সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে ৪৮ সপ্তাহ প্রয়োজন।

কনস্টেবল, নায়েক এবং এএসআই পর্যায়ের প্রশিক্ষণ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের তত্ত্বাবধানে দেশের ১০৮টি পুলিশ ইউনিটের ৫৫টি প্রশিক্ষণ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।

বিপিএ, পিটিসি, সব ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারসহ দেশের ১০৫টি পুলিশ ইউনিটের সব পদমর্যাদার প্রশিক্ষণ একযোগে শুরু হবে, যা পর্যায়ক্রমে বছরজুড়ে চলমান থাকবে বলেও অনুষ্ঠানে জানানো হয়।