স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে পারুল খাতুন নামে এক গৃহবধূকে মারপিট করে আহত করেছে পুলিশ কনস্টেবল স্বামী রাশেদুল ইসলাম।
গুরুতর আহত পারুল খাতুনকে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সকালে পারুলের বাবা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- পারুলের স্বামী পুলিশ কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম, তার বাবা আলাউদ্দিন মন্ডল ও মা রেহেনা খাতুন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালে কামারখন্দ উপজেলার নান্দিনা মধু গ্রামের আলাউদ্দিন মন্ডলের ছেলে রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় পারুলের। বিয়ের সময় পুলিশের চাকরি নেওয়ার নাম করে ৮ লাখ টাকা যৌতুক নেয় রাশেদুল ইসলাম। এরপর আরও ১০ লাখ যৌতুকের জন্য পারুলকে নির্যাতন করে আসছিলেন রাশেদুল ও তার পরিবারের সদস্যরা।
গত ২৯ আগস্ট রাশেদুল ইসলাম ছুটিতে বাড়ি এসে যৌতুকের টাকা ও দ্বিতীয় বিয়ে করবে বলে পারুলের কাছে লিখিত অনুমতি চায়। এতে পারুল রাজি না হওয়ায় তাকে মারপিট করে আহত করে রাশেদুল ও তার পরিবারের লোকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা পারুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এঘটনায় তিন জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন পারুলের বাবা ফজলুর রহমান।
কামারখন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এম.এম সুমনুল হক বলেন, পারুলকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিলো। তার মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হুদা বলেন, পারুলকে নির্যাতের অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। হাসপাতালে পারুলের কাছে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি।