দুই যুগেও সচল হয়নি বরিশালের সুইমিংপুলটি

ছবি: বার্তা২৪.কম
সাঁতার শেখা ও দক্ষ সাঁতারু তৈরির লক্ষে ১৯৯৭ সালে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বরিশালে একটি সুইমিংপুল নির্মাণ করা হয়। জেলার শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামের উত্তর পাশে এটি নির্মাণ করা হয়। এরপর পার হয়ে যায় দুই যুগ। নির্মাণের পর থেকেই অবকাঠামোগত ত্রুটি ও সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার কারণেই অচলাবস্থায় পড়ে আছে এটি।
এটি বরিশাল তথা গোটা দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র সরকারি সুইমিংপুল। এতে করে বরিশালে তৈরি হচ্ছে না দক্ষ কোন সাঁতারু। পাচ্ছে কোন জাতীয় রেকর্ড ভিত্তিক পদক৷ পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে সুইমিংপুলটি জরাজীর্ণ আর অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকায় এর আশেপাশে বেড়েছে মাদকসেবীদের আনাগোনা।
বরিশাল জেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, সুইমিংপুলটি ১৯৯৭ সালে নির্মাণ করেছিল বরিশাল জেলা ক্রীড়া সংস্থা। এতে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় ব্যয় হয়। নগরীর চাঁদমারী এলাকার স্টেডিয়ামের উত্তর পাশে এটি অবস্থিত।
নির্মাণকালে স্টিলের পাতের বাক্স দিয়ে পুলের কূপে (বেসিন) ঢালাই দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা দেওয়া হয় কাঠের বাক্স দিয়ে। এতে করে ঢালাই ভালোভাবে বিন্যস্ত না হওয়ায় পরীক্ষামূলকভাবে কূপে পানি তুলতে গেলে বেসিন ফেটে যায়। সমস্যার পুরোপুরি সমাধান না করেই আবার দুটি পানির পাম্প বসানো হয়। কিন্তু পাম্পদুটিও কোন কাজে আসেনি।
এই অবস্থায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সুইমিংপুলটি বুঝে নিতে জেলা ক্রীড়া সংস্থা অপারগতা প্রকাশ করে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর স্থায়ী কোনো সমাধান না করেই নির্মাণ কাজের পুরো বিল তুলে নিয়ে সটকে পড়ে।
অবকাঠামোগত ত্রুটি নিয়েই গত ২০০০ সালের ১১ এপ্রিল সুইমিংপুলটির উদ্বোধন করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সুইমিংপুলটি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। চারপাশে আগাছা জন্মেছে, দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। টাইলসও নষ্ট হয়ে গেছে।
বরিশাল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সোহেল মারুফ জানান, করোনার কারণে বিলম্বিত হওয়া শহিদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে বেশ কিছু সংস্কার কাজ কিছু দিনের মধ্যে শুরু হবে।
কাজের মধ্যে রয়েছে- সুইমিং পুলের সংস্কার, একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ ও স্টেডিয়ামের গ্যালারিসহ নানা সংস্কার কাজ।
এসব সংস্কার ও নতুন কাজ করার জন্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। তবে এখনও টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। পাশাপাশি এসব কাজ বাস্তবায়নে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অগ্রগতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান এই সদস্য সচিব।