‘প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ শীর্ষ ৫ সহনশীল অর্থনীতির দেশ’
করোনায় নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির দেশের মধ্যে রয়েছে। একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপে বাংলাদেশের অর্থনীতির এই অবস্থান উঠে এসেছে।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিটে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহামারিজনিত কারণে গত বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি যেখানে ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, সেখানে কমনওয়েলথভুক্ত অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।
সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের উপায় এবং পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বিভিন্ন দেশের নেতারা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের আইএমএফের অক্টোবরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব অর্থনীতিতে গড় ৪ দশমিক ৪ শতাংশের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। এ সময় অতি অল্প কয়েকটি ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
জাতিসংঘের বাণিজ্যবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৪২ শতাংশ। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কমনওয়েলথ অর্থনীতি ৫০ শতাংশের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে জিডিপির ৬.২৩ শতাংশের সমান ২২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ এর সুফল ভোগ করে চলেছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের আইএমএফের অক্টোবরের রিপোর্ট অনুযায়ী, মহামারির মধ্যে অল্প কয়েকটি ইতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী, মহামারি প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে।
সভায় কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী এবং বাণিজ্য বোর্ডের সভাপতি এলিজাবেথ ট্রাস এমপিসহ আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য প্রদান করেন। তারা সবাই কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের উপায় এবং পথ খুঁজে বের করতে একসঙ্গে কাজ করার আশা প্রকাশ করেন।