চন্দ্রিমায় জিয়ার লাশ নেই, লুই কানের নকশা বাস্তবায়নের দাবি



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, ওখানে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই। একটা বাক্স রেখে বলতেছে এটা জিয়াউর রহমানের লাশ। এই বিভ্রান্ত দূর হয়ে গেছে। ওখানে যে বাক্সটা আছে, ওই বাক্সটা সরিয়ে লুই আই কানের ডিজাইন যেটা আছে সেইটাকে বাস্তবায়ন করেন মাননীয় স্পিকার।

তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, লাশ থাকলে প্রমাণ করেন? এক মাস সময় দিলাম। আপনার তখন ক্ষমতায় ছিলেন। তখন সেনাপ্রধান ছিলেন এরশাদ সাহেব সেও দেখে নাই। আপনারা তাহলে কিভাবে প্রমাণ করবেন ওখানে জিয়াউর রহমানের লাশ আছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থদশ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে কথাগুলো বলেন সাবেক এই মন্ত্রী। এসময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী সংসদে উপস্থিত ছিলেন।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বিএনপির সংসদ সদস্যরা এই সংসদ ভবনে জিয়াউর রহমানের কবর আছে এটা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ওখানে যে জিয়াউর রহমানের কবর নাই। এটা ৪০ বছর আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ২০ জুন ১৯৮১। আমি তখন নতুন পার্লামেন্ট মেম্বার। জিয়াউর রহমান মারা গেছে। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার পরিবারের কেউ দেখে নাই। তার লাশ খালেদা জিয়া দেখে নাই, তারেক জিয়া দেখা নাই ইত্তেফাকে বের হয়েছে। সেখানে গিয়ে সে কান্নাকাটি করেছে আমার বাপের লাশ দেখাও। শাহ আজিজ একটা চালাকি করেছে, সে বলছে যে লাশ পাওয়া যাক আর না যাক একটা বাক্স পাঠিয়ে দাও। সেই বাক্স ওখানে পাঠায়।

সেদিন জনমনে সন্দেহ ছিল যে কিসের জানাজা করছি? এটা কি বাক্স? না জিয়াউর রহমান আছে। কারণ কোনো মন্ত্রীও দেখে নাই। তখন সরকারে বিএনপি ক্ষমতা সব তাদের। আমি ২০ জুন ১৯৮১ পার্লামেন্টে সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম।

এসময় বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য কিছু বলায় তাদের জবাবে শেখ সেলিশ বলেন, ৪০ বছর পর আবারও লাশ নিয়ে কেন লাফালাফি করছেন? ওটা প্রমাণই করতে পারেন নাই। আমি বলেছিলাম ওটা আপনারা প্রমাণ করেন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার লাশ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ও বিভিন্ন জনমনে বিভিন্ন সন্দেহ দেখা দিয়েছিল। এটা আমার সেই সময়কার বক্তব্য।

শেখ সেলিম বলেন, সেদিন রাষ্ট্রপতিকে দেখার জন্য বহুলোক সমাগত হয়েছিল কিন্তু কাউকে লাশ দেখানো হয়নি। তাই জনমনে সন্দেহ এই লাশ কার লাশ? জনগণের সন্দেহ ওই বাক্সের ভেতরে কোনো লাশ আছে কি না? তাই সরকারকে অনুরোধ করব যদি ওটা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের লাশ হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয় আপনাদের কাছে সেই লাশের ছবি আছে। আগামী ২ দিনের ভেতর পত্রপত্রিকায় সেই ছবি ছাপিয়ে জনগণের সন্দেহ দূর করার চেষ্টা করবেন। আর যদি তা করতে না পারেন জনগণের সন্দেহ যেটা হয়েছে সেটাই পরিণত হবে।

তিনি বলেন, আজ ৪০ বছর পর্যন্ত একটা ছবি দেখাতে পারেন নাই। একটা বাক্স কবর দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান সব কিছু হয়েও একটা ছবি নাই। যে কোনো একটা মন্ত্রী মারা গেলেও তো তার ছবি ছাপা হয়। ৪০ বছরেও একটা ছবি ছাপাতে পারেনি। একটা বাক্স এনে বলে এটা জিয়াউর রহমানের লাশ। এই বিভ্রান্ত দূর হয়ে গেছে।

স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ওখানে যে বাক্সটা আছে, ওই বাক্সটা সরিয়ে লুই আই কানের ডিজাইন যেটা আছে সেইটাকে বাস্তবায়ন করেন। লুই কান বলছে ওখানে কোনো স্থাপনা হবে না। ওই কবরে যদি বাক্সটা থাকে ওখান থেকে সরিয়ে দেন। সংসদের সৌন্দর্য্য বিনষ্ট করা যাবে না।

এসময় তিনি আরও বলেন, এটাই শুধু করে নাই। ওটাকে জায়েজ করার জন তিন বড় রাজাকার শাহ আজিজ, সবুর খান আর মশিউর রহমান তাদেরও পাশে কবর দিছে। এদের কবরও এখান থেকে সরিয়ে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। মানুষ এই সকল বিভ্রান্ত আর সহ্য করবে না।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে শেখ সেলিম বলেন, আজকেও সংসদে সংশোধনী জনমত যাচাই যে কোনো বক্তৃতায় জিয়াউর রহমানের লাশ জিয়াউর রহমানের লাশ বলে চিল্লা চিল্লি করছেন। আরে কিসের জিয়াউর রহমানের লাশ? লাশ প্রমাণ করেন। এক মাস সময় দিলাম। আপনার তো তখন ক্ষমতায় ছিলেন। তখন সেনাপ্রধান ছিলেন এরশাদ সাহেব, সেও দেখে নাই আপনারা তাহলে কিভাবে প্রমাণ করবেন? জনমনে যে সন্দেহ ছিল সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে। এটা প্রমাণ করতে পারে নাই। এই লাশ নিয়ে আর রাজনীতি কইরেন না। ওখানে কোনো লাশও নাই কিছু নাই একটা বাক্সের মাটি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, লাশ যদি থাকত প্রমাণ করতে পারতেন, সুতরাং জনগণকে বলব এটা ৪০ বছর আগে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে এখানে একটা বাক্স এনে কবর দিছে। তখন ক্ষমতায় বিএনপি, তাদের ক্ষমতায় ছিল তারা প্রমাণ করতে পারে নাই ৪০ বছর আগে। সুতরাং ওখানে কোনো লাশ নাই। জানাজা করছে একটা বাক্সের। তার ছেলে কে দেখায় নাই কেন? স্ত্রীকে দেখান নাই কেন? স্পিকারকে দেখান নাই কেন। আবার বলে আর্মি ড্রেস পরা ছিল। জিয়াউর রহমান কি আর্মি ড্রেস পরে মরছে? সেখানে কোনো ড্রেস ছিল না। একটা বানাইয়া বলে যে এইটা জিয়াউর রহমানের লাশ। এই দুই নম্বর রাজনীতি বহু করছেন। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের চিনছে। আর দুই নম্বর রাজনীতি করবেন না, সত্য যেটা সত্য হয়ে থাকবে মিথ্যা যেটা মিথ্যা হয়ে থাকবে। জিয়াউর রহমান যা অপকর্ম করছে তার পরিণতি আরও দেখেন আপনাদের কি হয়।

   

গরমে জানটা শ্যাষ হয়া গেইল!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের সাহেব আলী। এই অইদের (রোদ) ঠ্যালায় জানটা ব্যার হয়া যাবার নাগছে বাহে! গরীম মানুষ বাঁচে কেমন করি। জারের (শীত) সমায় (সময়) কনকনা ঠান্ডা আর গরমের সমায় গরম। হামরা ঘর থাকি ব্যার হওয়া যায় না। জানটা শ্যাষ (শেষ) হয়া গেইল।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রবাহে সৃষ্ট দাবদাহে অতিষ্ট লালমনিরহাটের জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ ক্রমশ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আগুন ঝরা বাতাসে নারী-শিশুসহ কর্মজীবী মানুষ দিন দিন অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা কম, জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাহিরে বের হচ্ছেন না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা হয় হাতীবান্ধা উপজেলার ভ্যানচালক নুরআলম সাথে, তিনি বলেন, বৈশাখের চনচনা অইদোত রোদে মাল নিয়া ভ্যান চালাইতে কষ্ট হয়। গরমের ঠ্যালায় কইলজা ফাটি যায়। ওই জন্যে ঠান্ডাত (গাছের ছায়া) একনা দম নিবার নাগছি।

তিনি আরো বলেন, কোথাও ঠান্ডার আভাস নাই। এভাবে চলতে থাকলে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়বো। পরিবার পরিজনের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দেয়া দুরুহ ব্যাপার হয়ে পড়বে। রিকশাচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত চার-পাঁচ দিন ধরে আয় রোজগার কমে গেছে। বেলা সাড়ে ১০-১১টার পর রাস্তায় আর কোনো যাত্রী থাকে না।

বাসচালক আকবর আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, গরমের কারণে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ (বিটুমিন) উঠে গাড়ির চাকার সাথে লেগে যায়। এতে খুব সতর্ক অবস্থায় গাড়ী চালাতে হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রমজান আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রচন্ড গরমে শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দৈনিক শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে শিশু রোগী ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ, যথাসম্ভব বাহিরে বের না হওয়া, সাথে খাবার পানি রাখা, ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটে তাপমাত্রা ৩৮.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

লালমনিরহাট জেলা তথ্য অফিসার শাহজাহান আলী (অতিরিক্ত দায়ত্বি) বার্তা২৪.কমকে জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে জেলার সর্বত্র সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

;

কুয়াকাটায় জেলের জালে ২৬ কেজির কোরাল



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালির কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে রাসেল মাঝি (৩৫) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১.৩০ মিনিটে কুয়াকাটা মেয়র মৎস্য মার্কেটের মনি ফিস আড়তে মাছটি নিয়ে আসা হয়। এসময় মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র নিলামের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গোপসাগরের বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় মাছটি ধরা পড়ে।

মাছ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল মাঝি বলেন, প্রতিদিনের মত গত সোমবার (২২ এপ্রিল) ধুলাস্বার ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজার থেকে (মায়ের দোয়া) নামের ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে যাই। পরে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় জাল ফেলার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। মাছটির ওজন বেশি হওয়ায় আমাদের ট্রলারে তুলতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমার জালে ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ ধরা পড়েছিলো। তবে আমার জালে ধরা এটিই সবচেয়ে বেশি ওজনের কোরাল। মাছটি খুব ভাল দামে বিক্রি করেছি। এত বড় মাছ পেয়ে আমার ট্রলারে থাকা জেলেসহ আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

মাছটি ক্রয় করা ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করি, এত বড় কোরাল আসলে সব সময় পাওয়া যায় না। মাছটি দেখেই আমার পছন্দ হয়েছে। তাই নিলামে আমিই বেশি দাম হেঁকে এ মাছটি ক্রয় করেছি। মাছটি বিক্রির জন্য আজই ঢাকায় পাঠাবো। আশা করছি আমি ভালো মানের লাভ করতে পারব।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। শিশুদের মানসিক বিকাশে কোরাল মাছ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি বৃষ্টি হলে জেলেদের জালে ইলিশের পাশাপাশি আরও বড় বড় মাছ ধরা পড়বে।

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরের মামলায় ৭ জনের জামিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের গাড়ি চাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নারী কাউন্সিলরের দায়ের করা মামলায় ৮ জনের মধ্যে দুই কাউন্সিরসহ ৭ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট প্রথম আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান আদালতে জামিন আবেদন করেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজভ

জামিন প্রাপ্তরা হলেন - কাউন্সিলর ফজর আলী, কাউন্সিলর বারাম উদ্দিন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী, দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী, রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া ও জানাইয়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বনাথ থানায় বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করে নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম। মামলা নং-(৫)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয় আরও ৪/৫ জন।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজ বলেন, এই মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান জামিন আবেদন করেননি। তবে মেয়র ছাড়া বাকি ৭ জন আসামি জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

;

নারী চিকিৎসককে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসককে হয়রানি করার অপরাধে সাগর হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সাগর হোসেন দৌলতপুর থানা বাজার এলাকার বিপ্লব হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোহিদুল ইসলাম জানান, ওই যুবক বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের এক নারী চিকিৎসককে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে এসে একইভাবে তাকে হয়রানি করতে গেলে আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বখাটে সাগর হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

;