জাতীয় পার্টির এমপিরা সংসদে কাদের মির্জার বিচার চাইলেন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম স্বপনকে (৫৯) নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিচার চেয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী দিনে পয়েন্ট অব অর্ডারে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা কাদের মির্জা বিচার দাবি করেন।

তার বক্তব্য হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো, স্পিকার আমরা আইনের ওপর কোন কথা বলি না। আমরা বিগত নির্বাচনে অনেকগুলো আসনে আওয়ামী লীগের সাথে আমাদের সুসস্পর্কের স্বার্থে বা সুসম্পর্ক রাখার নিমিত্তে আমরা অনেক গুলো আসনে নির্বাচন করি নি। আমাদের এ সুসম্পর্ক যেন সব সময় সঠিক থাকে এমন দৃষ্টি আমাদের সব সময় ছিল। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জীবিত থাকা অবস্থায় বলে ছিলেন তোমরা এ সম্পর্কটা রক্ষা কর। কিন্তু স্পিকার আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আমাদের নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক তিনি অত্যন্ত নিরীহ মানুষ। যিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন। তিনি এ আসনটি ছেড়ে দিয়ে ছিলেন আমাদের কথার ওপরে। সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেব নির্বাচন করেছেন।

রাঙ্গা বলেন, কিন্তু ৮ তারিখ দুপুর আড়াইটার দিকে একটি ভবন থেকে উনাকে ৪০ জন মানুষ উনার ওপর আক্রমণ করেছে। উনাকে ধরে নিয়ে গেছে এবং পৌরসভার তৃতীয় তলায় উনাকে প্রচণ্ড ভাবে হাঁতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে। পা থেকে কোমরের নিচ পর্যন্ত থেতলে দেওয়া হয়েছে, হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাও তারা করতে দেবে না। এ ব্যবস্থা ও তারা করে ছিল। যে ভাবেই হোক আমরা ঢাকা থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ করে তাকে উদ্ধার করে ছিলাম এবং বাসায় টিট্রমেন্টের পরে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়ে ছিল। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে উনার চিকিসার পরে ওখানেও কিছু সন্ত্রাসী ঘোরাফেরা করছে তাকে আক্রমণ করে  হত্যা করার পরিকল্পনা নিয়ে। তখন সেখান থেকে তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সে এখনও একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে মৃত্যুও সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

তিনি আরও বলেন, সেখানে আমরা মামলা দিয়ে ছিলাম। আমাদের মামলা গ্রহণ করা হয়নি। এ কাদের মির্জা বিভিন্নভাবে সারা বাংলাদেশে বিতর্কিত। তার ভাইয়ের (ওবায়দুল কাদের) কাছে কতটুকু বিতর্কিত আমি জানি না। উনার দলের কাছে কতটুকু বিতর্কিত আমি জানি না। কিন্তু কোম্পানীগঞ্জসহ সারা বাংলাদেশে তিনি অবাঞ্ছিত মানুষে পরিণত হয়েছেন। তিনি কাদের মির্জা কখন, কাকে কী বলছেন, আমি জানি না। জানি তিনি একটি দলের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রধানমন্ত্রী সেই দলের সভাপতি। আমরাও বঙ্গবন্ধুকন্যা হিসাবে তাকে সম্মান করি। তিনি সবসময় ন্যায়বিচার করেন, আমরা তা-ই মনে করি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী না থাকার কারণে আমরা আপনার (স্পিকার) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ন্যায়বিচার ও তার সুচিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান করছি।

এ ছাড়াও ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর বিশেষ আইনের মেয়াদ বাড়ানোর বিলের সংশোধনীর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে কোম্পানীগঞ্জে জাপা নেতার ওপর হামলার ঘটনায় বিচারের দাবি করেন জাপার আরেক সংসদ শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জাপা নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপনকে বসুরহাট বাজারের কালামিয়া ম্যানশনের সামনে থেকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা তুলে নিয়ে যায়। এরপর রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পৌরসভা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে তাকে আটকে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম নির্যাতন চালানোর অভিযোগ করেন তার ছেলে মইনুল ইসলাম শাওন।

শাওন আরও অভিযোগ করেন, তার বাবার সাথে থাকা টাকা, মোটরসাইকেল, ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এমনভাবে মারধর করা হয়েছে শুধু কোন রকম জানটা রাখছে। কোম্পানীগঞ্জে রাজনীতিতে মির্জার বিরুদ্ধে যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার জন্য বাবাকে চাপ দেয় মির্জা। তার প্রতিপক্ষরা যে সকল অনিয়ম করে নাই সেগুলো করছে বলে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুল লতিফ মেম্বারকে ডেকে নিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে হস্তান্তর করা হয়।

   

সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

;

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসরিফ (১৫) ও কক্সবাজারের রামুর নুরুল আলম (২৮)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমূখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ আরোহী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে এক যাত্রী লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া
মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার পার্লিস প্রদেশের পেদাং বাসারে একটি নির্মাণাধীন ভবনের চত্বর থেকে ৪৫ জন বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে।

অবৈধ অবস্থানের অভিযোগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইমিগ্রেশন বিভাগের অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

পার্লিস ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিন তালিব বলেন, আটককৃতরা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান করছিলেন এবং তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

আটককৃতদের মধ্যে ১ জন নারীসহ মোট ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এ ছাড়াও ৩ জন ইন্দোনেশিয়া এবং ১ জন ভারতের নাগরিক রয়েছে। এদের বয়স ১৯ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।

তালিব জানান, শহরের বুকিত চাবাং এলাকার সেকোলাহ সুকান নির্মাণাধীন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের অধিকতর তদন্তের জন্য কুয়ালা পার্লিস কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মোট ১০১ জন বিদেশিকে তল্লাশি করা হয় অভিযানের সময়। যার থেকে ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(১)(সি), ধারা ১৫(১)(সি) এবং ধারা ৫৬(১)(ডি) এর অধীনে এই বিদেশিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

;

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর জলঢাকায় ফরিদুল (৪০) নামে এক চোরকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে খুটামারার টেংগনমারী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার ছিটমহল বালাগ্রাম এলাকার ইউনূস আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ফরিদুল দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল, গরুসহ বিভিন্ন চুরি করে আসছিলেন। জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে ২১টি চুরির মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

;