কোম্পানির হস্তক্ষেপে বাধাগ্রস্ত তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তামাক নিয়ন্ত্রন কাযর্ক্রম কোম্পানির হস্তক্ষেপে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করতে সুনির্দিষ্ট নীতি ও আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন কয়েকটি তামাক বিরোধী সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ‘কোম্পানির হস্তক্ষেপ এবং তামাক নিয়ন্ত্রণের ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তারা। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র উদ্যোগে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বলা হয়, জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার বদ্ধপরিকর। ‘তামাক’ জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। সরকার বিগত দিনে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রনে গ্রহণ করেছে একাধিক উদ্যোগ। বৈশ্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ‘এফসিসিটিসি’তে স্বাক্ষর, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধি প্রণয়নসহ বহুবিধ প্রসংশনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

সরকার প্রধান ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বেসরকারী সংগঠনগুলো সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করে আসছে। পাশাপাশি তামাক কোম্পানির কূট-কৌশল ও অপ্রপ্রচার রোধে দীর্ঘদিন ধরে সুনির্দিষ্ট নীতি গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছে। দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের ১৬ বছর অতিবাহিত হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও এখনো অব্দি তামাক নিয়ন্ত্রণে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।

তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি ব্যাহত করতে তামাক কোম্পানিগুলো দীর্ঘদিন থেকে নীতিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ করে আসছে। তামাক নিয়ন্ত্রণে বড় প্রতিবন্ধকতা তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ। গবেষণা তথ্যানুসারে, তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপের বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম। তবে বাংলাদেশে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচাইতে বেশি।

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট বহু বছর যাবত এই কারণগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি সমস্যা সমাধানে সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বর ২০২০ থেকে আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত সমগ্র দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলায় কোম্পানির হস্তক্ষেপের একাধিক চিত্র তুলে ধরেছে। এই সময়ে সর্বমোট ৫৭৬ টি কোম্পানি কর্তৃক হস্তক্ষেপের তথ্য পাওয়া গেছে। তন্মধ্যে কর বৃদ্ধিতে বাধাপ্রদান ও ফাঁকি বিষয়ক সর্বাধিক হস্তক্ষেপের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া, সংখ্যার বিচারে এর পরেই অবস্থান করছে যথাক্রমে চোরাচালান, সিএসআর কার্যক্রম, বিজ্ঞাপন প্রচারনা, বিভ্রান্তিকর তথ্য ও তামাক চাষ বিষয়ক খবর।

এছাড়াও, বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘণ, চোরাচালান, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার, তামাক চাষ ও সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের একাধিক তথ্য পাওয়া গেছে। তামাক কোম্পানি কর্তৃক এহেন হস্তক্ষেপের চিত্রের ক্ষেত্রেও পাওয়া গেছে ভিন্নতা। সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ কার্যক্রম বছরজুড়েই চলমান থাকলেও অন্যান্য হস্তক্ষেপ মূলক কার্যক্রম বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে অধিক নজরে আসে। যেমন বাজেট ঘোষনার ২-৩ মাস পূর্ব থেকে ট্যাক্স না বাড়ানোর দাবিতে তামাকজাত পন্য উৎপাদনের সাথে জড়িত শ্রমিকদের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ও সরকারের নীতি-নির্ধারনী পর্যায়ে লবিং কার্যক্রমের একাধিক তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।

সেপ্টেম্বর, ২০২০ - আগস্ট, ২০২১ এই ১২ মাসে কোম্পানির হস্তক্ষেপ বিষয়ক মাসিক প্রাপ্ত তথ্যের সংখ্যা ৫৭৬ টি। অথচ, জাতীয় বাজেট ঘোষণার পূর্বে মে মাস এবং জুন মাসে তা ভয়াবহ রুপ ধারন করে। বিশেষ করে জুন মাসে তা বেড়ে ৮০ টিরও অধিক হয়ে যায়। কারণ এই সময়েই কোম্পানিগুলো তাদের দাবি পূরণে অধিক সোচ্চার থাকে এবং সরকারের নীতিনির্ধারনী পর্যায়ে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় অধিক দৌড়ঝাঁপ করে থাকে। বিভিন্ন বিভাগীয় পর্যায়ে কোম্পানি কর্তৃক হস্তক্ষেপের তথ্য ও সংখ্যা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ঢাকা বিভাগে সর্বাধিক হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এর পাশাপাশি এই সময়ে তামাকজাত দ্রব্য চোরাচালানের তথ্য অহরহ দেখতে পাই যা পরিষ্কারভাবে কোম্পানির হস্তক্ষেপের স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে।

ডাস এর উপদেষ্টা আমিনুল ইসলাম বকুলের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন দি ইউনিয়নের কারিগরী পরামর্শক এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম, দৈনিক মানবকন্ঠের সহ-সম্পাদক দীপংকর গৌতম, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী, এইড ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প পরিচালক সাগুফতা সুলতানা। ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং সঞ্চালনা করেন প্রকল্প কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান।

আইন, নীতিপ্রণয়নে তামাক কোম্পানির সম্পৃক্ততা ও প্রভাব বন্ধ, তামাক কোম্পানি হতে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার জরুরী। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বিএটি-র পরিচালক হিসেবে সরকারের সচিবদের প্রত্যাহার, এফসিটিসি অনুসারে গাইডলাইন ও কোড অব কন্ডাক্ট প্রণয়ন জরুরি বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।

সভায় টিসিআরসি, বিইআর, নাটাব, এইড ফাউন্ডেশন, ডাস, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি, ভয়েস, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, শীল্ড, বাঁচতে শিখ নারী, কেএইচআরডি, ছাড়াও বাংলাদেশ পোস্ট, মানবকন্ঠ, বার্তা২৪.কমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

   

তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক

তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপদাহ। এই সময়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে স্কুল খোলা রেখেছেন শাহ আলী থানার এডভান্স চাইল্ড কেয়ার একাডেমির প্রধান শিক্ষক সিকদার মিরাজুল। তিনি প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা করছেন।

তীব্র গরমের মধ্যেও প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে গেলে এই প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক মিরাজুল।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের তৃতীয় সপ্তাহে অনেকটা জোর করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসতে বাধ্য করছেন প্রধান শিক্ষক।

এমনকি শিক্ষার্থীদের কেউ স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে তাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এই হুমকির মুখে তারা স্কুলে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, শাহ আলী থানার রাইন খোলা শাখার সকল শিক্ষক উপস্থিত। প্রধান শিক্ষক কাজে ব্যস্ত। প্রতিষ্ঠানের সামনে জাতীয় পতাকা উড়ছে। কয়েকজন শিক্ষক জানান তারা প্রতিবাদও জানিয়েছেন। কিন্ত প্রধান শিক্ষক কিছুতেই সরকারি নির্দেশনা মানছেন না।

বরং প্রধান শিক্ষক বলছেন, সকল সরকারি নিয়ম মেনে চললে প্রতিষ্ঠান চালানো যাবে না। তীব্র তাপদাহ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক সাধারণ শিক্ষকদের আশ্বস্ত করতে বলেন, এটা সরকারের একটা পলিসি।

সাংবাদিক পরিচয়ে প্রধান শিক্ষক মিরাজুল ইসলামকে স্কুল খোলা রাখার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা এত খারাপ কেন। আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখি আর খোলা রাখি সেটা আমার ব্যাপার । সরকারের সব সিদ্ধান্ত মেনে আমার স্কুল চালাতে পারবো না।

এ বিষয়ে শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা রাবেয়া বলেন, তার বিরুদ্ধে ইতিপুর্বে অনেক অভিযোগ এসেছে।

;

লালমনিরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় এক নারীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসুতী হরিসভা খানপাড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মমতা বেগম (৪০) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় পাটগ্রাম উপজেলার খানপাড়া হরিসভা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধবলসুতী বাসিন্দার মৃত বদির উদ্দিনের মেয়ে নিহত মমতা বেগম দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। কানে না শোনার কারণে রেল লাইনে হাঁটার সময় পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় রেল লাইনের পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পাশে থাকা স্থানীয় লোকজন গিয়ে মমতার নিথর দেহ দেখতে পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের ও পাটগ্রাম থানায় খবর দেন।

স্থানীয়রা জানান, মমতা ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে তার বড় ভগ্নিপতির বাড়িতে থাকতেন।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে মমতা বেগম নামে একজনের মৃত্যু খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

;

ফেনীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। এক ফোঁটা বৃষ্টির আশায় দেশের মানুষ। ফেনীতে তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে বৃষ্টি কামনায় সালাতুল ইস্তিসকারের বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ পড়ে মোনাজাতে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর নিকট বৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ফেনী আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে এ নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহরের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশত মুসল্লি অংশ নেন। নামাজের জামাতে ইমামতি করেছেন মাদরাসার শিক্ষক ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান।

নামাজের আগে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নেতারা। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে মোনাজাত করে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

নামাজে আগত মুসল্লিরা বলেন, তীব্র খরতাপে সাধারণ মানুষ খুব কষ্টে দিন পার করছে। গরমের তীব্রতায় ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। সেজন্য আল্লাহর রহমতের আশায় নামাজ আদায় করে বৃষ্টি প্রার্থনা করতে সকলে সমবেত হয়েছে।

বক্তব্যে মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, টানা দাবদাহে মানুষ খুব কষ্টে আছে। আল্লাহ বৃষ্টির জন্য সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। সেজন্যই সবাই একত্রিত হয়ে সালাতুল ইস্তিসকা আদায় করেছি।

শহর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ ইলিয়াছের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতে আমির এ কে এম সামসুদ্দিন এবং নায়েবে আমির অধ্যাপক আবু ইউছুপ।

;

বাস উঠল রেললাইনে, পুলিশের চেষ্টায় রক্ষা পেল হাজারো যাত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেল লাইনে উঠে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বাস ও ট্রাকের চালকসহ ৪ থেকে ৫ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে এমন ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ঢাকা ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের হাজারো যাত্রী।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে গত মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার হাতিয়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কিছু সময়ের জন্য ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় ঢাকাগামী আরপি এক্সপ্রেস নামে একটি বাস ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনের উপরে উঠে যায়। এ সময় মধ্যরাতে মহাসড়কে ঘটনাস্থলে ডিউটিরত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরীসহ আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তারা জানতে পারেন টাঙ্গাইল থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনের দিকে ছেড়েছে। একপর্যায়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট জায়গায় ফোন করে ট্রেনটি থামানোর জন্য অনুরোধ জানান এসআই টিটু। পরে ট্রেনটি ঘটনাস্থলে এসে দাঁড়ালে বড় ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারো যাত্রী। এরপর দ্রুত বাসটি সরানো হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ট্রেনে থাকা যাত্রী সবুজ আহমেদ ও হৃদয় ইসলামসহ অনেকেই জানান, হঠাৎ করে ট্রেনটি হাতিয়া নামক এলাকায় থেমে যায়। পরে জানতে পারি এখাকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনে উঠে পড়ে। ঘটনাস্থলে দ্রুত ট্রেনটি দাঁড় না করালে যেকোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আগেই অবগত হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারো যাত্রী। 

এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী জানান, গত মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষ বাসটি রেললাইন উঠে যায়। পরে দ্রুত পুলিশ কন্টোলরুম বা রেলওয়ের সাথে যোগাযোগ করে টাঙ্গাইল স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চমগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলে দাঁড় করানো হয়। এতে করে ট্রেনের হাজারো যাত্রী রক্ষা পায়।

এসআই টিটু আরও জানান, এ ঘটনায় বাসের ৪ জন যাত্রী ও ট্রাকের চালকসহ ৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাকটি সেতু পূর্ব থানায় রাখা হয়েছে।

;