মাদক নিয়ন্ত্রণে সীমান্তেই নজরদারি বৃদ্ধির পরামর্শ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
মতবিনিময় সভা

মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে ‘মাদক অপরাধ দমনে করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক আব্দুস সবুর মণ্ডল। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।

জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এ সভার আয়োজন করে। সভায় জেলা প্রশাসন, কারাগার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‌্যাব এবং জেলা ও নগর পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজশাহীর সকল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সব পৌরসভার মেয়র, আইনজীবী, সাংবাদিক এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। সভায় বেশিরভাগ বক্তা মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য কর্মকর্তাদের সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করা হলে মাদক ঢুকবে না। তাহলে মাদকের বিস্তার কমবে। অন্য বাহিনীকেও মাদকের পেছনে দৌড়াতে হবে না।

সভায় চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত মাদকের বিরুদ্ধে চলা অভিযানের হিসাব তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ১ হাজার ৮১টি অভিযান চালিয়ে ৩৯৯টি মামলা করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪১৩ জনকে। মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযান চলেছে ৬০টি। ৩৮টি মামলায় ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রাজশাহী জেলা পুলিশ ২ হাজার ৮৪টি অভিযান চালিয়ে ৮৬৫টি মামলা করেছে। গ্রেফতার হয়েছেন ১ হাজার ২৭৩ জন। রাজশাহী মহানগর পুলিশ ৭ হাজার ৮৪৫টি অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। র‌্যাব-৫ ১৮৭টি অভিযান চালিয়ে আসামি করেছে ২৭৬ জনকে। আর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ১৩ হাজার ২২০টি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে পেরেছে মাত্র ১৩ জনকে। বিজিবি ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মোট ২৩৭টি। মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য সব বাহিনীর চেয়ে মাদক উদ্ধারেও পিছিয়ে বিজিবি। অথচ অন্যান্য সবার চেয়ে বিজিবি অভিযান বেশি চালিয়েছে বলে জানিয়েছে।

এ বিষয়টি উল্লেখ করে সীমান্তবর্তী বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু বলেন, সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব বিজিবির। বিজিবি মাঝে মাঝে কিছু মাদক উদ্ধার করে, আসামি ধরতে পারে না। উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভাতেও এ বিষয়টি বলেছি। তাই বিজিবির যদি আরও সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজন হয়, তাহলে সেটা যেন করা হয়।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা সীমান্ত দিয়েই সবচেয়ে বেশি ভারতীয় হেরোইন ঢুকে দেশে। এটি অত্যন্ত মাদকপ্রবণ এলাকা হিসেবেই পরিচিত। এ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমেরও একই বক্তব্য। তিনি বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলার পদ্মার ওপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা। সেখান দিয়ে হেরোইন ঢুকে গোদাগাড়ী দিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া আছে। কিন্তু হেরোইন আসছে। বিজিবি যদি ইচ্ছা করে, একটা পাখিও আসতে পারবে না। মাদক তো দূরের কথা। তাই আমার একটাই পরামর্শ- এই প্রবেশদ্বারই আগে বন্ধ করতে হবে।

বিজিবির মাদক উদ্ধার কম এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আসামি না থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে স্থানীয় সাংবাদিক রাজু আহমেদ বলেন, প্রচুর অভিযান চলেছে, বিজিবি লিখে দিয়েছে। কিন্তু আসামি নেই। সীমান্তটা আসলে সেভাবে দেখা হয় না, যেভাবে দরকার। সেটিই বেশি করে দেখা দরকার।

অন্যান্য বক্তারা মাদক নির্মূল করতে সর্ষের ভেতরে ভূত তাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।

সভায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক আব্দুস সবুর মণ্ডল বলেন, মাদক ঠেকানোর দায়িত্ব শুধু বিজিবির একার নয়। আমাদের সবার দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছেন। জিরো টলারেন্স জিরো টলারেন্সই আছে। আমরাও সবাই নিজ নিজ চেয়ারেই বসে আছি। মাদকও মাদকের মতো আছে। তাহলে হলো না। মাদক নির্মূলের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদেরও সর্বাত্মক ভূমিকা রাখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের সহায়তা দেবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন- সমাজসেবী শাহীন আক্তার রেণী, স্থানীয় দৈনিক সোনালী সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী, সোনার দেশ সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তৌফিক জাহিদী, বাঘা পৌরসভার মেয়র আবদুর রাজ্জাক, কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ, মোহনপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, কাটাখালী পৌর মেয়র আব্বাস আলী প্রমুখ।

   

নওগাঁর মান্দায় ৮ বসতবাড়ি পুড়ে ছাই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর মান্দায় অগ্নিকাণ্ডে আটটি বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে মান্দা উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮টি পরিবার।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- বাবু কবিরাজ, রমজান আলী, গুলজান বিবি,মিঠুন কবিরাজ, , সেলিম কবিরাজ, নুরজাহান বেওয়া, রশিদুল ইসলাম ও ছহির উদ্দিনের বসতবাড়ি পুড়ে গেছে।

এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করেই রমজান আলীর বাড়িতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তে তা আশপাশের বসতবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস ও আশপাশের লোকজন ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু তার আগেই পুড়ে যায় আটটি বসতবাড়ি।

মান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ শফিউর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

;

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল’

‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল’

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে ১৫৪টি দেশের মধ্যে ১০০টি দেশেরই নেই কোনো পরিকল্পনা, সেখানে বিশ্বে সবাই বলে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। বিপুল পরিমাণ এই অর্থযোগান দিতে আন্তর্জাতিকভাবে আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য।

সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান জাতিসংঘ জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলন ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো ২০২৪- এর দ্বিতীয় দিনে ‘অ্যাডভানসমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্লাইমেট প্ল্যানস অব বাংলাদেশ’ সেশনে এ কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

মন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ, স্বল্পোন্নত দেশ, অনুন্নত দেশ এবং ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলত। কিন্তু বর্তমানে উন্নত দেশগুলোকেও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। সুতরাং, জলবায়ু পরিবর্তন এটা একটা বৈশ্বিক বিষয়, শুধু বাংলাদেশের একার নয়। ছোট দেশ হয়েও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত বাংলাদেশ যেভাবে সফলতার সাথে মোকাবেলা করছে, সে হিসেবে বিশ্বের সবাই বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে দেখে।

তবে, আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ সরকারের একার পক্ষে জোগান দেওয়া অসম্ভব। তাই জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য। জলবায়ু পরিবর্তনে আর্থিক ঋণ সহায়তা নিয়ে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য যে সকল আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কাজ করে ঋণ সহায়তায় তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ন্যাপ এক্সপো ২০২৪-এ অংশগ্রহণকারী সকল দেশের সাথে আমরা আমাদের দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় যেভাবে কাজ করেছি, যে কার্যক্রমগুলো করেছি সে অভিজ্ঞতা তুলে ধরছি। পাশাপাশি সামনে আজারবাইজানের বাকুতে যে কপ সম্মেলন হতে যাচ্ছে সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে পিলার হিসেবে উপস্থাপন করাই ন্যাপ এক্সপো ২০২৪ এর উদ্দেশ্য।

এছাড়াও মন্ত্রী তার বক্তব্যে জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনা উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিসহ বিশ্বব্যাপী জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব তুলে ধরেন।

‘অ্যাডভানসমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্লাইমেট প্ল্যানস অব বাংলাদেশ’ সেশনে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। মালিক ফিদা এ খান, নির্বাহী পরিচালক, সিইজিআইএস; এ কে এম সোহেল, অতিরিক্ত সচিব, ইআরডি, এবং চেয়ার, ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফাইন্যান্স সেল; কেনেল DELUSCA, Ph.D., ITAP সদস্য, সবুজ জলবায়ু তহবিল; ড. এম. আসাদুজ্জামান একজন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ প্যানেলিস্ট হিসেবে বাংলাদেশে ন্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং শিক্ষা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, এবং পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২৩-২০৫০ উপস্থাপন করেন।

;

রানা প্লাজায় নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবসকে সামনে রেখে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করেছে নিহতদের পরিবার, আহত শ্রমিক এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধায় সাভারে ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার সামনের শহীদ বেদিতে এ মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ১১ বছরেও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্রমিক নেতারা নিহত শ্রমিকদের স্মরণে পোশাক শিল্পে শোক দিবস ঘোষণা, রানা প্লাজার সামনে স্থায়ী স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের এক জীবনের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত শাস্তি দাবি করে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট এন্ড ট্রেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ইসমাইল, বাংলাদেশ গার্মেন্ট এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু প্রমুখ।

 

;

আদাবরে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আদাবরের একটি বাসা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ওই গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় আদাবরের সুনিবিড় হাউজিং এলাকার ৪৩/বি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম- নাসিমা আক্তার (২৮)।

স্থানীয়রা জানান, নিহত নাসিমা আক্তার পেশায় একজন গৃহকর্মী। তিনি বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন এবং তার স্বামী পেশায় একজন রিকশা চালক। নিহত নাসিমার সাথে বিভিন্ন সময় তার স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো।

মঙ্গলবার দুপুরে তার বাসায় স্বামী-স্ত্রীর তুমুল ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বিকেলের দিকে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।

;