২১০ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

ব্রিফকেসবন্দী ২১০টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় রাজশাহী বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

হাছান মাহমুদ বলেন, ২১০টি পত্রিকা, মূলত ব্রিফকেসবন্দী; যেগুলো আসলে ছাপা হয় না, মাঝেমধ্যে হঠাৎ ছাপানো হয়; পত্রিকাগুলো আমি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে ২১০টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে।

ডিক্লারেশন নিয়ে তারা পত্রিকা চালায় না, বিজ্ঞাপন নেওয়ার জন্য পত্রিকা ছাপায়। নিউজ প্রিন্টের যে কোটা আছে, সেটা নিয়ে তা বিক্রির জন্য ডিক্লারেশন নিয়েছে। তাদেরটা বাতিল হবে। তাদের কার্যক্রমে মূল ধারার সংবাদমাধ্যম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্ষতিটা মূল ধারার সাংবাদিকদের ওপরই পড়ছে।

বিজ্ঞাপন

নতুন আরও পত্রিকার ডিক্লারেশন দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ– জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে গণমাধ্যমের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। সব ধরনের সংবাদ প্রচার করবেন। যেসব বিষয়ে সাফল্য রয়েছে সেগুলোও গুরুত্বসহকারে প্রচার করবেন।

গণমাধ্যমের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে— উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ কেউ গণমাধ্যমকে নিজের স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করছেন। ব্যবসায়িক প্রটেকশন হিসেবে কেউ কেউ ব্যবহার করছেন। কেউ আবার একটি ব্রিফকেস নিয়ে গণমাধ্যমের মালিক হয়েছেন। উনি নিজেই পত্রিকার মালিক, নিজেই সাংবাদিক, নিজেই সবকিছু।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে হাছান মাহমুদ বলেন, ফখরুল সাহেব স্বীকার করুন আর না করুন, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিবিদরা স্বীকার করেন যে বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ঢাকা শহরে এখন খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। দেশের মানুষ এখন অনেক ভালো আছেন।

রাজশাহী বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুসহ অনেকে।