ভালুকায় সহকর্মীর হাতে নৈশপ্রহরী নিহত
ময়মনসিংহের ভালুকায় এক নৈশপ্রহরীর হাতে মাসুদ (৩৫) নামে আরেক নৈশপ্রহরী নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামে অবস্থিত রানার অটো মটরস লিমিটেডে।
পুলিশ হত্যার সাথে জড়িতে ব্যক্তিকে রাতেই আটক করেছে। আর নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামে অবস্থিত রানার অটো মটরস লিমিটেডের ভেতর নৈশপ্রহরী মাসুদ রাতের ডিউটি করছিলেন। রাত পৌনে ১২টার দিকে অপর নৈশ প্রহরী শিশির সাংমা (৫০) হঠাৎ মাসুদের গায়ে টর্চ লাইটের মাধ্যমে আলো দেয়। এতে দু’জনের মাঝে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শিশির সাংমা মাসুদকে মারাত্মকভাবে আহত করে পাশের একটি পানির গর্তে ফেলে দেয়। খোঁজ পেয়ে সহকর্মীরা মাসুদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গর্ত থেকে তুলে ক্যান্টিনে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান। পরে শিল্প পুলিশকে খবর দিলে নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ভালুকা মডেল থানায় হস্তান্তর করেন।
এ সময় ঘাতক শিশিরকে আটক করে শিল্পপুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। নিহত মাসুদ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা গ্রামের মৃত সাদে আব্বাস মীরের ছেলে। ঘাতক একই জেলার দুর্গাপুর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের পরলোকগত আগনেস সাংমার ছেলে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শিল্প পুলিশের এসপি মিজানুর রহমান জানান, নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ভালুকা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।