ভাঙা স্কুল দেখে নির্বাক পারভেজ!



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যে স্কুল প্রাঙ্গনে কেটেছে শৈশব-কৈশোরের পাঁচটি বছর, সেই স্কুল এক নিমেষেই পদ্মার ভাঙনের শিকার হয়ে নদীগর্ভে চলে যাওয়া দেখে নির্বাক পারভেজ। স্কুল ভেঙে যাওয়ার খবর শুনে ভোরে ছুটে এসেছেন তার প্রিয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। স্কুলটি নদীর মধ্যে দেখে দু’চোখ বেয়ে পড়ে পানি। অতীতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে হয়ে পড়েন আবেগ-আপ্লুত। কিছুটা সময়ের জন্য হয়ে যান বাকরুদ্ধ।

পারভেজ রাজবাড়ীর সদরের মিজানপুর ইউনিয়নের সদ্য পদ্মা নদীতে ভেঙে যাওয়া চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীরের সিসি ব্লক ভেঙে নদীগর্ভে চলে যায় বিদ্যালয়টি। এই বিদ্যালয়টিই চরাঞ্চলের মানুষের সন্তানদের জ্ঞান অর্জনের একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ভেঙে যাওয়ায় শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীর লেখাপড়া এখন অনিশ্চিত।

ছবি: বার্তা২৪.কম

সরেজমিন শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় গিয়ে দেখা যায়, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মিজানপুরের এই চর সিলিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি ভেঙে নদীর মধ্যে পড়ে আছে। নদীর মধ্যে পড়ে থাকা বিদ্যালয়টি এক নজর দেখতে এলকাবাসীর পাশাপাশি ভিড় করছে স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। তাদের স্মৃতি বিজড়িত প্রিয় বিদ্যালয়টির এই শেষ পরিণতি দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তারা। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের খোলা টিন শেডের ঘরটিতে বসে খেলছে তারা।

ভেঙে যাওয়ার আগে বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি ঝুঁকিতে থাকায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সেখানে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রেখেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। আপাতত পাঠদান স্বাভাবিক রাখতে তারা বিদ্যালয়ের পাশেই একটি টিনশেড কক্ষে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মূল ভবনটি নদীতে ধসে যাওয়ায় ঐ টিনশেডের ঘরটিও তারা ভেঙে নিয়ে গেছেন।

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বর্তমান রাজবাড়ী ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী পারভেজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই স্কুলের সাথে জড়িয়ে আছে আমার শৈশব-কৈশোরের অনেক স্মৃতি। স্কুলটি ভেঙে যাওয়ার খবর শোনার পর থেকে আমার মনটাও ভেঙে গেছে। আর কোনদিন আমার প্রিয় বিদ্যালয়ে আসতে পারবো না, বিদ্যালয়টি দেখতে পাবো না এটা ভাবতে গেলেই অনেক কষ্ট হচ্ছে।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ইমান আলী ফকির বার্তা২৪.কমকে বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার পর থেকে বিদ্যালয়ের মূল ভবনেই পাঠদান করাচ্ছিলাম। হঠাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর ভোরে স্কুলের পাশেই রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীরের সিসি ব্লক ভেঙে নদীতে চলে যাওয়ার পর থেকে আর ওখানে পাঠদান করাচ্ছিলাম না। কারণ তখন মূল ভবনটি চরম ঝুঁকিতে ছিল। শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পাশের টিনশেডে ক্লাস নিচ্ছিলাম। কিন্তু স্কুলটি নদীতে ভেঙেই গেল।

এদিকে বিদ্যালয় সংলগ্ন একাধিক বাসিন্দা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার নদী ভাঙন রোধে এতো টাকা ব্যয় করছে অথচ যারা ঠিকাদার তারা কাজ ভালো করছে না। ভালো মতো কাজ করলে আজ এই বিদ্যালয়টি ভাঙত না। সিসি ব্লক ভেঙে যাওয়ায় তারা শহর রক্ষা বাঁধের কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বার্তা২৪.কমকে বলেন, নদীর ভাঙন থেকে নদীর পারের মানুষকে রক্ষা করার জন্য যা যা কিছু প্রয়োজন তার দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছি। প্রয়োজনে আমি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সাথেও যোগাযোগ করবো। আর ভেঙে যাওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদান নিশ্চিত করার জন্য বিকল্প উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ৪টার দিকে স্কুল সংলগ্ন রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীরের সিসি ব্লক ভেঙে বিদ্যালয়টি নদীতে ধসে পড়ে। এর আগে বিদ্যালয়টি নিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বার্তা২৪.কমে “ভাঙনের মুখে স্কুল, ভয়ে ক্লাসে যাচ্ছেনা শিক্ষার্থীরা” শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

   

চালের বস্তায় লিখতে হবে উৎপাদন-মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ



ডিস্ট্রিক করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চালের বস্তায় রাইস মিল হতে উৎপাদন-মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ ও বিক্রয়মূল্য লিখতে হবে। খুলনা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির এপ্রিল মাসের সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে সার্কিট হাউজের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব সভায় জানান, চালের বস্তায় রাইস মিল হতে উৎপাদন-মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ ও বিক্রয়মূল্য লেখার বিষয়টি সম্প্রতি চালু হয়েছে। চালের বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার দপ্তরের তদারকি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) সুশান্ত সরকার জানান, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে। আদালতে বিচারাধীন মামলার ক্ষেত্রে পুলিশ বিভাগে কর্মরত সাক্ষীদের যথা নিয়মে কোর্টে হাজিরার বিষয়টি নিশ্চিত করতে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে।

সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার গোপীনাথ কানজিলাল, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

;

দর্শনায় রেললাইনের পাশে মিলল যুবকের মরদেহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় রেললাইনের পাশে দিলীপ কুমার (২৮) নামের এক যুবকের মরদেহ পাওয়া গিয়েছে। মরদেহটি উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে দর্শনা হল্ট স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের পাশে পড়েছিল ওই যুবকের মরদেহ। এছাড়া মরদেহের পাশ থেকে একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত দিলীপ কুমার হালদার মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের কার্তিক হালদারের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দর্শনা রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বলেন, মঙ্গলবার সকালে রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার পরিচয় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আনুমানিক রাত একটার দিকে ট্রেনের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহের পাশ থেকে মোটরসাইকেল উদ্ধারের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুনেছি দর্শনা থানা পুলিশ একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। বিস্তারিত জানতে আমরা কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

;

যশোরে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা এলাকার বসন্ত কুমার সড়কে একটি ভাড়া বাড়ি থেকে আশিকুর রহমান হৃদয় (২৪) নামে এক টাইলস মিস্ত্রির অর্ধগলিত ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

স্বজনদের দাবি, ২/৩ দিন আগে তিনি গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়নি। তিনি একই এলাকার মনিরুজ্জামান মনি মিয়ার ছেলে।

নিহতের স্ত্রী পিয়া বেগম জানান, ঈদের আগের দিন সংসারে অশান্তি হয়। যে কারণে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। ঈদের দিন শ্বশুর বাড়িতে (পিয়ার বাবার বাড়ি) গিয়েছিলেন আশিকুর কিন্তু খেয়ে আর দেরি করেনি। ঈদের দু’একদিন পরে গলায় ফাঁস নিতে পারেন।

আজ সকালে প্রতিবেশি ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে আশপাশের লোকজন ডেকে জানালা খুলে তাকে ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

;

বার্তা২৪.কমে প্রতিবেদন: সেই অর্পিতার অস্ত্রোপচারের টাকা দিলেন ডিসি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অসুস্থ মেয়ে অর্পিতা দাশের অস্ত্রোপচারের জন্য বহু কষ্টে ৫০ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন মা সুগন্ধা দাশ। যত্ন করে সেই টাকাটা রেখেছিলেন আলমারির ড্রয়ারে। কিন্তু একদিন আগে আগুনে অন্য সবকিছুর সঙ্গে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সেই টাকাও। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়ের অস্ত্রোপচার কীভাবে করবেন, সেই চিন্তায় পোড়া ঘরের সামনে কেঁদেই চলেছিলেন চল্লিশোর্ধ্ব এই স্বামীহারা নারী। মায়ের সেই দুঃখের গল্প তুলে ধরেছিল বার্তা২৪.কম।

সেই প্রতিবেদনটি ছড়িয়ে পড়তেই নানা দিক থেকে অর্পিতাকে সহযোগিতা করতে অনেকেই এগিয়ে আসতে চান। এই প্রতিবেদককে ফোন করেও বহুজন অর্পিতার পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন। তবে অর্পিতার আপাতত আর সহযোগিতা লাগছে না। কেননা, পুড়ে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা অর্পিতার মায়ের হাতে তুলে দিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। পাশাপাশি তিনি অর্পিতার চিকিৎসার বিষয়েও উদ্যোগ নেবেন বলে তার মাকে আশ্বস্ত করেছেন।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বন্দর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়ের অস্ত্রোপচারের জন্য অনেক কষ্টে ৫০ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন মা সুগন্ধা দাশ। কিন্তু আগুনে সেই টাকাটা পুড়ে যায়। আমরা গণমাধ্যমে খবর দেখার পর এই মাকে মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছি। পাশাপাশি আমি বন্দর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলব, যাতে কম খরচে কীভাবে অর্পিতার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়।’

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের টেক পাড়া ও এয়াকুব নগরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক। এসময় তিনি অর্পিতার মাসহ ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের মাঝে মানবিক সহায়তা তুলে দেন।

২০১৭ সালে স্বামী পরিমল দাশকে হারান সুগন্ধা। এরপর থেকে ছেলে ও মেয়ের কথা ভেবে আর বিয়েমুখী হননি এই নারী। বড় ছেলের বয়স মাত্রই ২০। তিনি অবশ্য এখনো তেমন কিছু করেন না। আর ১৬ বছরের মেয়ে অর্পিতা নবম শ্রেণিতে পড়ছে পাথরঘাটা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। বন্দর হাসপাতালে দৈনন্দিন ভিত্তিতে কাজ করা মায়ের আয়েই চলছিল অর্পিতাদের সংসার। এর মধ্যে অর্পিতা অসুস্থ হয়ে পড়ায় আরও বিপাকে পড়েছিলেন মা। তবে জেলা প্রশাসকের সহায়তা পাওয়ার পর আপাতত তার সেই দুশ্চিন্তা কমে গেছে।

জেলা প্রশাসক অর্থ সহায়তা তুলে দেওয়ার সময় তাই আবেগ ধরে রাখতে পারেননি সুগন্ধা দাশ। তিনি এ সময় কেঁদে ফেলেন। সুগন্ধা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘অনেক কষ্টে মেয়ের অস্ত্রোপচারের জন্য টাকাটা জমিয়েছিলাম। কিন্তু আগুন আমার সবকিছুই ছাই করে দিয়েছে। এখন আমাকে ডিসি মহোদয় পুড়ে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা সহায়তা করেছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী ও ডিসি মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আর যে সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার দুর্দশার বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরেছেন তাদের ঋণও শোধ করতে পারব না।’

;