ডেসটিনি-যুবকের গ্রাহকেরা ৬০% টাকা ফেরত পেতে পারেন
বিতর্কিত এমএলএম কোম্পানি ডেসটিনি ও যুবকের অনেক সম্পদ রয়েছে। সেগুলো বিক্রি করলে গ্রাহকেরা অন্তত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ টাকা ফেরত পেতে পারেন বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন আয়োজিত ‘প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডেসটিনি ও যুবকের সম্পদগুলো ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করলেও যে টাকা পাওয়া যাবে তা দিয়ে গ্রাহকদের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ টাকা ফেরত দেওয়া যাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রাহকদের অন্তত ৭ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে ডেসটিনি ও যুবকের মালিকপক্ষ।
ই-কমার্স খাত নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খাতটি এগিয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অন্তত ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠানকে আমরা বিপদে ফেলতে পারি না।
তিনি বলেন, একটি জিনিস নতুন করে চালু করলে, সেটা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয় তার ভুক্তভোগী আমি নিজেই।
মন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের কোরবানি ঈদের আগে অনলাইনে পশু কেনাবেচার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইন হাট থেকে গরু অর্ডার করি। ১ লাখ টাকার যে গরু তাকে দেখানো হয় সাতদিন পরই জানানো হয় তা আর নেই। বিক্রি হয়ে গেছে অন্য কারো কাছে। তখন প্রতিকার হিসেবে মন্ত্রীকে আরেকটি গরু পছন্দ করতে বলে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এবং ৮৭ হাজার টাকা দামের একটি গরু দেয়। বাকি টাকার জন্য ১টি খাসি সরবরাহ করা হয় বলে জানান মন্ত্রী।
ই-কমার্স প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, আড়াই লাখ টাকার মোটরসাইকেল দেড় বা দুই লাখ টাকায় বেচাকেনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে কিভাবে একটা পণ্য বিক্রি হতে পারে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে কথা বলতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে মন্ত্রণালয় থেকে কেনাকাটায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে কথা উঠতে পারে যে, মন্ত্রণালয় মানুষকে লাভ থেকে বঞ্চিত করছে।