পিতৃপুরুষের ভিটা হারানোর দুঃখ বোঝে না মেঘনা!



মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
পিতৃপুরুষের ভিটা হারানোর দুঃখ বোঝে না মেঘনা!

পিতৃপুরুষের ভিটা হারানোর দুঃখ বোঝে না মেঘনা!

  • Font increase
  • Font Decrease

‘নদীরে ও নদীরে তুই একটু দয়া কর, ভাঙিসনা আর বাপের ভিটা বসত বাড়ি ঘর।’ - গানের কথায় শিল্পীর দরদ মাখা কণ্ঠে- না-ভাঙার এমন আকুতি জানালেও নদী প্রকৃতির ইশারায় ভেঙেই চলছে।

বড় বড় ঢেউ আছড়ে ভাঙে তীর, ভাঙে জনপদ। সেই সাথে ভাঙে তীরবর্তী মানুষের স্বপ্ন। ভাঙন কবলিত জনপদের এ মানুষগুলো জীবন সংগ্রামের পাশাপাশি নদীর সাথেও সংগ্রাম করে চলে। যদিও একসময় এ মানুষগুলোকে হার মানতেই হয় উত্তাল নদীর কাছে। বাপ-দাদার বসতভিটা নদীর কাছে দিয়ে চলে যেতে হয় কোন অচেনা জায়গায়।

সব হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়া মানুষগুলোর আহাজারি আর বুকফাটা কান্নায় নদীর স্রোত যেন আরও ফুলে ফুলে ঢেউ নামক ফনা তোলে। আর গিলে গিলে খায় বসতভিটা, জনপদ।

গত কয়েকযুগ ধরে লক্ষ্মীপুরের কমল নগর ও রামগতি উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ একে একে গিলে খাচ্ছে রাক্ষুসে মেঘনা নদী।


সরেজমিনে লক্ষ্মীপুরের কমল নগর উপজেলার ভাঙন কবলিত লুধুয়া বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে চলে যাওয়ার এমন একাধিক করুন চিত্র। আপন ভিটার পুরনো বসত ঘর আর পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন এখানকার কয়েকটি বাড়ির একাধিক পরিবার।

এখানে লুধুয়া বাজারে উত্তর পার্শ্বে নুরুজ্জামানের বাড়ি। এই বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরত্বে দেখা যায় রাক্ষুসে মেঘনা নদী। যেকোন সময় মেঘনা আপন বৈশিষ্ট্যে গিলে খাবে আবুল খায়েরের বসতভিটা। তাই ষাট বছরের পুরনো বাপ-দাদার ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন নতুন বসতিতে। হয়তো দুইদিন পরে এখানে এসে দেখবেন অথৈ জলরাশি, ধেয়ে আসা স্রোত। তাই শৈশব, কৈশোর, যৌবনের সব স্মৃতি বুকের বেদনায় সিক্ত করে চোখের জলকনায় মেঘনার বুকে ঢেলে স্বজনদের নিয়ে চলে যাচ্ছেন তিনি।

এদিন দুঃখ ভরা মনে- চোখে মুখে কষ্টের ছাপ নিয়ে সরিয়ে নেওয়া সংসারের মালামাল গাড়িতে বোঝাই দিতে দিতে আবুল খায়ের জানান, ১২ পরিবারের এই বাড়িটি জয়নাল আবেদীন মিঝি বাড়ি। প্রায় ৬০ বছরের পুরনো বাড়ি এটি। শতাধিক লোকের বসবাস ছিলো এ বাড়িতে। এখন মাত্র দুটি ঘর ছাড়া বাকি ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন বাসিন্দারা। কারণ এতদিনে নদী- কয়েক একর ফসলি জমি, পুকুর, বিশাল বাগান সব কেড়ে নিয়ে গেছে। যেকোন সময় নিয়ে যাবে বাড়িটিও। তাই একে একে এবাড়ির সবগুলো পরিবার সরে যাচ্ছে নদী থেকে নিরাপদ দূরত্বের ভূমিতে। তিনি যাচ্ছেন চরকাদিরা এলাকায়।


এ বাড়ির ৮৩ বছর বয়স্ক নুরুজ্জামান ভাঙা আর জড়ানো কণ্ঠে জানান, বাড়ির বাসিন্দাদের মধ্যে যাদের সামর্থ্য আছে তারা হয়তো দূরে কোথাও জমি কিনে আবার নতুন ঘর বাঁধবেন। আর যাদের সামর্থ্য নেই তারা ছিন্নমূল হিসেবে বসবাস করবেন সরকারি বেড়িবাঁধের কোলে।

একই বাজারের দক্ষিন পাশে তাঁদের আরেক প্রতিবেশী আব্দুর রশিদেরও একই পরিণতি।

আড়াই একর জমিজুড়ে বসতবাড়ি, বাগান, পুকুর ও ফসলি খেত ছিলো আব্দুর রশিদের। গত ২০ বছরের ব্যবধানে সর্বনাশা মেঘনা তাকে ভূমিহীন বানিয়ে নিঃস্ব করে দিয়েছে।

পাঁচবার ভাঙনের কবলে পড়েছেন তিনি। এখন আর তার নিজের কোনো জমি নেই।

তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে তিনি এখন ভাড়া বাসায় উঠতে যাচ্ছেন।

স্থানীয়দের হিসেবে, এ যাবৎ দুই উপজেলার অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২৮ টি বাজারসহ বিস্তীর্ণ জনপদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কবলে বাস্তুহারা হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।

বর্তমানে হুমকিতে রয়েছে চারটি বাজারসহ আরও ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গেল এক বছরের ভাঙনে দুই উপজেলার প্রায় দেড় হাজার পরিবার বসতবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। এই সময়ে বিলীন হয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনাসহ কয়েকশ’ একর ফসলি জমি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়,১৯৯৫ থেকে মেঘনা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত কমলনগরের চরফলকন ইউনিয়নের প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে ভাঙন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহরূপ ধারণ করেছে।   

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খলিল বলেন, " প্রতিদিনই ভাঙছে আর গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।" মেঘনার ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে পড়া মানুষ অগুনিত বলে জানান তিনি।

চর ফলকন ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাঘা বলেন," আমাদের বাড়িটিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেক জমিজমা ছিলো, তার কোনো স্মৃতিচিহ্ন আজ নেই।"

এসময় তিনি জানান,সরকারীভাবে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প পাশ হয়েছে। মেঘনা উপকূলের লাখ লাখ মানুষ বাঁধ নির্মাণ বাস্তবায়নের দিকেই তাকিয়ে আছেন।

   

আনসার সদস্যকে পিটিয়ে ইউনিফর্ম ছিড়লেন উখিয়ার কোম্পানি কমান্ডার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়ায় মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ নামের এক আনসার ভিডিপি সদস্যকে পিটিয়ে ইউনিফর্ম ছিড়ে ফেলেছে উখিয়া উপজেলা আনসারের কোম্পানি কমান্ডার জসিম উদ্দিন চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবসের দিন শহীদ মিনারের পাশেই উখিয়া আনসার কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

আনসার ভিডিপি সদস্য শহীদুল্লাহ বার্তা২৪.কম-কে জানান, "২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উখিয়া আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের নির্দেশে সকাল ৬ টায় শহীদ মিনারে ফুল দেই এবং দায়িত্বপালন করি। সকাল ৮ টায় কুচকাওয়াচ প্যারেডে অংশগ্রহণ করি। প্যারেড শেষ করে উখিয়া আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে আসলে কোম্পানি কমান্ডার জসিম চোধুরী কোন কথা না বলে আমাকে এলোপাতারি চড় তাপ্পর মারা শুরু করে। মারতে মারতে আমার পোষাক ছিড়ে ফেলে। আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা তাকে নিষেধ করলে আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তাকেও লাঞ্চিত করে"।

বিষয়টি নিয়ে উখিয়া উপজেলা আনসারের কোম্পানি কমান্ডার জসিম উদ্দিন চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, শহিদুল্লাহ বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকার কারণে তিনি শাসন করেছেন। এছাড়া র‍্যাংক পড়ে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার কারণে র‍্যাংক ব্যাজ ছিড়েছেন বলে জানান।

তবে কেউ অপরাধ করলে তার গায়ে হাত তোলার এখতিয়ার আছে কিনা এমন প্রশ্নে জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি তাকে মারিনি, গালিগালাজও করিনি। তাকে শাসন করেছি। সে আনসার ভিডিপির মানসম্মান ক্ষুণ্ন করছে তাই।

এ ঘটনায় ২৭ মার্চ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের জেলা কমান্ড্যান্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানতে চাইলে জেলা কমান্ড্যান্ট অম্লান জ্যোতি নাগ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের পরপরই আমরা তাকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছি। তার বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আনসার কার্যালয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি কোন নিরপরাধী ব্যক্তির সাথে এরকম ঘটনা হ তাহলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

লক্ষ্মীপুরে ৫ ইউপিতে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ৩৫২ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫ ইউনিয়নে মোট ৩৭জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে স্ব-স্ব ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া ৪৫ টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৫১ জন এবং ১৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৬৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ২নং দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ০৫ জন, ৩নং দালালবাজার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ০৬ জন, ৬নং বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ৬ জন, ১৫নং লাহারকান্দি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ১০ জন এবং ১৯নং তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এছাড়া ৫টি ইউনিয়নে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৬৪ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৫১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৯ মার্চ ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। আগামী সোমবার (১ এপ্রিল) হবে মনোনয়নপত্র বাছাই, আপিল দায়েরের সময় ২ থেকে ৪ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ এপ্রিল। আর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৯ এপ্রিল।

এ ৫ ইউপি নির্বাচনে মোট ৪৬টি ভোট কেন্দ্রের ২৩৮টি ভোটকক্ষের মাধ্যমে আগামী আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ২২ হাজার ২২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৪ হাজার ৬৮ জন ও নারী ৫৮ হাজার ৮৫৮ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছেন ২জন।

দীর্ঘ দিন মামলা জটিলতায় লক্ষ্মীপুর সদরের ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন বন্ধ ছিল। এর মধ্যে চররুহিতা ইউনিয়ন বাদে বাকি ৫টিতে গত ১০ মার্চ তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

;

চারদিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চারদিনের বাংলাদেশ সফর শেষে নিজ দেশে ফিরেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। এসময় কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে ভুটানের রাজাকে বিদায় জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানান।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর, পরিচালক ডি এম আতিকুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাউথ এশিয়ার মহাপরিচালক রকিবুল হক, চীফ অব প্রটোকল নাঈম উদ্দিন আহমেদ এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহা: আমিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ২৫ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন। এদিন সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকায় বিমানবন্দরে পৌঁছার পর তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

;

চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণের পর ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে পাহাড়তলী ও হালিশহর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি মোবাইল ফোন, ১টি স্বর্ণের আংটি, নগদ ১০ হাজার ৫০ টাকা জব্দ করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- রাকিবুল হাসান রাকিব (২৭), মো. শাহবুদ্দিন সাইমন (২৬), ওমর বিন কিবরিয়া রাজ (২৭), মো. সাদমান ফয়েজ সংলাপ (২৬) ও মো. ইসমাইল হোসেন বাঁধন (২৬)।

পাহাড়তলী থানার এসআই মো. মনির হোসেন বলেন, গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় সাগরিকা মোড়ে অজ্ঞাতপরিচয় ৩ ব্যক্তি ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তিকে জোর করে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যান। এরপর তাকে একটি পরিত্যক্ত মুরগির ফার্মের ভেতরে আটকে রাখেন। পরে আট থেকে দশ জন ব্যক্তি তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে ১টি মোবাইল ফোন, মানিব্যাগে থাকা নগদ ১৯ হাজার ৮শ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া তার বিকাশ ও নগদ অ্যাপের পাসওয়ার্ড নিয়ে সাড়ে ২৯ হাজার টাকা, ২টি স্বর্ণের ও রূপার আংটি, একটি রোলেক্স ঘড়ি ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারদের ১০ জনের একটি গ্রুপ আছে। তাদের কাছে ওয়াকিটকিও থাকে। তারা লোকজনকে ফাঁদে ফেলে গত একমাসে প্রায় ৪০টি অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। ভয়েস রেকর্ড করে ফোনে শুনিয়ে ভয় দেখিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করছেন। আমরা তাদের মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।

 

;