দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় সেতু নয়, টানেল হবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এলাকায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর যে দাবি উঠেছে, সেটি বিবেচনায় নিয়ে সরকার আগে নদীর নাব্যতা কি হবে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি জানান, সরকার সেখানে সেতুর পরবর্তী আন্ডারপাস বা টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। এখন থেকে সরকার সেতুর পরিবর্তে টানেলের দিকে নজর দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা শেখ হাসিনার উন্নয়নের সংগ্রাম, নিরবচ্ছিন্ন স্বপ্নের মহাসড়কে খুলনা থেকে চট্টগ্রাম’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে এ কথা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “নদী বাঁচাতে হবে, তা না হলে শ্যামল বাংলাদেশ থাকবে না। এতো ব্রিজ করার দরকার কি? পদ্মা সেতু একটা হয়েছে, এখন দাবি উঠেছে দৌলদিয়ায় আরেকটি সেতুর। দুটি সেতু হলে নদীর নাব্যতা কি হবে? এটা কিন্তু আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। কাজেই সেতু না করে আমরা আন্ডারপাস করার চিন্তা-ভাবনা করছি। দৌলদিয়া-পাটুরিয়া আমরা টানেল নির্মাণের চিন্তা ভাবনা করছি। ওইদিকে জামালপুরে দেওয়ানগঞ্জ থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত আরেকটি টানেল নির্মাণের পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় আমাদের টানেলের দিকে নজর দিতে হবে। চট্টগ্রামে কর্নফুলী নদীর তলে যে টানেল হচ্ছে সেটাও ৭৫ ভাগ কাজ হয়ে গেছে।”

নদীগুলোতে শুধু সেতু নির্মাণ করে এমনিতেই নাব্যতা নেই উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সেতু যতো নির্মাণ করবেন নাব্যতা হারাবে। অনেক সেতু উদ্বোধন হয়েছে, আরও প্রায় ৫০টির মতো সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।

এ সময় যশোর-খুলনা মহাসড়কটি বারবার নষ্ট হচ্ছে কেন তা ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংস্কার করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, রাস্তা করে রক্ষণাবেক্ষণ না হলে তার সুফল পাওয়া যাবে না।

এ সময় চার লেনেরে সব রাস্তায় অবশ্যই সার্ভিস লেন রাখাতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং সেভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ঢাকা মাওয়ার মতো এক্সপ্রেস ওয়ে ইউরোপের অনেক দেশেও নাই। প্রতিবেশি দেশ ভারতেও নেই। গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইল, এলেঙ্গা থেকে রংপুর, রংপুর থেকে যাবে পঞ্চগড় একটা আরেকটা বুড়িমাড়ী এগুলো আমাদের পরিকল্পনা। এর কাজ চলছে। খুলনা-মংলা-বাগেরহাট এগুলোও আমাদের কাজেরই অংশ। এখানে নতুন কোনো পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই। এগুলোর বাইরে ঢাকা সিলেট চার লেনের কাজ যতো দ্রুত শেষ করা যায়। আরেকটা হচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার চার লেন। সেটাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। ওটাও দ্রুত শুরু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ফরিদপুর থেকে বরিশাল ফোর লেন করার জন্য এডিবির সাথে কথা হয়েছে।

আগামী বছর এদেশের সড়ক যোগাযোগের চেহারা পাল্টে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, মেট্রোরেল, ম্যাস র‌্যাপিট ট্রানজিট, পদ্মা সেতু সব উদ্বোধন হবে। শেখ হাসিনা তার ভিশন বাস্তবায়নে সব পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন, মাস্টারপ্লান করেছেন এবং কাজ যখন যেটা করার দরকার সেটি করছেন। আমাদের ভিশন বিএনপির ভিশন নয়।

এ সময় গত নির্বাচনে বিএনপির ভিশন-২০৩০ এর কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটি হলো নির্বাচনকে সামনে রেখে পলিটিক্যালি স্ট্যান্ডবাজি। ওটা বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ আর আলোর মুখ দেখবে না। বিএনপি নির্বাচন করবে কি দিয়ে?

“আগামী বছর যখন এসব মেগা প্রকল্প উদ্বোধন হতে থাকবে, বিএনপি চোখে সর্ষের ফুল দেখবে। এমনিতেই নেতিবাচক রাজনীতি করে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নির্বাচন বর্জন করে আপনারা জনগণ থেকে আরো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন।”

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং উপ-কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, “দেশে এ যাবৎকাল পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণ সংযোগকারী যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলেও পূর্ব-পশ্চিম সংযোগকারী সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। ফলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় রাজধানী ঢাকার উপর চাপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। খুলনা অথবা বরিশাল থেকে কোন গাড়ি যদি চট্টগ্রাম বন্দরে যেতে চায় তবে ঢাকা ছাড়া তাদের যাওয়ার কোন সরাসরি ব্যবস্থা নেই। পূর্ব-পশ্চিম সরাসরি যোগাযোগ তৈরি করতে পারলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ৪-লেন সড়কের উপর চাপ বহুলাংশে কমে যাবে।”

তিনি বলেন, “আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই সমগ্র সমুদ্র উপকূল জুড়ে তাদের রোড নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। ফলে বন্দর থেকে বন্দরে পণ্য পরিবহনে তাদের একটা সমন্বিত নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। আমরা সমুদ্র উপকূল দিয়ে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারলে দেশের ব্লু-ইকোনমিতে একটা বিশাল প্রভাব ফেলবে। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে যোগাযোগের একটি হাব। সিঙ্গাপুরের মত বাংলাদেশও সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার একটা রোল মডেল হয়ে উঠবে।”

ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, “দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের একটা নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। এখন বাংলাদেশের মানুষ বছরের বিভিন্ন সময় থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারত ঘুরতে যায়, কিন্তু তখন ঘুরতে যাবে নোয়াখালি, সন্দীপ ও হাতিয়াসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন পর্যটন নগরীতে। শুধু দেশের নয় বিদেশি পর্যটকের দ্বারা এই অঞ্চলটি হবে মুখরিত। সম্ভাবনার দ্বার উমোচিত হবে ফরেন ডাইরেক ইনভেস্টমেন্ট এর যার ফলে দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি আরও শতকরা দুইভাগ বেড়ে যাবে বলে আমরা ধারনা করি।”

অনুষ্ঠানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন আইইবি'র ঢাকা কেন্দ্রের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কাজী খায়রুল বাশার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং উপ-কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার এ. এফ. এম. সাইফুল আমিন।

   

হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যের ৪ নির্দেশনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনাগুলো হলো—

>> তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।

>> প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।

>> গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।

>> গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এর আগে, হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে এবং পুলিশ সদস্যদের সুস্থ থাকতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ১১টি নির্দেশনা প্রদান করে। সেগুলো হলো- বাইরে দায়িত্ব পালনের সময় ছাতা, ক্যাপ এবং সানগ্লাস ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ধীরে ধীরে পান করতে হবে এবং ঠান্ডা পানি (বরফসহ/ফ্রিজের পানি) পান পরিহার করতে হবে।

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পুলিশ মেস এবং ক্যান্টিনে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করতে হবে।

বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আধাঘণ্টা পর/দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর হাতমুখ ধৌত বা গোসল করতে হবে। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করতে হবে।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।

;

সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সখ্যতা, রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সখ্যতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানের রুমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অং ছাইং উ পুলু ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হো‌সেন মানিকের যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বান্দরবান পার্বত্য জেলা শাখার জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থি, অপরাধমূলক ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করা হ‌লো।

উল্লেখ্য, ভান মুন নোয়াম বমের বিরুদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীতে তথ্য প্রচার, চাঁদাবাজি, সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অপকর্মের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

;

উপজেলা পর্যায়ে জনগণদের স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে তীব্র দাবদাহে উপজেলা পর্যায়ে জনগণদের মাঝে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। সেইসাথে প্রচণ্ড তাপদাহে নিয়মিত রাস্তায় পানি ছিটানোর সুপারিশও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আ, স, ম, ফিরোজ এমপি। কমিটির সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, শাহীন আক্তার, মজিবুর রহমান চৌধুরী, সালাউদ্দিন মাহমুদ এবং আশ্রাফুন নেছা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে বিগত সভার সিদ্ধান্ত সমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা; গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে ’হেরিং বোন বন্ড প্রকল্প’ সম্পর্কে আলোচনা এবং অগ্নিকান্ডের ঘটনা, বন্যা ঝুঁকি, বজ্রপাত ইত্যাদি মোকাবেলার বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে বিশদ আলোচনা হয়।

বৈঠকে জরুরি ভিত্তিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার পূর্বাভাস এবং সার্বিক সহযোগিতায় স্বচ্ছতা আণয়নের লক্ষ্যে ”বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর” এবং ”বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরকে” দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অন্তুর্ভুক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। এছাড়া, ইউনি ব্লক প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ এবং আট মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণে বিল্ডিং কোড ব্যবহারের পরামর্শ দেয় কমিটি।

বৈঠকে টিআর কাবিখার মাধ্যমে গ্রামের মজা পুকুর খনন ও পরিষ্কার পরিচ্ছনতার মাধ্যমে মাছ চাষ বৃদ্ধি এবং বিশুদ্ধ পানি সরবাহের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। এছাড়া, তাপদাহে আবহাওয়া ঠান্ডা রাখার লক্ষ্যে রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটানো এবং উপজেলা পর্যায়ে জনগণের মাঝে স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

বরিশালে হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বরিশাল অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে হকার সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন, বরিশাল হকার সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বরুণ সাহা। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ বরিশাল জেলা সমন্বায়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আজিজ খোকন, বরিশাল হকার্স সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সদস্য মামুন,সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের দফতর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সদস্য শহিদুল শেখ প্রমুখ।


বক্তারা বলেন বরিশালের নাজিরের পোল থেকে সদর রোডের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে তিন শতাধিক হকার সবজি ফল চটপটি ডিম কলাসহ বিভিন্ন পণ্য ফেরি করে তাদের সংসার চালাত। এদের মধ্যে অনেকেই ২৫-৩০ বছর ধরে এসকল ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্দেশে প্রশাসনের অভিযানে এইসকল ব্যবসায়ী সদর এলাকায় কোথাও দাঁড়াতে পারছেন না। পুনর্বাসন ছাড়া সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এভাবে মানুষের পেটে লাথি মেরে কখনোই শান্তি-শৃঙ্খলা আনা সম্ভব নয়। বক্তারা অবিলম্বে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল শেষে একটি প্রতিনিধি দল বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বরিশাল মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার বরাবর পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করে।

;