হকিস্টিক দিয়ে যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করল ইউপি চেয়ারম্যান!
সাভারে মহাসড়কে থাকা যাত্রীবাহী বাসে হকিস্টিক দিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন হাফিজুর রহমান সোহরাব নামের এক ইউপি চেয়ারম্যান। এ সময় বাসের ভেতরে থাকা চালক ও হেলপারসহ পাঁচ যাত্রী আহত হন। এ ঘটনায় যাত্রী ও স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে ওই চেয়ারম্যানকে গণপিটুনি দিতে গেলে সড়কের পাশে থাকা টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে।
শনিবার (০২ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের থানা স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান সোহরাব ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
আহতদের মধ্যে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- আব্দুল মালেক, সিদ্দিক ও মহিফুল নামে এক নারী। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে লাব্বাইক পরিবহনের একটি বাস সাভারের দিকে রওনা দেয়। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যানও ঢাকা থেকে তার ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার নিয়ে ধামরাইয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। পরে দুপুরের দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের থানা স্ট্যান্ড এলাকায় এসে পৌঁছালে প্রাইভেটকারের সঙ্গে ওই বাসের হালকা সংঘর্ষ হয়। এ সময় চেয়ারম্যান তার গাড়ির ভেতরে থাকা হকিস্টিক দিয়ে ওই বাসে ভাঙচুর চালান। এছাড়াও বাসের চালক ও হেলপারকে পিটিয়ে আহত করে। এতে চালক ও হেলপারসহ পাঁচ যাত্রী আহত হন। মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওই চেয়ারম্যানকে গণপিটুনি দেওয়া শুরু করলে পুলিশ পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আহত নারী যাত্রী মহিফুল জানান, তিনি ওই বাসের যাত্রী। থানা স্ট্যান্ডে তাদের বাস ওই প্রাইভেটকারটি অতিক্রম করতে গেলে হালকা একটু সংঘর্ষ হয়। এতেই চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে হকিস্টিক দিয়ে অন্যায়ভাবে বাসের জানালা ভাঙচুর করে। এ সময় কাচের টুকরো শরীরে পড়ে তিনি আহত হন। এছাড়া গাড়ির চালক ও হেলপারকে মারধর করার পর অনেকেই প্রতিবাদ শুরু করলে তাদের ওপরও চড়াও হন চেয়ারম্যান। পরে সবাই উত্তেজিত হয়ে গণপিটুনি দিতে গেলে পুলিশ চলে আসে।
মারধরের বিষয়টি জানতে চাওয়ায় সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব বলেন, আমার নামে নিউজ ফিউজ করে কিছুই করতে পারবেন না, আমি অনেক ক্ষমতাধর ব্যক্তি। এমপির সাথে টেক্কা দিয়ে আমি এলাকায় টিকে থাকি।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ওই চেয়ারম্যানকে থানায় নিয়ে আসেন। তবে ওই সময় সেখানে না পৌঁছালে চেয়ারম্যানকে যাত্রী ও স্থানীয়রা গণপিটুনি দেওয়া শুরু করতেন। এ ঘটনায় কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে ক্যকস্থা নেওয়া হবে।