শতশত ট্রাক পারের অপেক্ষায় দৌলতদিয়া ঘাটে
পদ্মা নদী পারের অপেক্ষায় শতশত পণ্যবাহী ট্রাক ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খোলা আকাশের নিচেই কাটছে তাদের নির্ঘুম রাত। ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করেও ট্রাক চালকরা দেখা পাচ্ছেন না কাঙ্খিত ফেরির। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এ সকল যানবাহনের চালক ও সহকারিরা।
ঘাট এলাকাতে শতশত পণ্যবাহী ট্রাক নদী পারের জন্য অপেক্ষায় থাকলেও চাপ নেই যাত্রীবাহী দূর পাল্লার পরিবহন ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ীর। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ী নদী পার করার কারনে ঘাটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছেনা যাত্রীদের। ঘাট এলাকাতে এসে কিছু সময় পরই ফেরিতে উঠে যাচ্ছে পরিবহন ও ছোটগাড়ীগুলো।
শনিবার (০৯ অক্টোবর) সকাল ৭টায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নদী পারের জন্য দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের আড়াই কিলোমিটার বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত অপেক্ষা করছে প্রায় দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। তবে এ সময় এই এলাকাতে নদী পারের জন্য কোন দূরপাল্লার বাস বা ব্যক্তিগত কোন ছোট গাড়ীর অপেক্ষা করতে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে, দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় হতে রাজবাড়ীর দিকে কল্যানপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে আরো প্রায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। আর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দের স্কেলের কাছে আরো অপেক্ষা করছে প্রায় অর্ধশত পণ্যবাহী ট্রাক। সব মিলে নদী পারের জন্য এই মুহূর্তে অপেক্ষা করছে প্রায় সাড়ে ৫ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
যশোর বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ট্রাক চালক আব্দুর রাজ্জাক মিয়াসহ একাধিক চালক ও শ্রমিকরা বার্তা২৪.কমকে জানান, নদী পারের জন্য তাদের ২৪ ঘন্টার উপড়ে ফাঁকা সড়কে অবস্থান করতে হচ্ছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন তারা গোয়ালন্দ মোড়ে অপেক্ষায় থাকায়। কারন এ সড়কটি পুরোই ফাঁকা। নেই কোন খাবার হোটেল, নেই টয়লেটের ব্যবস্থাও।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কার্যালয় (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, আমাদের আজকে ফেরি চলাচল করছে ১৯টি। আর আমাদের ঘাট চালু আছে ৪টি। আমরা চেষ্টা করছি এই দীর্ঘ সারি ঘাট এলাকায় যেন না থাকে। তবে তিনি এই দীর্ঘ সারিকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন। কারন বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ট্রাক চাপ বেড়েছে।