‘এবারও সার্চ কমিটিতেই নির্বাচন কমিশন, আইন হবে পরে’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, সার্চ কমিটি আইন নয়, কিন্তু যেহেতু সকলের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি করেছেন এটা আইনের কাছাকাছি। এবার সার্চ কমিটি দিয়ে হবে তারপর আইন তৈরি হবে।

রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ডিআরইউ নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন। ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান এর পরিচালনায় মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইনটি করা হচ্ছে না ঠিক না। যদি বলেন আইনটি করা হয় নাই এটা হয়তো সত্য। যে অবস্থা সন্মুখিন হতে হয়েছিল ২০১২ সালে তখন কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতি সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপ আলোচনা করে সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতে তিনি কিন্তু নির্বাচন কমিশন কিভাবে গঠন করা হবে সেই সিদ্ধান্তে পৌছান। এবং যেই সিদ্ধান্তে পৌছান সেটা হচ্ছে একটা সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচনারদের নিয়োগ দেবেন।

যখন রাষ্ট্রপতি এই সিদ্ধান্ত নিলেন তখন ২/৩ বার এই সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। এটা যদিও আইন নয়। যেহেতু রাষ্ট্রপতি গেজেট দ্বারা সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করে একটা ঐক্যমতের ভিত্তিতে করেছেন, এটা আইনের সমতুল্য। এটাই চলছে।

আজকে যখন দেখা গেছে এটা নিয়োগ কথা উঠেছে। এখন আইনটা করা প্রয়োজন। কিন্তু এর মধ্যে এই ১৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যে এরকম একটা আইন করা সম্ভব না। তাও বলে দিয়েছি কোর্টের অবস্থা উন্নত হলে করোনা পরিস্থির উন্নতি হলে পুরো সাড়ে ৩০০ সদস্য সংসদে বসতে পারব, বসে এই আলাপ আলোচনা করে আইন পাস করতে পারব। সেই জিনিসটা আমাদের এখন হচ্ছেনা।

তিনি বলেন, আমি বলেছি ১৫ ফেব্রুয়ারি বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হলে, এই সময়ের মধ্যে করা সম্ভব নয়। এই বার সার্চ কমিটি যেটা বলছি সেটাই হবে। সার্চ গেজেটেড আইন নয় যেহেতু সকলের মতামতের ভিত্তিতে হয়, রাষ্ট্রপতি এটা করেছেন এটা আইনের কাছাকাছি। এটা এরইমধ্যে এবার হবে তারপর আইন তৈরি হবে।

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন করে এবং করবে। তাদের সেই ব্যাপারে ভিত হবার কোন কারণ নাই। বর্তমান নির্বাচন কমিশনে তাদেরও তো একজন ছিলেন। রাষ্ট্রপতি যখন নাম চান সকল দলের কাছে আমার জানামতে বর্তমান যে কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাতে তাদেরও যার নাম দিয়েছিলেন সেখানে তাদের একজন ছিল। তবে বিএনপিকে বলতে পারি তারা আমার কথায় তারা আশস্থ হবেন কি না? জানি না, কিন্তু বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে বিএনপি’র জবাবে মন্ত্রী বলেন, কেয়ারটেকার গভমেন্ট নিয়ে এখন আর তর্কের অবকাশ নাই। আমরা সকলই বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেদের বলতে গর্ববোধ করি। সেই কারনেই বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে রায় যখন আমরা মানি, তখন আমরা নিজেদের গর্বিত মনে করি। ওনারা (বিএনপি) যদি সেটা মানতে না চান, আমার কিছু বলার নাই। কিন্তু রায় যেটা আদালতে হয়েছে সেই রায়ই ঠিক থাকবে। অন্য কিছু এই বাংলাদেশে হবে না।

সাংবাদিকদের হয়রানির বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী অন্যায়ভাবে কোন সংবাদিক সে যে মতাদর্শেরই হোক না কেন, কোন সাংবাদিককে অন্যায়ভাবে যদি হয়রানি করা হয় তাহলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং সেই হয়রানি বন্ধ করার জন্য যা যা করার প্রয়োজন তা করা হবে।

   

উপজেলা নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক ফ্লেবার নেই: নির্বাচন কমিশনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের উপজেলা নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক ফ্লেবার নেই বলে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, এটা কোন রাজনৈতিক নির্বাচন নয়, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এখানে কোন রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ‍জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হল রুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন ।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। কোন প্রার্থীর প্রচারণায় বা ভোটারকে বাধা দিতে না পারে এই ম্যাসেজ আজকের সভায় দিয়েছি।

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, দেখেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সকলের সহযোগিতায় উৎসব মুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এটা আরও উৎসবমুখর পরিবেশে হবে।

এই নির্বাচন হবে ইভিএম পদ্ধতিতে জানিয়ে তিনি বলেন, ইভিএম হলো টিকার মতো, আগে অনেক ভয় থাকে, দেওয়ার সময় টেরও পায় না। ইভিএমে অত্যন্ত সহজ এবং ভোট শেষে সবাই সন্তোষ প্রকাশ করে। এই পদ্ধতিতে ভোটের বাক্স ছিনতাইয়ের ভয় থাকে না, একজনের ভোট অন্যজন দিতে পারে না ।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন , আপনারা দেখেছেন সিংড়া এলাকায় যে প্রার্থী তাকে আমরা ডাকিয়েছি , সঠিক উত্তর না দিতে পারলে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । নোয়াখালী এলাকায় একজন সংসদ সদস্য তার ছেলেকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন দেখে আমরা তাকেও সতর্ক করেছি এবং এই রকম আরও আছে তাদের প্রত্যেককেই বিরত থাকার জন্য বলেছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান মিঞাসহ আরও অনেকে।

;

আরআরএফের সভাপতি হাবিবুল্লাহ মিজান, সম্পাদক নিশাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক ও রেলওয়ে বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রেল এন্ড রোড রিপোর্টার্স ফোরামের (আরআরএফ) ২৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

দুই বছর মেয়াদী এ কমিটির সভাপতি পদে বাংলাদেশ পোস্টের হাবিবুল্লাহ মিজান ও সাধারণ সম্পাদক পদে বাংলানিউজ২৪ ডটকমের নিশাত বিজয় মনোনীত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়।

নতুন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নিজামুল হক বিপুল, সহ-সভাপতি পদে রাজন ভট্টাচার্য (কালবেলা), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সৌগত বসু (আজকের পত্রিকা) মনোনীত হয়েছেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এখলাস হক (দৈনিক ইনকিলাব), কোষাধ্যক্ষ পদে সানমুন আহমেদ (দেশ রুপান্তর), দপ্তর সম্পাদক হাসান মেহেদী (ঢাকা টাইমস), প্রচার সম্পাদক নাজমুল হোসেন (মানবজমিন), নারী সম্পাদক রাজনীন ফারজানা (সারাবাংলা), প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ (বাংলা ট্রিবিউন), প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান (দৈনিক সংবাদ), সাংস্কৃতিক সম্পাদক - জয়ন্ত কুমার সাহা (দৈনিক খবরের কাগজ), ক্রীড়া সম্পাদক নাহিদ সাব্বির (জাগো নিউজ) ও তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক পদে অভিজিত রায় কৌশিক (বার্তা২৪) মনোনীত হয়েছেন।

এছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মনোনীতরা হলেন আশীষ কুমার দে (পাঠকের কন্ঠ), জাহাঙ্গীর আলম (ইউএনবি), শাহজাহান স্বপন (এফএনএস), আবু জাকির (ডেইলি ম্যাসেঞ্জার), এস কে রেজা পারভেজ (রাইজিংবিডি), কাজী মোবারক হোসেন (বিডিনিউজ২৪.কম), আখতারুজ্জামান (বাংলাদেশ প্রতিদিন) জান্নাতুল ফেরদৌস লিন্ডা (জিটিভি) এবং এস এম রাসেল আহমেদ (দৈনিক পরিবর্তন সংবাদ)।

;

বগুড়ার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ঢাকা থেকে গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া সদর উপজেলার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক সাইদুল ইসলাম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পলাতক মামুনকে (২৮) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ। মামুন বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি কারিগর পাড়ার জনৈক আলম হোসেনের ছেলে।

হত্যা মামলায় গত ফেব্রুয়ারী মাসে বগুড়া জেলা জজ আদালত মামুনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর থেকেই মামুন পলাতক ছিল।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন,বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হারিয়াকান্দি মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম (৩৫) বগুড়া শহরের ফুলবাড়ী মাটির মসজিদ এলাকায় বসবাস করে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল সাইদুল ইসলামকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এ ব্যাপারে নিহত সাইদুল ইসলামের ছোট ভাই অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানার মামলা করেন। সেই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ মামুনকে গ্রেপ্তার করলে সে হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে পুলিশ মামুনের নামে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। মামলাটি দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ফেব্রুয়ারী মাসে রায় ঘোষণা করা হয়।

মামুনের নামে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী হলে বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) জাকির আল আহসান তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামুনের অবস্থান নিশ্চিত করেন।এরপর শুক্রবার রাতে ঢাকার গাবতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বগুড়ায় আনা হয়। শনিবার দুপুরে মামুনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

ফেনীতে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে তরুণদের ধর্মঘট ও পদযাত্রা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রাইডেস ফর ফিউচারের আহ্বানে বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটে একাত্মতা প্রকাশ করে জলবায়ুর ন্যায্য দাবিতে ধর্মঘট ও পদযাত্রা করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস ফেনী ইউনিট।

শুক্রবার (২০ এপ্রিল) ফেনীর ফুলগাজী মুহুরী নদীর পাড়ে জলবায়ু কর্মীরা ধর্মঘটে অংশ নেন। এ সময় সমবেত জলবায়ু যোদ্ধারা নানা দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাদের দাবি প্রদর্শন করেন।

ইয়ুথনেট ফেনী জেলার সমন্বয়কারী ফাহিম মুনতাসীর তন্নীর সভাপতিত্বে ধর্মঘটে বক্তব্য রাখেন ইয়ুথনেট কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সমন্বয়কারী মোহাইমিনুল ইসলাম জিপাত, ফেনী জেলা ইয়ুথনেট এর সহ-সমন্বয়কারী মাহামুদুল হাসান ও সাদিয়া বিন্তে নসর প্রমুখ।

ইয়ুথনেট কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সমন্বয়কারী মোহাইমিনুল ইসলাম জিপাত বলেন, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন জীবাশ্ম জ্বালানিতে আর বিনিয়োগ না করে তা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং অবশ্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, কপ সম্মেলনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘জলবায়ু ন্যায়বিচার’ প্রতিষ্ঠায় দূষণকারী দেশগুলো থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। জলবায়ু এবং জ্বালানি সংকট শুধু একটি দুর্যোগই নয়; এটা আমাদের জন্য একটি বড় সতর্ক বার্তাও।

ইয়ুথনেট ফেনী জেলার সমন্বয়কারী ফাহিম মুনতাসীর তন্নী বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানিতে আমাদের নির্ভরতা কমানো যে কত জরুরি, সেটা বোঝার জন্য দীর্ঘকাল অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। আমাদের টেকসই এবং ন্যায়সংগত নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলোতে রূপান্তর করার জন্য অবশ্যই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। জলবায়ু দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কাজ করার এখনই সময়।

এছাড়াও বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট নিয়ে এক বিবৃতিতে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর প্রভাবের কারণে বিশ্ব এখন এক জটিল সময় পার করছে, জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই একে ‘বিশ্ব মানবতার জন্য রেড অ্যালার্ট’ হিসেবে ঘোষণাও করেছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই ক্ষতিকারক জীবাশ্ম জ্বালানির জলবায়ুবিধ্বংসী কার্যকলাপের দায় নিতে হবে।

উল্লেখ্য,কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিবাদ জানিয়েছে ২০১৮ সালের আগস্টে সুইডিশ পার্লামেন্টের বাইরে ‘স্কুল স্ট্রাইক ফর দ্য ক্লাইমেট’ লিখিত একটি প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতি শুক্রবার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। পরে এ আন্দোলন নিয়ে তিনি বিভিন্ন প্লাটফর্মে কথা বলতে শুরু করেন। এর নাম করণ করেন ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন।

;