এসেছে হেমন্ত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

'আশ্বিন গেল কার্তিক মাসে পাকিল ক্ষেতের ধান, সারা মাঠ ভরি গাহিছে কে যেন হলদি কোটার গান। ধানে ধান লাগি বাজিছে বাজনা, গন্ধ উড়ায় বায়ু, কলমি লতায় দোলন লেগেছে, ফুরাল ফুলের আয়ু।' —পল্লীকবি জসীম উদদীন হেমন্তের এমন বর্ণনা দিয়েছেন তার 'নকশী কাঁথার মাঠ' কবিতায়। এ সময়ে মাঠে মাঠে পড়ে থাকে হলুদ পাকা ধান। কৃষাণ-কৃষাণীর ব্যস্ততা পাকা ধান ঘরে তোলার । পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ ছড়ায় চারদিক। এ সময়ে বৃক্ষশাখা থেকে ফুল-পাতা ঝরে পড়ে। কিছুদিন চলে প্রকৃতিতে শূন্যতা ও রিক্ততার প্রকাশ।

প্রকৃতিতে বছর ঘুরে আজ এসেছে হেমন্ত। হেমন্ত হল ষড়ঋতুর চতুর্থ ঋতু। কার্তিক-অগ্রহায়ণ দুই মাস হেমন্তকাল। বিকেলগুলো এখন স্বল্পায়ু। দিন আরো ছোট হয়ে আসবে ক্রমেই। হেমন্ত মানেই শিশিরস্নাত প্রহর। শরতের কাশফুল মাটিতে নুইয়ে পড়ার পরপরই হেমন্তের আগমন ঘটে। এর পরে আসে শীত, তাই হেমন্তকে বলা হয় শীতের পূর্বাভাস। হেমন্তে সকালবেলা আবছা কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারদিকের মাঠঘাট।

সকালে ধান গাছের ডগায় যে শিশির জমে থাকা তা হেমন্তের জানান দেয়। সকালের প্রথম রোদের বর্ণচ্ছটায় গাছের পাতাগুলো খিলখিল করে হেসে ওঠে। দৃষ্টিসীমা যতদূর গিয়ে পৌঁছে দেখা যায়, আলোকজ্জ্বল অপূর্ব একটি সকাল তার অভাবনীয় সৌন্দর্য নিয়ে অপেক্ষমান। গাছেদের নরম-কচি পাতাগুলোর ফাঁকে ফাঁকে মিষ্টি রোদ আর সুনীল আকাশ যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে। হেমন্তের রাতে মেঘমুক্ত আকাশে জোৎস্নার আলো যেন অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি ঠিকরে পড়ে।

গ্রাম বাংলার অনবদ্য রূপ সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ কবি সুফিয়া কামাল পল্লী প্রকৃতির সহজ সরল ও স্বাভাবিক রূপ তাঁর কাব্যে উপজীব্য হয়ে উঠেছে। গভীর মমতায় ও ভালোবাসায় প্রকৃতি তার অন্তরঙ্গ অনুভবের সংশ্লিষ্টতায় অপূর্ব সৌন্দর্যে আবিভূত হয়েছে পল্লী-বাংলার পরতে পরতে। 'হেমন্তের কবি আমি, হিমাচ্ছন্ন ধূসর সন্ধ্যায়, গৈরিক উত্তরীয় টানি মিশাইয়া রহি কুয়াশায়।' আবার কখনো তিনি হেমন্তকে চিঠি লিখে বাংলার সবুজ শ্যামল প্রকৃতিতে আবিভূত হওয়ার আহ্বান ও জানিয়েছেন। 'সবুজ পাতার খামের ভেতর, হলুদ গাঁদা চিঠি লেখে, কোন পাথারের ওপার থেকে, আনল ডেকে হেমন্তকে?'

হেমন্ত এক আশ্চর্য ঋতু—মৃত্যু ও জীবনের, দুর্ভাগ্য ও সৌভাগ্যের, হতাশা ও আশার—দুই বিপরীতের এক সুতীব্র যুগলবন্দি। একদিকে এ ঋতুর শুরুতে মরা কার্তিক, ক্ষুধার হাহাকার; আবার শেষে অগ্রহায়নে ধানের প্রাচুর্য, নতুন ধান, তাই নবান্ন। এভাবে নানা বৈপরীত্যের মিশেল এই ঋতু হেমন্ত।

এক সময় হেমন্তের নতুন ধান ঘরে তোলা উৎসব —নবান্ন ঘিরে গ্রামে গ্রামে চলত পিঠা-পুলি ও ক্ষীর-পায়েসের উৎসব। হেমন্তে ধান কাটা উৎসবে যোগ হতো সারি সারি গরু ও মহিষের গাড়ি। মাঠে মাঠে কৃষকরা দল বেঁধে ধান কাটা উৎসবে যোগ দিতেন। আর গেয়ে উঠতেন জারি-সারি, ভাটিয়ালিসহ নানা ধরনের গান। হেমন্তে এখন উৎসব যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামের পিঠা এসে যোগ হয়েছে শহরের হোটেল ও ফাস্ট ফুডের দোকানে। হেমন্তে ধান কাটা উৎসবে আর দেখা মেলে না সারি-সারি গরু ও মহিষের গাড়ি। এখন সেখানে যোগ হয়েছে ইঞ্জিনচালিত যান বা রিকশা ভ্যান। কিন্তু এখন আর সেই ঐতিহ্য নেই।

   

ছেঁড়া ১০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব: ছুরিকাঘাতে ছেলের মৃত্যু, বাবা সংটাপন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ছেঁড়া ১০ টাকার নোট না নেয়ার দ্বন্দ্বে ইকবাল হোসেন (২২) নামে এক মুদি দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা সাদেক মুন্সির (৬২) অবস্থা সংটাপন্ন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ছেলে ইকবাল হোসেন ও বাবা সাদেক মুন্সি একই ইউনিয়নের দিগারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলা বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে ছেলে ইকবালকে নিয়ে মুদি দোকান করেন সাদেক মুন্সি। ঘটনার দিন রাতে সিগারেট কিনতে আসেন একই গ্রামের ফারুক মিয়া। টাকা দেওয়ার সময় একটি দশ টাকার নোট ছেঁড়া থাকায় তা বদল করে দিতে বলেন ইকবাল। কিন্তু তাতে রেগে যায় ফারুক। বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে ফারুক তার ছোট ভাই পারভেজ মিয়াকে ডেকে আনেন। পরে সেখানে তারা কিছুক্ষণ বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে পারভেজ সঙ্গে নেওয়া ছুরি দিয়ে দোকানের ভেতরেই এলোপাথারি আঘাত শুরু করে ইকবালকে। ওই সময় বাবা সাদেক মুন্সিকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইকবাল। গুরুত্বর আহত অবস্থায় সাদেক মুন্সিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১১ টার দিকে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

তারাকান্দা থানার ইনচার্জ ওসি মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, দোকানে সিগারেট কিনতে গিয়ে ছেঁড়া টাকা দেওয়া নিয়ে বাগবিতন্ডার জেরে হত্যার ঘটনা ঘটে। সাদেক মুন্সির অবস্থাও গুরুতর। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে ফারুক ও পারভেজকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

;

ছেঁড়া ১০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব: ছুরিকাঘাতে ছেলের মৃত্যু, বাবা সংটাপন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ছেঁড়া ১০ টাকার নোট না নেয়ার দ্বন্দ্বে ইকবাল হোসেন (২২) নামে এক মুদি দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা সাদেক মুন্সির (৬২) অবস্থা সংটাপন্ন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ছেলে ইকবাল হোসেন ও বাবা সাদেক মুন্সি একই ইউনিয়নের দিগারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলা বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে ছেলে ইকবালকে নিয়ে মুদি দোকান করেন সাদেক মুন্সি। ঘটনার দিন রাতে সিগারেট কিনতে আসেন একই গ্রামের ফারুক মিয়া। টাকা দেওয়ার সময় একটি দশ টাকার নোট ছেঁড়া থাকায় তা বদল করে দিতে বলেন ইকবাল। কিন্তু তাতে রেগে যায় ফারুক। বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে ফারুক তার ছোট ভাই পারভেজ মিয়াকে ডেকে আনেন। পরে সেখানে তারা কিছুক্ষণ বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে পারভেজ সঙ্গে নেওয়া ছুরি দিয়ে দোকানের ভেতরেই এলোপাথারি আঘাত শুরু করে ইকবালকে। ওই সময় বাবা সাদেক মুন্সিকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইকবাল। গুরুত্বর আহত অবস্থায় সাদেক মুন্সিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১১ টার দিকে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

তারাকান্দা থানার ইনচার্জ ওসি মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, দোকানে সিগারেট কিনতে গিয়ে ছেঁড়া টাকা দেওয়া নিয়ে বাগবিতন্ডার জেরে হত্যার ঘটনা ঘটে। সাদেক মুন্সির অবস্থাও গুরুতর। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে ফারুক ও পারভেজকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

;

সাভারের যেসব এলাকায় আজ গ্যাস থাকবে না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের পাইপলাইনের জরুরি মেরামতকাজের জন্য বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১২ ঘণ্টা সাভারের বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা সাভারের টংগাবাড়ী, আশুলিয়া, খেজুরবাগান, গৌরীপুর, খাগান, কুমকুমারি ও আক্রান এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এ ছাড়া ওই সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

;

নীলফামারীতে সার্কাসে রাত হলেই শুরু হয় অশ্লীলতা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা টটুয়ার ডাঙ্গায় সার্কাস ও যাদু প্রদর্শনীর নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য। খোলামেলা পোশাকে এসব নাচ গানের আসরে পঙ্গপালের মতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনকে জানালেও নেয়নি কোন ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০ টায় দি রওশন গ্রেট সার্কাসে গিয়ে দেখা যায়, সার্কাসের প্যান্ডেলের ভিতরে মেয়েদের দিয়ে খোলামেলা আপত্তিকর নাচগান প্রদর্শন করা হচ্ছে। এসব নাচগানের বেশির ভাগ দর্শক হচ্ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা। বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সার্কাসের শো পরিচালনা করার থাকলেও রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে এসব অশ্লীল নৃত্য। এতে করে রাত যতই বাড়তে থাকে সার্কাসে শুরু হতে থাকে অশ্লিল নৃত্য ।এসময় কাউকে মোবাইলে ভিডিও না করার জন্য বারবার হুশিয়ারি দেওয়া হয়।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ভবদেশ রায় বলেন, এখানে সার্কাস চলছে ভালো কথা। আমাদের বাড়ির লোকজন আসবে দেখবে কিন্তু রাত হলে অশ্লীলতা বাড়ে এলাকার সব ছেলে পড়ালেখা বাদ দিয়ে এখানে চলে আসে। যুবসমাজ এভাবে নষ্টের দিকে যাচ্ছে।

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বজলার রহমান বলেন, আমি দেশের বাইরে ছিলাম। এসে শুনি সার্কাসের কথা,সেখানে অশ্লীল কিছু হলে আমি প্রশাসনকে অবগত করব।

এবিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোসের মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

;