নভেম্বরে চালু হচ্ছে সনাতন পেশাজীবীদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার
সমাজে পিছিয়ে পড়া সনাতন ১০ পেশার প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এরই ধারাবাহিকতায় তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রসার, আভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে বাজারজাত করার জন্য স্থাপন করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বিক্রয় কেন্দ্র। সমাজ সেবা অধিদফতরে নভেম্বর মাসে এ বিক্রয় কেন্দ্র চালু করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারি প্রকল্প পরিচালক-১, মো. হারুনুর রশীদ বার্তা২৪.কমকে জানান, দেশের ৮টি বিভাগের ২৭টি জেলার ১১৭টি উপজেলার ৫০ হাজার ৬৬ জনকে দেওয়া হয়েছে কর্মমুখী শিক্ষা (প্রশিক্ষণ)। পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রাথমিক মূলধন। এসব জনগোষ্ঠির উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার জন্যও আমরা কাজ করছি। আশা করছি, আগামী মাসে (নভেম্বরে) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
তিনি বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ১০টি পেশাকে নির্বাচন করা হয়েছে। এগুলো হলো- কামার; কুমার; নাপিত; বাশঁ ও বেতপণ্য প্রস্তুতকারক; কাঁসা/পিতলপণ্য প্রস্তুতকারক; জুতা মেরামত/প্রস্তুতকারী; লোকজযন্ত্র (একতারা, দোতারা, বাশিঁ, মন্দিরা)/ লোকজ শিল্পী (বাউল, গম্ভীরা, কীর্তন, ঢপ, ভাষান/জারি); নকশী কাথাঁ শিল্প; শীতল পাটি; শতরঞ্জি পেশায় নিয়োজিত জনগোষ্ঠিদের।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রান্তিক পেশাজীবী জাতিগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার উৎকর্ষ এবং পেশার আধুনিকায়নের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিসহ সমাজের মূল শ্রোত ধারায় সম্পৃক্ত করা হবে।
এছাড়াও প্রান্তিক পেশাজীবী গোষ্ঠীর সঠিক সংখ্যা নিরূপণ ও তাদের তথ্য সম্বলিত অনলাইন ডাটাবেজ, উদ্যোক্তা তৈরির কাজ চলছে।
সহকারি প্রকল্প পরিচালক-১ আরো জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাজের সুযোগ সৃষ্টি ও আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রস্তুতকরণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আদি পেশার টেকসই উন্নয়নে আর্থিক সহায়তার জন্য প্রকল্পের নির্বাচিত ২৬৩৪৩ জন উপকারভোগীকে মূলধন হিসেবে অনুদান দেওয়া হয়েছে। এখন তারা কাজ করছে কি না তা গুগল ম্যাপিং এর মাধ্যমে মনিটরিং ও পেশাবিকাশে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।