জাতিসংঘ দিবস আজ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ জাতিসংঘ দিবস। ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে জাতিসংঘ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত এই সংস্থা কালের পরিক্রমায় কলেবরে অনেক বেড়েছে। ৫১টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে ১৯৪৫ সালে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৯৩। সারা পৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন দ্বন্দ্ব নিরসনে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও উন্নয়নের জন্য কাজ করছে জাতিসংঘ।

পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অংশীদারিত্ব, সহযোগিতা ও সংহতির ভিত্তিতে একটি অধিকতর শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতিসংঘ (ইউএন) গড়ে তোলার জন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শুভক্ষণে আসুন আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অংশীদারিত্ব, সহযোগিতা ও সংহতির ভিত্তিতে একটি অধিকতর শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতিসংঘ গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালাই। আসুন আমরা জাতিসংঘকে আমাদের আশার বাতিঘর বানাই। আমাদের দেশে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের এই ঐতিহাসিক বছরে বাংলাদেশ আমাদের জনগণের উন্নত ভবিষ্যৎ রচনা ও উন্নততর ভবিষ্যতের জন্য একটি ব্লুপ্রিন্ট তৈরিতে যতটুকু করা সম্ভব তা করতে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার জন্য চেষ্টা করে বাংলাদেশ। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের আবেদন চীনের ভেটোর কারণে বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সদস্যপদ লাভ করে। ওই বছরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো বাংলায় জাতিসংঘে বক্তব্য রাখেন।

প্রথম থেকেই বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার সমর্থক বাংলাদেশ সবসময় জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং করছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অবদান রাখছে এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তবে একই সঙ্গে সংস্থাটির বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে যেমন সমালোচনা রয়েছে তেমনি অনেক কাজ করতে সফল হয়নি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানটি।

এ উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বাণীতে বলেছেন, জাতিসংঘ সনদকে বিগত ৭৬ বছর ধরে শক্তি জুগিয়েছে যেসব মূল্যবোধ- শান্তি, উন্নয়ন, মানবাধিকার এবং সবার জন্য সমান সুযোগ, তার প্রয়োজনীয়তা কখনও ফুরিয়ে যাবে না। কভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ প্রমাণ করে দিয়েছে সহমর্মিতা ও সহযোগিতার পথেই চলতে হবে, চ্যালেঞ্জ সামনে রেখেই এগিয়ে যেতে হবে।

এ বিষয়ে জেনেভাতে রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সমালোচনা ও অসফলতা থাকলেও জাতিসংঘের কোনো বিকল্প নেই।

এটি একমাত্র বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান যেখানে ধনী-গরিব, ছোট-বড় সব দেশই সদস্য এবং একমাত্র প্ল্যাটর্ফম যেখানে সবাই একসঙ্গে আলোচনা করতে পারে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ছোট বা কম শক্তিশালী দেশগুলো এখানে তাদের কথা বলতে পারে যা অন্য জায়গায় বলা সম্ভব হয় না।

জাতিসংঘকে কিভাবে আরও সফল করা যায় ‑ জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতিসংঘ একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং এটি ততটুকু সফল হবে যতটুকু এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো চাইবে।

জাতিসংঘের সফলতা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে জানিয়ে তিনি বলেন, এজন্য সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব তাদের।

   

বার্তা২৪.কম-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. সাহাব এনাম খান

‘মধ্যপ্রাচ্য সংকটে প্রথম ভিকটিম বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলি’



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েল-হামাস এর সংঘাতের পথ ধরে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বর্বরতার কোন কিনারা না হতেই ফের ইসরায়েল-ইরান সংঘাত গোটা মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান এমনটাই মনে করেন। তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার প্রথম ভিকটিম হবে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো। চলমান এই সংকটকে ‘দীর্ঘমেয়াদী’ উল্লেখ করে সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশকে শুধুমাত্র গার্মেন্টস আর রেমিটেন্স নির্ভর হয়ে না থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কুটনীতিকে ঢেলে সাজাতে হবে। বার্তা২৪.কম-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন অধ্যাপক সাহাব। কথা বলেছেন পরিকল্পনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম

বার্তা২৪.কম: মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক উত্তেজনকর পরিস্থিতিকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? এটি কি ধরণের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে, বিশেষ করে আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য?

ড. সাহাব এনাম খান: মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি পুরোই আনপ্রেডিকটেবল এবং এই আনপ্রেডিকটেবিলিটি অনেক লম্বা সময় ধরে থাকবে। এই আনপ্রেডিকটেবিলিটি শুধু ইসরায়েল বা ইরান ক’দিন লাফালাফি করলো এরপর আবার বন্ধ হয়ে গেল এরকম না। এই আনপ্রেডিকটেবিলিটি অনেকটা লম্বা সময় ধরে চলতে থাকবে এবং এর মূল কেন্দ্রবিন্দু থাকবে ইসরায়েল। ইসরায়েলেকে ঘিরেই আরব ও পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক। সুতরাং এখানে ইসরায়েলকে কেন্দ্র করে ভোলাটাইলিটি। আর এর মূল দিকটা হল পশ্চিমা বিশ্বই এটাকে হ্যান্ডেল করে। স্পষ্ট করে বলতে গেলে এখানে আরববিশ্বের কোন রোল নেই বাক্-যুদ্ধ করা ছাড়া। আরেকটা পয়েন্ট আছে তা হচ্ছে-এই ঘটনাগুলির প্রেক্ষিতে এখন একটি বড় মেরুকরণ হয়ে গেছে রাশিয়া-চীন-তুরস্ক-ইরান, এদেরকে কেন্দ্র করে। অন্যদিকে ইসরায়েলকে ঘিরে পশ্চিমা বিশ্বেও একটা মেরুকরণ হয়ে গেছে। এই মেরুকরণ বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এরা চাইবে ওয়েস্ট এটা করতে না পারুক, যে কারণে বিশ্ব অর্থনীতি ও মুদ্রা ব্যবস্থার ওপর একটা বড় রকমের চাপ পড়বে। যার প্রথম ভিকটিম হবে উন্নয়নশীল দেশগুলি।

বার্তা২৪.কম: তার মানে কি এটি স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে বিশ্বব্যবস্থায় পশ্চিমা মনোপলি ভেঙে পড়েছে?

ড. সাহাব এনাম খান: একদমই। এজন্যই তো বিশ্বে মোটাদাগে মেরুকরণ তৈরি হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বের মনোপলিতে ইসরায়েল রয়েছে কিন্তু ইরান নেই। তবে পশ্চিমাদের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কটা কি হবে, তারা এই সম্পর্ককে কিভাবে হ্যান্ডেল করবে তার ওপর নির্ভর করবে সামনের দিনগুলি কি রকম হবে। আরবদের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক কেমন হবে সেটা এখানে ম্যাটার করবে না।

বার্তা২৪.কম: পশ্চিমাদেশসমূহ, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে যে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় আর তাদের ভেতরকার যে স্ট্যান্ড তার মাঝে কি এক ধরণের বৈপরিত্য লক্ষ্য করা যায় না…অন্ততঃ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করলে?

ড. সাহাব এনাম খান: তা তো বটেই। আরও একটি বিষয় যোগ করব, তা হচ্ছে-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ কারণে ইসরায়েল-পশ্চিমা সংযোগটি একটা লম্বা সময় ধরে অস্থিরই থাকবে। ঠিক এ কারণেই বিশ্ব অর্থনীতি ও মুদ্রা ব্যবস্থায় বড় রকমের চাপ তৈরি হচ্ছে। যার প্রভাব বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলিতে হবেই।

বার্তা২৪.কম: কি ধরণের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন আপনি?

ড. সাহাব এনাম খান: প্রথমতঃ বিভিন্ন রকমের স্যাংশন, অলটারনেটিভ কারেন্সির প্রেশার আসবে। দ্বিতীয়তঃ কৌশলগত কুটনৈতিক চাপও প্রচুর আসবে এই সময়ে। ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর আমাদের এক ধরণের সাংবিধানিক অঙ্গীকারও আছে, আমরা তা দেখিয়েও আসছি। রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও আমরা একই অবস্থান নিয়েছি। বিপন্ন মানবতার পক্ষে দাঁড়ানো।

বার্তা২৪.কম: বাস্তবতার নিরিখে আমাদের কি ধরণের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?

ড. সাহাব এনাম খান: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ে আমাদের সম্পর্ণ নতুন করে চিন্তা ভাবনা করা দরকার। শুধুই গার্মেন্টস আর রেমিটেন্স নির্ভর হয়ে থাকলে হবে না। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে আমরা যতটা না হিট হব বা ইউক্রেন সংকটে যতটা হয়েছি-ভারত কিন্তু ততটা হয়নি এর কারণ ভারতের অর্রথনীতির ডাইভার্সিটি আছে। আমি মনে করি-চারটি জায়গায় আমাদের খুব জোর দিয়ে কাজ করতে হবে। প্রথমতঃ এনার্জি সিকিউরিটি, আরও স্পষ্ট করে বললে স্বনির্ভর এনার্জি অর্জন করতে হবে আমাদের, যা জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, আমাদের দেশের জাতীয় স্বার্থকে অনেকে ব্যকিক্তগত স্বার্থের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। জাতীয় স্বার্থে আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তা ইন্ডিজেনাস সোর্স থেকে করতে হবে। অদক্ষ এনার্জি ইনস্টিটিউশনস দিয়ে আমাদের হবে না। পুরো জ্বালানি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।

দ্বিতীয়তঃ আমাদের বাণিজ্য কুটনীতিতে কেবল মৌখিকভাবে বললে হবে না, প্রায়োগিক অর্থে বাণিজ্য কুটনীতি জোরদার করতে হবে। এর মধ্যে নম্বার ওয়ান প্রায়োরিটি থাকবে, ‘ডাইভার্সিটি’। অর্থাৎ অর্থনীতির নানা খাত চাঙা করে তুলতে হবে।   

তৃতীয়তঃ আরব দেশগুলির সঙ্গে বিদ্যমান যে সম্পর্কে আছে, তাকে আরও গভীর করতে হবে। সেইসঙ্গে বৈশ্বিক এই উত্তেজনা ও সংঘাতে উন্নয়নশীল আরও যেসব দেশ আক্রান্ত হবে তাদের সঙ্গেও শক্তিশালী জোটবদ্ধতা তৈরি করা জরুরি। আমরা ব্রিকসে যেতে আগ্রহী না হয়ে নিজেরা একটা কিছু করতে চেষ্টা করতে পারি, যেখানে নিজেদের স্বার্থ অগ্রাধিকার পাবে। যেখানে বাংলাদেশের মত এমন অনেক দেশ বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শঙ্কায় আছে। যদি বাংলাদেশ অনেকগুলি ইকনমিকে একসঙ্গে নিয়ে একটি কালেক্টিভ ভয়েস তৈরি করতে পারে তবেও তা কার্যকর ফল বয়ে আনবে।

অনেক দেশই আমাদের অনেক কথা বলবে, কিন্তু তা প্রায়োগিক ক্ষেত্রে কতটা ফলপ্রুসু হবে তা আমাদের চিন্তা করে দেখতে হবে। অন্ততঃ এক দশক ধরে বাংলাদেশ বাণিজ্য বহুমূখিকরণের কথা বলে আসছে, কিন্তু কি রপ্তানি করবে, কি আছে-তা নিয়ে কোন কাজ হচ্ছে না। এখানে ইন্ডিজেনাস কোন ইন্ডাষ্ট্রি সৃষ্টি করছে না, সম্ভাবনাময় পাটকে নিয়ে সেভাবে বড় রকম কিছু করা গেল না। তার মানে কেবল কথা নয়, প্রায়োগিক অর্থে বাস্তবভিত্তিক প্রচেষ্টা নেওয়া দরকার।

চতুর্থ হচ্ছে-অভ্যন্তরীণ বাজারকে আরও শক্তিশালী ও সম্প্রসারণ করা। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার বহুলাংশে পরনির্ভরশীল হয়ে আছে। ভারতে একটি ক্যাডবেরি চকলেট ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ডে নিজেরা উৎপাদন করে ভোক্তাদের দেয়। তাতে ফরেন কারেন্সি নিয়ে আর ঝামেলা থাকে না। বাংলাদেশে পুরনো গাড়ি কিনতে মানুষজন একেবারে উদগ্রিব। এতবড় মার্কেট থাকতে কেন এখানে ইন্ডিজেনাস কার ইন্ডাষ্ট্রি হচ্ছে না? এটা যদি ভুটান বা মালদ্বীপের মতো স্বল্প জনসংখ্যার দেশ হতো তাহলে চিন্তা করা যেত, কিন্তু ব্যাপারটি তো আসলে তা নয়। আমরা পুরনো গাড়িতে চড়তে পারলেই খুব স্বস্তি পাই, কারণ বাস্তবতা হচ্ছে গাড়ি একটি প্রয়োজন। যেখানে অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা বেড়েছে, স্কেল বেড়েছে; স্বাভাবিকভাবে মানুষের মবিলিটি বাড়বে। কিন্তু এখানে ২০০-৪০০% ট্যাক্স দিয়ে আমদানি করে মানুষের প্রোডাক্টিভিটি ও সেফটিকে ছোট করে ফেলা হচ্ছে।

২০২৬-এ উন্নয়নশীল দেশ হিসবে রূপান্তর নিয়ে অনেক হইচই হচ্ছে, কিন্তু এখানকার ওষুধশিল্প নিয়ে কি হবে? সরকার সাবসিডি দিয়ে এপিআই তৈরি করুক, তা দিয়ে কমোডিটিজগুলো তৈরি করা হোক-কিন্তু এসব বাদ দিয়ে সব হাতি-ঘোড়া মারার চিন্তাভাবনা আমাদের ভর করছে, যা মোটেও উচিত নয়।

বার্তা২৪.কম: সম্ভাবনা ও বৈচিত্রকে নিরুৎসাহিত করার অন্তরায় কি তবে বাড়তি আমলাতান্ত্রিক নির্ভরতা?

ড. সাহাব এনাম খান: অবশ্যই, অর্থনীতি কখনো আমলানির্ভর হতে পারে না। এখানে প্রাইভেট সেক্টরকে আরও নীতিনির্ধারণে আনা দরকার। প্রাইভেট সেক্টর মুনাফায় বিশ্বাস করে। সুতরাং তারা সব সময় বৈচিত্র চাইবে। আমলারা যদি এক্সপোর্ট ডাইভার্সিফিকেশন বুঝতে পারতেন তবে পাট শিল্প কেন মুখ থুবড়ে পড়ল? আমি মনে করি, এক্সটেন্সিভ প্রাইভেটাইজেশনে গিয়ে আমলা নির্ভরতাকে কমিয়ে ক্রিয়েটিভ ইন্ডাষ্ট্রিকে এখানে ঢুকাতে হবে। বর্তমান বৈশ্বিক সংকটে এটি দেশের অর্থনীতিকে অনেক সহায়তা করবে।

বার্তা২৪.কম: মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা তো থামছেই না, কোন টেকসই সমাধানের পথ কি দেখেন আপনি?

ড. সাহাব এনাম খান: টেকসই সমাধান তখনই হবে যখন আরাকান স্থিতিশীল হবে। আরাকানকে স্থিতিশীল করতে বাংলাদেশের একটি সন্মুখ ভূমিকা থাকা প্রয়োজন। অনেকভাবেই তা হতে পারে-একক সহায়তা হতে পারে বা অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখা যেতে পারে। ওদের সিভিল সোসাইটি, পলিটিক্যাল সোসাইটিকে শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। দেখা যাবে আমেরিকানরা আললান্টিকের ওপার থেকে এসে ঠিকই করে ফেলছে। বাংলাদেশ তো গণতন্ত্রের কথা বলছে, তাহলে সেখানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ কাজ করতেই পারে। এখানে শুধু আরাকান আর্মি নয়-যেসব অ্যাক্টরগুলো সেখানে সক্রিয় তাদের সঙ্গে আমাদের এনগেজ হতে হবে। কারণ এদের ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে না। তাতমাদো (মিয়ানমারের সরকারি সামরিক বাহিনী) এটি সমাধান করবে না। কিংবা তাতমাদো রাখাইনে গেড়ে বসলেও রোহিঙ্গা সংকট সমাধান হবে না। তাতমাদো যদি না থাকতে পারে, আরাকান আর্মি আসে, তাতেও সমাধান আসবে না, যদি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখা হয়। যদিও রোহিঙ্গা ইস্যুতে গত এক বছরে বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতি হয়েছে, তার আগে কিছু হয়নি।

সম্পাদনা: মাহমুদ মেনন, এডিটর-অ্যাট্-লার্জ, বার্তা২৪.কম

;

সাড়ে ৪ লাখ টাকার গাঁজাসহ কারবারী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
সাড়ে ৪ লাখ টাকার গাঁজাসহ কারবারী আটক

সাড়ে ৪ লাখ টাকার গাঁজাসহ কারবারী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা থেকে গাঁজা বিক্রি করতে এসে সাড়ে ৪ লাখ টাকার ৬ কেজি গাঁজাসহ আটক হয়েছে সোহেল নামে এক মাদক কারবারি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী উপজেলার সীমান্ত এলাকা শাখারিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি ব্যাগের ভিতর থেকে ওই গাঁজাগুলো উদ্ধার করে জব্দ করে। ওই সময় তারা গাঁজা বহনকারী কারবারী সোহেলকে আটক করে জিজ্ঞাসাদের জন্য বরগুনা জেলা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

আটককৃত মাদক কারবারি সোহেল কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ধর্মপুর এলাকার বশিরুল্লাহর ছেলে। পেশায় সে একজন স্যানিটারী মিস্ত্রি। ভারত থেকে চোরাইপথে আসা গাঁজা আখাউড়া থেকে সংগ্রহ করে সড়ক পথে বরগুনার আমতলীতে বিক্রি করার উদ্দেশ্য নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি)'র অভিযানে ধরা পড়ে যায়।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বশির আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমার নেতৃত্বে উপ- পরিদর্শক জ্ঞান কুমার দাস, মোঃ বশির আহমেদ, সহকারী পরিদর্শক রুবেল হাওলাদার, ডিবি সদস্য প্রিন্স সিমলাই, মাহমুদসহ গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম গভীর রাত থেকে আমতলীর সীমান্ত এলাকা শাখারিয়া বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করি।

চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কুয়াকাটাগামী হানিফ পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে ৬ কেজি গাঁজাসহ সোহেল নামে ওই মাদক কারবারীকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হই। আটক কারবারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

;

রংপুরে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের পীরগাছায় ৩৫ কেজি গাঁজাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পীরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার পূর্বদেবু গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুজন ও শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একই বাড়ি থেকে অপর দুজনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন উপজেলার পূর্বদেবু গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে সাব্বির আহমেদ জয় ওরফে আব্দুস সালাম (৪০), একই গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে শাহাজাহান মিয়া (৩৬), কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা সবুজ মিয়া (২৮) ও একরামুল হক (২৬)।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার পূর্বদেবু গ্রামের আব্দুস ছালামের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তল্লাশি করে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ আব্দুস ছালাম ও শাহাজাহান মিয়াকে আটক করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে আব্দুস ছালামের বাড়িতে সেই গাঁজা কিনতে আসে ফুলবাড়ি থেকে সবুজ মিয়া ও একরামুল হক। খবর পেয়ে তাদেরকেও আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

পীরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, গাঁজাসহ দুজন ও পরবর্তীতে গাঁজা কিনতে আসা দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

;

লালমনিরহাটে ৪০০ বোতল ফেনসিডিলসহ নারী কারবারি আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ৪০০ বোতল ফেনসিডিল ও চার বোতল ভারতীয় হুইস্কিসহ স্বরসতী রানী (৩৩) নামে এক নারী মাদকারবারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত স্বরসতী রানী কালীগঞ্জ উপজেলার ঘোঙ্গাগাছ এলাকার পলাতক মাদক ব্যবসায়ী পবিত্র রায়ের স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে মাদক ব্যবসায়ী পবিত্র রায়ের বাড়িতে মাদকের বড় চালান ঢুকেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মফিজুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে এ সময় স্বরসতী রানীর সহযোগিতায় বাশের তৈরী মাচা হতে ৪০০ বোতল ফেনসিডিল ও ৪ বোতল হুইস্কি উদ্ধার করা হয়।

কালিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কমকে জানান, আটককৃত নারী মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

;