নৌকায় ভোট না দেওয়ায় জুতাপেটা, দু’পক্ষের সংর্ঘষে আহত ১০
বগুড়ার সোনাতলায় পৌর নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট না দেওয়ায় হোসেন আলী নামের এক ব্যক্তিকে জুতাপেটা করা নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষে উপজেলা চেয়ারম্যান ও নব নির্বাচিত মেয়রসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সোনাতলা পৌর এলাকার মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড এলাকায় এই সংর্ঘের ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, নব নির্বাচিত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নুর কর্মী হোসেন আলী বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় সেখানকার আইনুর নাহার নামে এক নারী পান দোকানি নৌকা মার্কায় ভোট না দেওয়ায় হোসেনের সাথে তর্কে লিপ্ত হয়। এমন সময় সেখান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। তাদেরকে দেখে নারী দোকানি হোসেন আলীকে জুতাপেটা শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে এ খবর চলে যায় নবনির্বাচিত মেয়রের কানে। মেয়র খবর পেয়ে দল বল নিয়ে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে হাজির হয়। এসময় কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেয়রের লোকজন উপজেলা চেয়ারম্যানকে ছুরিকাঘাত করে। খবর পেয়ে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
এদিকে মেয়রকে মারপিট করা হচ্ছে এমন খবরে তার শত শত নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে আসতে থাকলে পুলিশ তাদেরকে আটকিয়ে দেয়। এদিকে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে উপজেলা চেয়ারম্যান ও নবনির্বাচিত মেয়রের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয় কমপক্ষে ১০ জন। এরমধ্যে চারজন ছুরিকাহত হয়েছেন।
ছুরিকাহতরা হলেন- সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীনহাদুজ্জামান লিটন, পৌর যুবলীগের সভাপতি নাহিদ হাসান জিতু, সাধারণ সম্পাদক উৎপল চন্দ্র ও উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম সোহেল। এছাড়াও সংঘর্ষে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নু, তার কর্মী হিরা, হোসেন আলীসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নব নির্বাচিত পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নু বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য থাকা অবস্থায় দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে মেয়র নির্বাচিত হন। ভোটের আগের দিন গত ১ নভেম্বর তাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।