মেয়াদ শেষের আগে নতুন প্যাকেজ কিনলে অব্যবহৃত ডেটা যোগ হবে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একজন গ্রাহকের ডাটা প্যাকেজের মেয়াদ শেষে অব্যবহৃত ডাটা পরবর্তী প্যাকেজে যোগ হবে যদি গ্রাহক উক্ত প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হবার পূর্বেই একই ডাটা প্যাকেজ (ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদসহ) কেনেন।

সকল অপারেটরের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকার অংশ হিসেবে এই নতুন সুবিধা। যা আগামী ১ মার্চ ২০২২ থেকে কার্যকর হবে। উক্ত নির্দেশিকা অনুযায়ী যে কোনো অপারেটর এককালীন সর্বোচ্চ ৮৫টি প্যাকেজ চালু রাখতে পারবে।

এছাড়া মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যালান্স না থাকলেও এখন থেকে গ্রাহক ফেসবুক ও মেসেঞ্জার অ্যাপ শুধু টেক্সটের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবে। ফেসবুকের ডিসকভারি ব্রাউজারে ফ্রি ইন্টারনেট ব্রাউজিং সুবিধা চালু করা হয়েছে। উক্ত ব্রাউজারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা পাঠ্যভিত্তিক তথ্য যেমন-শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত নির্দেশনা, অন্যান্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যসহ ফ্রি ডাটা সীমার মধ্যে বিভিন্ন ই-পরিষেবায় সংযুক্ত থাকতে পারবেন।

মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রধান সম্মেলন কক্ষে এই সেবাসমূহের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান । শুরুতে ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা ও ফ্রি ফেসবুক-মেসেঞ্জার ব্যবহার বিষয়ে বিশদ উপস্থাপনা করেন বিটিআরসির সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রি. জে. মো. নাসিম পারভেজ।

বাংলাদেশে বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫.২ কোটি এবং সর্বোচ্চ ফেসবুক ব্যবহারকারীর দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম। ইউনিক মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা আনুমানিক ১০ কোটি অর্থাৎ প্রতি দুই জন মোবাইল গ্রাহকের বিপরীতে একজন গ্রাহক ফেসবুক ব্যবহার করে । দেশে মোট মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৭৫ লাখ ২৭ হাজার (২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী)।

অনুষ্ঠানে জানানো হয় যে, দেশের সকল মোবাইল অপারেটরের তিন ধরনের প্যাকেজ থাকবে তার মধ্যে- ১. নিয়মিত (রেগুলার) প্যাকেজ ২. গ্রাহক কেন্দ্রিক বিশেষ (সিসিএসপি) প্যাকেজ ৩. রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আরএন্ডডি) প্যাকেজ । একটি অপারেটরের নিয়মিত এবং গ্রাহক কেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ মিলিয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যা হবে ৮৫টি। তবে নিয়মিত অথবা গ্রাহক কেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ সংখ্যা এককভাবে ৫০টির অধিক হতে পারবে না। মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহ রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০টি প্যাকেজ ব্যবহার করতে পারবে। প্যাকেজের ভিন্নতা নির্ধারণে দুটি প্যাকেজের মধ্যে ন্যূনতম পার্থক্য হবে ১০০ এমবি ডাটা অথবা ১০ মিনিট টকটাইম অথবা উভয়ই। সকল প্যাকেজের মেয়াদ ০৩/০৭/১৫/৩০ দিন হিসেবে করতে হবে।

কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত রেগুলার এবং সিসিএসপি প্যাকেজ সমূহ গ্রাহকরা মোবাইল অপারেটরের নির্দিষ্ট অ্যাপস/ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম/ অপারেটর অনুমোদিত চ্যানেল ব্যবহার করে ক্রয় করলে অপারেটরগণ প্যাকেজের ওপর বোনাস (টেলিকম সার্ভিস ডাটা, টক টাইম, এসএমএস) প্রদান করতে পারবে। তবে বোনাসসহ প্যাকেজের মূল্যমান প্যাকেজ তৈরির খরচ থেকে মাইনাস হতে পারবে না।

গ্রাহক সুবিধার্থে মোবাইল অপারেটরকর্তৃক প্রদানকৃত সকল নিয়মিত প্যাকেজের তালিকা (প্যাকেজের আইডি ও মূল্য) সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। প্রতিটি গ্রাহককে অপারেটর কর্তৃক মাসিক রিচার্জ এবং ব্যয়ের তথ্য বিবরণী এসএমএস (বাংলায়) ও মোবাইল অপারেটরদের বিলিং পোর্টালের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে গ্রাহকের চাহিদার প্রেক্ষিতে ইমেইলের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। অপারেটর চাইলে বিনামূল্যে অথবা ফ্লোর প্রাইসে (যখন উল্লেখ করা হবে) ডাটা প্রদান করতে পারবে এবং অপারেটর কর্তৃক একজন গ্রাহককে প্রতিদিন ৩টির বেশি প্যাকেজ সংক্রান্ত প্রমোশনাল এসএমএস প্রদান করা যাবে না।

যে কোন নিয়মিত প্যাকেজ চালু করার পর বাজারে উক্ত প্যাকেজের ন্যূনতম স্থায়িত্বকাল হবে এক মাস। যে কোন গ্রাহক কেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ চালু করার পর উক্ত প্যাকেজের ন্যূনতম স্থায়িত্বকাল হবে সাত দিন। এক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটরগণ উক্ত গ্রাহক কেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ বাতিল করার ১৫ দিন পর বাতিলকৃত প্যাকেজের স্থলে নতুন গ্রাহক কেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ চালু করতে পারবেন। মোবাইল অপারেটর হতে যে কোন রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ চালু করার পর উক্ত প্যাকেজের ন্যূনতম স্থায়িত্বকাল হবে সাত দিন। তবে মাসে দুইবার অর্থাৎ ১৫ দিন পর পর এই ধরনের প্যাকেজগুলো চালু করার সুযোগ থাকবে।

মোবাইল কানেক্টিভিটি জনগণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, জনগণের কানেক্টটিভিটি বাড়াতে সারাদেশের জন্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে এক দেশ এক রেট চালু করা হয়েছে এবং দুর্গম অঞ্চলে ফোরজি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে। মার্চের মধ্যে অপারেটরদেরকে গ্রাহকের কাছে সব ধরনের বার্তা বাংলায় প্রেরণ করতে হবে বলেও জানান তিনি। ফেসবুক বর্তমানে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতামূলক আচরণ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় উসকানিমূলক ছবি, ভিডিও ও পোস্ট নিয়ন্ত্রণে ফেসবুকের সাথে কাজ করছে বিটিআরসি।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান বলেন, ফ্রি ফেসবুক মেসেঞ্জার চালুর ফলে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষও নেটওয়ার্কে কানেক্টেড থাকার সুযোগ পাবে। প্রযুক্তির প্রসারের ফলে বর্তমানে সরকারি অফিসগুলো সহজে এবং দ্রুততম সময়ে মানুষকে সেবা দিতে পারছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী আজমান, রবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ রশীদ, বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী তাইমুর রহমান , টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন, ফেসবুকের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের কানেক্টিভিটি এন্ড একসেস পলিসির প্রধান টম সি ভার্গেস।

কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিশ্চিতে বিটিআরসি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে জানিয়ে সমাপনী বক্তব্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার গত ১০ মাসে বিটিআরসির নানা কার্যক্রম তুলে ধরেন। এ সময় তিনি অপারেটরদের ভ্যাট আদায় এবং টিভাস এর মাধ্যমে গ্রাহকের অর্থ কেটে নেওয়া সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন, ফোরজি তরঙ্গ নিলাম, সারাদেশে ব্রডব্যান্ডের এক দেশ এক রেট সেবা চালু, মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনে এনইআইআর বাস্তবায়ন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ফেসবুক ও ইউটিউবের নিবন্ধন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিংয়ে সাইবার সিকিউরিটি সেল গঠনসহ নানা কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন।

   

বরিশালে অবসরপ্রাপ্ত ১৮৪ সদস্যকে অনুদানের চেক বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির জেলা শাখার আয়োজনে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসন বরিশালের আয়োজনে সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক শিক্ষাবৃত্তি, এককালীন অনুদান ও জরুরী চিকিৎসা সাহায্য প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বরিশালের অবসরপ্রাপ্ত ১৮৪ জন সদস্যকে ১৩ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করেন।  

বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বরিশাল  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনদীপ ঘরাই। সমিতির জেলা আহ্বায়ক সহকারী কমিশনার ফাহিজা বিসরাত, সহকারী কমিশনার ও এনডিসি বরিশাল আবু জাফর মজুমদার, সমিতির জেলা এডহক কমিটির সদস্য আলি আজম খানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনায় অতিথিরা সমিতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে আলোচনা করেন। পরে ৫টি ক্যাটাগরিতে ১৮৪ জন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মাঝে চেক প্রদান করে জেলা প্রশাসক বরিশাল শহিদুল ইসলাম।



;

দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাং’র বিভিন্ন গ্রুপের ৩৫ জন গ্রেফতার 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং এর বিভিন্ন গ্রুপের মূলহতাসহ ৩৫ জন কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব২)।আটককৃতরা বিভিন্ন গাড়ির হেলপার ও ড্রাইভার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, ‘এফডিসি মুন্না’ গ্রুপের অন্যতম মূলহোতা মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে এফডিসি মুন্না (২৮), গ্যাং সদস্য মো. আকাশ (২৪), মো. ফরিদ। ‘কিং জামাল গ্রুপ’ এর মূলহোতা মো. জামাল হোসেন (৩১), মো. ইমাম হোসেন (২০), মো. আরিফ ওরফে রাসেল মিয়া (২০)। ‘কিং মোশারফ গ্রুপ’ এর মো. মোশাররফ (৩২) তার সহযোগী মো. ফেরদাউস বেপারী (২৫), মো. আরমান শেখ (১৮), মো. সানি মিয়া (১৮)। ‘আপনা ভাই গ্রুপ’ এর মূলহোতা শাকিব ওরফে বস্তি শাকিব (১৯), মো. নাহিদ (২০), মো. লাদেন (২১) সহ অন্যান্য গ্রপের মো. হৃদয় (২২), মো. আবু সিদ্দিক (৪৫), মো. খোকন (৩৫), মো. নিলয় আহম্মেদ (২৫), মো. ইব্রাহিম (২৬), মো. বিপ্লব শেখ (২০), রাব্বি হোসাইন (২৪), তারেক জিয়া (২২), মো. জামাল (২৬), মো. শিমুল (২৩), মো. রতন(১৯), মো. পলাশ (২৪), মো. সাঈদ (২৪), মো. শরিফ (২০), মো. রাজন (২২), মো. মানিক (২৪), মো. কবির (২৪), হাসান (২২), মো. সাইদ (১৯), মো. রাজা শেখ (২৮), মো. ইকরাম (২৫) এবং মো. বিপ্লব শেখ (২২)।

শিহাব করিম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি ‘কিশোর গ্যাং’ গ্রুপের সদস্য কর্তৃক ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এই সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরী ও মামলা হয়। বিভিন্ন ‘কিশোর গ্যাং’ এর সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে মারামারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়।

অতি সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, আদাবর, নাখালপাড়া ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকানণ্ড সম্পর্কে তথ্য পায় র‌্যাব। ফলশ্রতিতে র‌্যাবের টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ মার্চ হতে ১৮ মার্চ পর্যন্ত র‌্যাব-২ এর একাধিক আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে।

তিনি বলেন, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, নাখালপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং এর মূলহোতাসহ ৩৫ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ছিনতাই ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, ছুরি, চাকু, চাইনিজ কুড়াল, এন্ট্রি কাটার ও বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্ত্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা পূর্বের বিভিন্ন অপরাধ এবং ভবিষ্যতের বিভিন্ন সহিংসতা সৃষ্টির পরিকল্পনা সর্ম্পকে তথ্য দেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, শেরে বাংলা নগরের নাখালপাড়া এলাকা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাধঁ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। গ্রপের সন্ত্রাসীরা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো।

এছাড়াও তারা মাদক সেবনসহ এসব এলাকায় মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিল। মূলত তারা নাখালপাড়া ও মোহাম্মদপুর, আদাবর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতো বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

সাদা ফুলের ছদ্মবেশে 'কালো সোনা'



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রকৃতির মায়াজালে আবৃত এক অনন্য দৃশ্যের দেখা মিলবে রাজশাহীতে। এখানকার সাদা ফুল শুধু সৌন্দর্যের সমারোহ নয়, বরং এক অপার সম্পদের আহ্বান হাতছানি দেয়। এই ফুলের প্রশান্ত সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে 'কালো সোনা', যা বাংলাদেশের কৃষকদের অর্থনীতিতে এক অপূর্ব সংযোজন।

পেঁয়াজের বীজের উচ্চ বাজারমূল্যের কারণে কৃষি জগতে 'কালো সোনা' নামে পরিচিত। যেখানে কৃষকের পরিশ্রম ও প্রকৃতির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় এই অমূল্য 'কালো সোনা'।

পেঁয়াজের বাজার দাম উচ্চ থাকা ও অধিক লাভজনক হওয়ায় রাজশাহীতে পেঁয়াজের কদম চাষে আগ্রহের সাথে চাষীদের মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবছর চাষের জন্য বরাদ্দ জমির পরিমাণ বেড়েছে। বীজ উৎপাদনে বেশি দাম পেয়ে বাড়তি লাভের মুখ দেখছেন চাষীরা।

তবে, পেঁয়াজের কদমে রোগ ও অপ্রত্যাশিত শীলাবৃষ্টির সম্ভাবনা উৎপাদনের মান ও পরিমাণে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। এ সমস্যা মোকাবেলায়, রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাষীদের পরাগায়নের কাজে মৌমাছি ও সাদা কাপড়ের ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছে, যা উচ্চমানের ও অধিক পরিমাণে ফসল পাওয়া নিশ্চিত করতে পারে। এই নতুন উদ্যোগ ও পদ্ধতির মাধ্যমে চাষীদের মধ্যে আশার আলো জাগিয়েছে যে, তারা আগামী দিনে আরো বেশি লাভের সুযোগ পাবে।

নতুন উদ্যোগও পদ্ধতি চাষীদের মধ্যে আশার আলো জাগিয়েছে

রাজশাহীর কৃষি অফিসের মতে, এ বছর রাজশাহীতে পেঁয়াজের বীজ চাষ ১২ হেক্টর বেশি জমিতে করা হয়েছে। বাজারে বীজের দাম উচ্চ হওয়ার কারণে চাষীরা বীজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। গত বছর, পেঁয়াজের বীজ ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

কৃষি বলছে, এ বছর রাজশাহী জেলায় ২৭০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ হয়েছে, যা থেকে ২০০ মেট্রিক টনের অধিক বীজ উৎপাদনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। গত বছর, ২৫৮ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজের চাষ হয়েছিল। উৎপাদিত এসব বীজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায়ও সরবরাহ করা হয়।

এ বছর দুর্গাপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের বীজ চাষ হয়েছে, যেখানে ১০৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। অন্যান্য উপজেলা যেমন গোদাগাড়ীতে ৮৫ হেক্টর, পুঠিয়ায় ৭০ হেক্টর, এবং পবা, মোহনপুর, বাগমারা, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় ৫ থেকে ১০ হেক্টর জমি করে।

মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের কইকুড়ি অঞ্চলে ১০ কাঠা ভূমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছেন মো. কলিম খাঁ। তিনি জানান, এ বছর পেঁয়াজের (কদম) রোগের প্রকোপ বেড়েছে। প্রায়ই কীটনাশক প্রয়োগ করতে হচ্ছে। পেঁয়াজের ফুলকা শুকিয়ে যাচ্ছে, যা ফলনের উপর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বৈশাখ মাসের শীলাবৃষ্টি সবচেয়ে বড় হুমকি, কারণ এতে পেঁয়াজের কদম নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

মো. কলিম খাঁ বলেন, পেঁয়াজের কদম চার মাস জমিতে থাকবে। চাষ শুরু করার সময় তিনি বীজ পেঁয়াজ কিনেছিলেন ৪ হাজার টাকা মণ প্রতি। গত বছরও তিনি পেঁয়াজ কদমের চাষ করেছিলেন এবং পেঁয়াজের কদম থেকে আহৃত বীজ ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা প্রতি হাজারে বিক্রি করেছিলেন।

কালো সোনা চাষে লাভবান চাষীরা

দুর্গাপুর উপজেলার জমির উদ্দিন গত বছর এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করে লাভবান হয়েছিলেন। তাই এ বছর তিনি দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজ বীজের চাষ করেছেন। তিনি জানান, গত বছর বীজ বিক্রি করে তিনি ৮৫ হাজার টাকা লাভ করেছিলেন। এবছর তিনি নিজের এবং লিজ নেওয়া জমিতে পেঁয়াজ বীজের চাষ করেছেন, যেখানে এক বিঘা জমিতে তার মোট খরচ হয়েছে ৫৮ হাজার টাকা। পেঁয়াজ বীজের ফসলে পরিচর্যা বেশি প্রয়োজন, এবং পরিচর্যা না করলে ফলন কমে যেতে পারে। সময়মতো কীটনাশক প্রয়োগ করা আবশ্যক।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোজদার হোসেন উল্লেখ করেন, পেঁয়াজের ফুলকে সাধারণত কদম বলা হয়; যা থেকে পেঁয়াজের বীজ তৈরি হয়। গত বছর চাষীরা ভালো দাম পেয়েছিলেন, যার ফলে এ বছর পেঁয়াজ বীজের চাষ বেড়েছে। পেঁয়াজের বীজ চাষে মৌমাছির পরাগায়ন নিয়ে নতুন চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সাদা কাপড়ের মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটানোর কথা বলেছি। এতে বীজ ভালো মানের ও বেশি ফসল উৎপাদন হবে।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৩ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫৩২৫ পিস ইয়াবা, ১৮৬ গ্রাম হেরোইন, ৪ কেজি ৮২৫ গ্রাম গাঁজা ও ২০০টি ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;