রবিবার মেয়র হানিফের পঞ্চদশ মৃত্যুবার্ষিকী



নিউজডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মেয়র মোহাম্মদ হানিফের পঞ্চদশ মৃত্যুবার্ষিকী

মেয়র মোহাম্মদ হানিফের পঞ্চদশ মৃত্যুবার্ষিকী

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের পঞ্চদশ মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল রবিবার (২৮ নভেম্বর)। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পৃথক বাণী দিয়েছেন।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামীকাল সকাল ১০ টায় আজিমপুর কবরস্থানে কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আজিমপুরস্থ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ ও তাঁর সহযোগী সংগঠনসহ সকল স্থরের মানুষ এ শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিবেন।

১৯৪৪ সালে ১লা এপ্রিল পুরান ঢাকার আবদুল আজিজ ও মুন্নি বেগম দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ হানিফ। ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পেয়ে এসময় ছয়দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।

১৯৬৭ সালে তাঁর বহুমুখী প্রতিভায় মুগ্ধ প্রিয়কন্যা ফাতেমা খাতুনকে মোহাম্মদ হানিফের সঙ্গে বিয়ে দেন ঢাকার শেষ সরদার আলহাজ্ব মাজেদ সরদার। তিনি এক ছেলে ও দুই কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। ছেলে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পরবর্তীতে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন মোহাম্মদ হানিফ। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া ঢাকা-১২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মৃত্যুুর আগ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৯৪ সালে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন মোহাম্মদ হানিফ। ১৯৯৬ এর মার্চে স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে তারই নেতৃত্বে 'জনতার মঞ্চ' তৈরী করে তৎকালীন বিএনপি সরকারের পতন ঘটান এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনে ভুমিকা রেখেছেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে গিয়ে মারাত্মক আহত হন। ২০০৬ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি মুক্তাঙ্গনে এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ নভেম্বর ৬২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মেয়র মোহাম্মদ হানিফের পঞ্চদশ মৃত্যুুবার্ষিকীতে প্রদত্ত বাণীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত নেতা। তার সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণে রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি পদে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সফল একজন মানুষ।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে আওয়ামী লীগের একজন সংগ্রামী নেতা হিসেবে আমৃত্যু জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন দুঃখী মানুষের আপনজন। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হলে তিনি মানবঢাল রচনা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রক্ষার প্রাণান্তর প্রচেষ্টা চালান। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। নিজের জীবন বাজি রেখে প্রিয় নেত্রীকে বাঁচাতে আত্মত্যাগের এ উদাহরণ সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর জন্য সবসময় অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণী বলেন, মোহাম্মদ হানিফ বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা ঘোষণার সময় থেকে তিনি জাতির পিতার একান্ত সহকারি হিসেবে অত্যন্ত একাগ্রতা ও বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এই জননেতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশের একজন নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে মোহাম্মদ হানিফ মানুষের হৃদয়ের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় বেঁচে থাকবেন। মোহাম্মদ হানিফের সংগ্রামী জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদের দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে করবে।
স্পিকার শিরীন শারমিন তাঁর বাণীতে বলেন- মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন একজন প্রজ্ঞাবান, বিচক্ষণ ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তিত্ব। তিনি মানবকল্যাণমূলক চিন্তাধারা, পরিকল্পনা ও উদ্যোগ বাস্তবায়নে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন। মেয়র হিসেবে ঢাকাবাসীর জন্য নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে তাঁর প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার। ঢাকার উন্নয়নে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ঢাকাবাসী আজও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নলালিত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রয়াত এই নেতার নানামুখী প্রচেষ্টা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

   

তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক

তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপদাহ। এই সময়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে স্কুল খোলা রেখেছেন শাহ আলী থানার এডভান্স চাইল্ড কেয়ার একাডেমির প্রধান শিক্ষক সিকদার মিরাজুল। তিনি প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা করছেন।

তীব্র গরমের মধ্যেও প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে গেলে এই প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক মিরাজুল।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের তৃতীয় সপ্তাহে অনেকটা জোর করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসতে বাধ্য করছেন প্রধান শিক্ষক।

এমনকি শিক্ষার্থীদের কেউ স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে তাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এই হুমকির মুখে তারা স্কুলে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, শাহ আলী থানার রাইন খোলা শাখার সকল শিক্ষক উপস্থিত। প্রধান শিক্ষক কাজে ব্যস্ত। প্রতিষ্ঠানের সামনে জাতীয় পতাকা উড়ছে। কয়েকজন শিক্ষক জানান তারা প্রতিবাদও জানিয়েছেন। কিন্ত প্রধান শিক্ষক কিছুতেই সরকারি নির্দেশনা মানছেন না।

বরং প্রধান শিক্ষক বলছেন, সকল সরকারি নিয়ম মেনে চললে প্রতিষ্ঠান চালানো যাবে না। তীব্র তাপদাহ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক সাধারণ শিক্ষকদের আশ্বস্ত করতে বলেন, এটা সরকারের একটা পলিসি।

সাংবাদিক পরিচয়ে প্রধান শিক্ষক মিরাজুল ইসলামকে স্কুল খোলা রাখার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা এত খারাপ কেন। আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখি আর খোলা রাখি সেটা আমার ব্যাপার । সরকারের সব সিদ্ধান্ত মেনে আমার স্কুল চালাতে পারবো না।

এ বিষয়ে শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা রাবেয়া বলেন, তার বিরুদ্ধে ইতিপুর্বে অনেক অভিযোগ এসেছে।

;

লালমনিরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় এক নারীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসুতী হরিসভা খানপাড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মমতা বেগম (৪০) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় পাটগ্রাম উপজেলার খানপাড়া হরিসভা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধবলসুতী বাসিন্দার মৃত বদির উদ্দিনের মেয়ে নিহত মমতা বেগম দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। কানে না শোনার কারণে রেল লাইনে হাঁটার সময় পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় রেল লাইনের পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পাশে থাকা স্থানীয় লোকজন গিয়ে মমতার নিথর দেহ দেখতে পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের ও পাটগ্রাম থানায় খবর দেন।

স্থানীয়রা জানান, মমতা ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে তার বড় ভগ্নিপতির বাড়িতে থাকতেন।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে মমতা বেগম নামে একজনের মৃত্যু খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

;

ফেনীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। এক ফোঁটা বৃষ্টির আশায় দেশের মানুষ। ফেনীতে তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে বৃষ্টি কামনায় সালাতুল ইস্তিসকারের বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ পড়ে মোনাজাতে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর নিকট বৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ফেনী আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে এ নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহরের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশত মুসল্লি অংশ নেন। নামাজের জামাতে ইমামতি করেছেন মাদরাসার শিক্ষক ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান।

নামাজের আগে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নেতারা। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে মোনাজাত করে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

নামাজে আগত মুসল্লিরা বলেন, তীব্র খরতাপে সাধারণ মানুষ খুব কষ্টে দিন পার করছে। গরমের তীব্রতায় ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। সেজন্য আল্লাহর রহমতের আশায় নামাজ আদায় করে বৃষ্টি প্রার্থনা করতে সকলে সমবেত হয়েছে।

বক্তব্যে মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, টানা দাবদাহে মানুষ খুব কষ্টে আছে। আল্লাহ বৃষ্টির জন্য সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। সেজন্যই সবাই একত্রিত হয়ে সালাতুল ইস্তিসকা আদায় করেছি।

শহর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ ইলিয়াছের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতে আমির এ কে এম সামসুদ্দিন এবং নায়েবে আমির অধ্যাপক আবু ইউছুপ।

;

বাস উঠল রেললাইনে, পুলিশের চেষ্টায় রক্ষা পেল হাজারো যাত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেল লাইনে উঠে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বাস ও ট্রাকের চালকসহ ৪ থেকে ৫ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে এমন ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ঢাকা ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের হাজারো যাত্রী।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে গত মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার হাতিয়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কিছু সময়ের জন্য ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় ঢাকাগামী আরপি এক্সপ্রেস নামে একটি বাস ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনের উপরে উঠে যায়। এ সময় মধ্যরাতে মহাসড়কে ঘটনাস্থলে ডিউটিরত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরীসহ আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তারা জানতে পারেন টাঙ্গাইল থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনের দিকে ছেড়েছে। একপর্যায়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট জায়গায় ফোন করে ট্রেনটি থামানোর জন্য অনুরোধ জানান এসআই টিটু। পরে ট্রেনটি ঘটনাস্থলে এসে দাঁড়ালে বড় ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারো যাত্রী। এরপর দ্রুত বাসটি সরানো হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ট্রেনে থাকা যাত্রী সবুজ আহমেদ ও হৃদয় ইসলামসহ অনেকেই জানান, হঠাৎ করে ট্রেনটি হাতিয়া নামক এলাকায় থেমে যায়। পরে জানতে পারি এখাকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনে উঠে পড়ে। ঘটনাস্থলে দ্রুত ট্রেনটি দাঁড় না করালে যেকোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আগেই অবগত হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারো যাত্রী। 

এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী জানান, গত মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষ বাসটি রেললাইন উঠে যায়। পরে দ্রুত পুলিশ কন্টোলরুম বা রেলওয়ের সাথে যোগাযোগ করে টাঙ্গাইল স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চমগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলে দাঁড় করানো হয়। এতে করে ট্রেনের হাজারো যাত্রী রক্ষা পায়।

এসআই টিটু আরও জানান, এ ঘটনায় বাসের ৪ জন যাত্রী ও ট্রাকের চালকসহ ৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাকটি সেতু পূর্ব থানায় রাখা হয়েছে।

;