‘মৎস্যশিল্পে বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ সমুদ্রে এখনও হাতই পড়েনি’
বাংলাদেশ গভীর সমুদ্রে মাত্র ২০ শতাংশ এলাকা থেকে মৎস্য আহরণ করে থাকে। বাকি ৮০ শতাংশ সমুদ্র এলাকায় এখনও কোনো হাতই পড়েনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোববার ( ২৮ নভেম্বর) হোটেল রেডিসন ব্লুতে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি আয়োজিত ব্লু ইকোনমি অন ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট সামিটে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মৎস্য শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মাত্র ১২ শতাংশ অবদান রাখে। দেশের মানুষের প্রাথমিক প্রোটিন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বৈদেশিক আয় ও খাদ্য নিরাপত্তা মৎস্য শিল্পের সঙ্গে জড়িত। তবে বাস্তবতা হল গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের সমুদ্রে ৪৭৫টি জলজ প্রাণী রয়েছি কিন্তু আমরা আহরণ করি মাত্র ১২০ প্রজাতির মাছ।অর্থাৎ মাত্র ২৫ শতাংশ মাছ ধরছি আমরা। গভীর সমুদ্রের মাত্র ৫০ থেকে ৬০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে আমরা মাছ ধরে থাকি।
অন্যদিকে জাহাজ নির্মাণ শিল্প বিশ্ব চাহিদার কারণ বাংলাদেশে উত্তরোত্তর উন্নতি করছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মতে জাহাজ নির্মাণ শিল্প ১৬শ বিলিয়ন ডলারের। এর ১ শতাংশও যদি বাংলাদেশ দখল করতে পারে তাহলে ১৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হতে পারে।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের তেল ও গ্যাস শিল্প বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, মেরিন ট্যুরিজম বর্তমান বিশ্বে এটি সম্ভাবনাময় খাত। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখাতে আমাদের নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদের ওপর বাংলাদেশের মানুষের সার্বভৌমত্ব ও সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের জন্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোন আইন, ১৯৭৪ প্রণয়ন করেন।