পারাপারের একমাত্র অবলম্বন ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো
নীলফামারীর জলঢাকায় গোলমুন্ডা ধুম নদীতে যুগ যুগ ধরে পারাপারের একমাত্র অবলম্বন ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো। এতে সেতুর অভাবে দুর্ভোগে আছেন দুই গ্রামের মানুষ।
নদীর উত্তর তীরে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং একটি প্রাইমারি স্কুল, দক্ষিনে ব্যবসাকেন্দ্র গোলমুন্ডা বাজার ও উপজেলা প্রশাসন। স্কুল-কলেজ এবং হাসপাতাল যাতায়াতের জন্য পার হতে হয় ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো। এতে ৩ যুগের বেশি সময় ধরে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে গোলমুন্ডা শ্যামপুর পাড়া এবং ভাবঞ্চুর এলাকার মানুষ।
এছাড়াও প্রতিবার নামাজ আদায়ের জন্য শ্যামপুর পাড়ার মানুষকে পাড় হতে হয় এই বাঁশের সাঁকো। বর্ষাকালে ভেঙে গেলে পারাপারের জন্য বানাতে হয় কলা গাছের ভেলা।
ধুম নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো নির্মাণে গ্রাম বাসিকে পরতে হয় নানা জটিলতায়। ৬ মাস পর পর নির্মান করতে হয় বাঁশের সাঁকো। এতে বাঁশ সংগ্রহ অনেকটাই ভোগান্তির বিষয় বলে জানান এলাকাবাসী। তাদের দাবি যত দ্রুত সম্ভব ব্রিজ বাস্তবায়ন করা উচিত।
শ্যামপুর পাড়ার নির্বাসি আকরাম ইসলাম বলেন, 'কোন মালামাল আনতে হলে ব্রিজটির জন্য প্রায় ২ থেকে ৩ মাইল পথ ঘুরে আসতে হয়। সাঁকোটিতো টিকে না। এছাড়াও বহুবার ছোট বাচ্চারা পরে গিয়েছিল। এদিকে বৃদ্ধ মানুষ এই সাঁকো দিয়ে হাটতে পারেনা। ব্রিজটি হলে আমাদের কষ্ট কমবে'।
আর্জিনা বেগম বলেন, 'গত বন্যায় আমি আমার বাচ্চাকে নিয়ে পার হচ্ছিলাম। হটাৎ আমার বাচ্চা পরে যায়, আমি হাত ধরে তাকে বাচাই। আমি না থাকলে সেদিন আমার বাচ্চা পানিতে পরে মারা যেত। আমরা যাতায়াত করতে পারিনা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ এই ব্রিজটা তৈরি করার জন্য'।
গোলমুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সাবেক এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা সংসদ সদস্য থাকা কালিন এই ব্রিজটির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়। কিন্তু স্থাপন স্থান জটিলতায় ব্রিজটি স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা আব্দুর রউফের কাছে জানতে চাইলে সাক্ষাৎকার দিতে অনুমতি লাগে বলে এরিয়ে যান তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসানের সাথে কথা বললে তিনিও সাক্ষাৎকার না দিয়ে এরিয়ে যান।
কিন্তু যুগের পর যুগ ব্রিজ হবে এই স্বপ্নে দিন কেটে যাচ্ছে এই এলাকার মানুষের। কবে বাস্তবায়ন হবে বরাদ্দকৃত ব্রিজটির সেই আশাঙ্কা যেন থেকে যাচ্ছে এই এলাকার মানুষের।