তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ উদ্যোগ না নিলে সবই ব্যর্থ হবে
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে রাষ্ট্রগুলাের ঐক্যমতে পৌঁছানাে নতুন আশার সঞ্চার করেছে, কিন্তু এটি বাস্তবায়নে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া না হলে সবই ব্যর্থ হবে।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হােসেন মানিক মিয়া কনফারেন্স হলে সেন্টার ফর পার্টিসিপটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) এবং কোস্ট ফাউন্ডেশন, সিসিডিবিসহ কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সহযােগী সংগঠনের উদ্যোগে ‘ইউএনএফসিসিসি-এর ২৬তম জলবায়ু সমঝােতা সম্মেলনের (কপ-২৬) প্রাক্কালে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা এবং প্রস্তাবনা’ শীর্ষক একটি নাগরিক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ এর সভাপতি ডা. কাজী খলীকুজ্জামান আহম্মেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিপিআরডি'র প্রধান নির্বাহী শামসুদ্দোহা বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতা এবং সমালােচনা থাকলেও কপ-২৬ এ অনেকগুলাে ভালাে অর্জনও আছে। এবারের কপ জলবায়ু পরিবর্তন মােকাবিলায় নতুন কিছু আশার আলাে নিয়ে এসেছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের একমত হওয়া বিষয়টিকে নতুন পথচলার সূচনা বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আইপিসিসি এর রিপাের্ট-৬ প্রকাশিত হওয়ার পর পরই ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রাকে সীমবদ্ধ রাখার বিষয়ে আমাদের দাবিটি আরও দৃঢ় ভিত্তি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিভিন্ন গবেষণা, বক্তব্য এবং দাবির ফলাফল হিসেবেই কপ-২৬ এ এটি আদায় হয়েছে। কিন্তু ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য সঠিক হারে কার্বন নির্গমন হ্রাস করতে ব্যর্থ হলে সকল প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগই বিফলে যেতে পারে। ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রাকে সীমাবদ্ধ রাখতে কার্বন নির্গমন হ্রাসকরণের সময় বয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি রাষ্ট্রগুলাের কাছ থেকে আনুপাতিক হারে নির্গমন হ্রাসকরণের বিষয়ে অঙ্গীকার চান এবং এটিকে একটি লিগ্যালি বাইন্ডিং এগ্রিমেন্টের আওতায় আনার দাবি জানান।